১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

ছোট প্রজেক্ট বড় স্বপ্ন

আন্তরিকতা থাকলে যে কোন কাজে সফলতা পাওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন এম এম গ্রীণ ফিল্ড নামের কৃষি প্রজেক্টের উদ্যোক্তা ৫ ভাইরা ভাই। তাদের কৃষি প্রজেক্টে বিভিন্ন জাতের ড্রাগন চাষ শুরু করার মাত্র দুই বছরে পেয়েছেন অভাবনীয় সফলতা। উদ্যোক্তা ৫ ভাইরা ভাই বিভিন্ন পেশায় কর্মরত থেকেও কৃষির প্রতি হৃদয় নিঙড়ানো ভালোবাসার বর্হিপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তাদের গড়ে তোলা কৃষি প্রজেক্টে। তারা এখন শিক্ষিত ও বেকার যুবকদের অনুকরনীয় হয়ে উঠেছেন। ঝিনাইদহের সদর উপজেলার কুমড়া বাড়িয়া ইউনিয়নের গোয়াইল বাড়ি গ্রামে গড়ে তোলা কৃষি প্রজেক্ট এম এম গ্রীণ ফিল্ডের এমডি লিয়াকত আলী জানান, তার মেঝ ভাইরা ভাই সাংবাদিক ও মিজানুর রহমান তাদেরকে বিভিন্ন সময় তার এলাকার (ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে) ড্রাগন বাগানে নিয়ে যেতেন। বাগান দেখতে দেখতে একসময় বাগান করার ইচ্ছা জাগে। তারপর ২০১৯ সালের মে মাসে এক একর জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করা হয়। এই বছরের (২০২১) জুন মাস পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ফল বিক্রি হয়েছে। এই বছরের বাকি সময়ে আরও ৫ লক্ষ টাকার ফল বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছেন। এমডি শিক্ষক লিয়াকত আলী জানান, তার অন্য ৪ পার্টনার সাংবাদিক মিজানুর রহমান, ব্যাংকার মোত্তাসিম বিল্লাহ শিপলু,ফার্মাসিউটিক্যাল্সে কর্মরত রাহাত খান ও আমেরিকান প্রবাসি রাশিদুল ইসলাম এই প্রজেক্টে প্রায় ১০লাখ টাকা ইনভেস্ট করেছেন। সবাই বিভিন্ন পেশায় কর্মরত থাকায় তাদের খরচ অন্যদের তুলনায় বেশি হয়েছে। তবে তাদের আশা এ বছরেই খরচের টাকা উঠে আসবে। এই বাগনের অধিকাংশ গাছে বেশ বড় বড় ফল এবং ফলনও বেশি। বাগানে রয়েছে লাল, সাদা, পিংক, আমেরিকান বিউটি ও হলুদ জাতের ড্রাগন। হলুদ ড্রাগন গুলো দেখতে খুবই সুন্দর। উদ্যোক্তা লিয়াকত জানান, তার ভাইরা ভাই বিভিন্ন বাগান ঘুরে ভালো জাতের চারা সংগ্রহ করায় তাদের বাগানে ড্রাগনের ফলন ভালো হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন জাতের ড্রাগন থাকায় এবং ফুলে পরাগায়ন করায় ফলের সাইজ বড় হচ্ছে। তিনি আরও জানান অনেকটা শখের বশে বাগান করলেও এখন এই প্রজেক্টটিকে কলেবরে বড় করতে চান। ভবিষ্যতে আরও অন্যান্য প্রজেক্ট করার ইচ্ছা আছে তাদের। তাদের এই প্রজেক্টে ১ জনের স্থায়ী কর্মসংস্থান হয়েছে। তাকে ভালো অংকের টাকা বেতন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৫/৭জন লোকের অনিয়মিত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রজেক্টটিকে ঘিরে কয়েকজনের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়েছে এতেই আমরা খুশি,জানান প্রজেক্টের ডিরেক্টর মিজানুর রহমান।

ট্যাগ :

ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ছোট প্রজেক্ট বড় স্বপ্ন

প্রকাশিত : ১২:৪৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

আন্তরিকতা থাকলে যে কোন কাজে সফলতা পাওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন এম এম গ্রীণ ফিল্ড নামের কৃষি প্রজেক্টের উদ্যোক্তা ৫ ভাইরা ভাই। তাদের কৃষি প্রজেক্টে বিভিন্ন জাতের ড্রাগন চাষ শুরু করার মাত্র দুই বছরে পেয়েছেন অভাবনীয় সফলতা। উদ্যোক্তা ৫ ভাইরা ভাই বিভিন্ন পেশায় কর্মরত থেকেও কৃষির প্রতি হৃদয় নিঙড়ানো ভালোবাসার বর্হিপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তাদের গড়ে তোলা কৃষি প্রজেক্টে। তারা এখন শিক্ষিত ও বেকার যুবকদের অনুকরনীয় হয়ে উঠেছেন। ঝিনাইদহের সদর উপজেলার কুমড়া বাড়িয়া ইউনিয়নের গোয়াইল বাড়ি গ্রামে গড়ে তোলা কৃষি প্রজেক্ট এম এম গ্রীণ ফিল্ডের এমডি লিয়াকত আলী জানান, তার মেঝ ভাইরা ভাই সাংবাদিক ও মিজানুর রহমান তাদেরকে বিভিন্ন সময় তার এলাকার (ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে) ড্রাগন বাগানে নিয়ে যেতেন। বাগান দেখতে দেখতে একসময় বাগান করার ইচ্ছা জাগে। তারপর ২০১৯ সালের মে মাসে এক একর জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করা হয়। এই বছরের (২০২১) জুন মাস পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ফল বিক্রি হয়েছে। এই বছরের বাকি সময়ে আরও ৫ লক্ষ টাকার ফল বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছেন। এমডি শিক্ষক লিয়াকত আলী জানান, তার অন্য ৪ পার্টনার সাংবাদিক মিজানুর রহমান, ব্যাংকার মোত্তাসিম বিল্লাহ শিপলু,ফার্মাসিউটিক্যাল্সে কর্মরত রাহাত খান ও আমেরিকান প্রবাসি রাশিদুল ইসলাম এই প্রজেক্টে প্রায় ১০লাখ টাকা ইনভেস্ট করেছেন। সবাই বিভিন্ন পেশায় কর্মরত থাকায় তাদের খরচ অন্যদের তুলনায় বেশি হয়েছে। তবে তাদের আশা এ বছরেই খরচের টাকা উঠে আসবে। এই বাগনের অধিকাংশ গাছে বেশ বড় বড় ফল এবং ফলনও বেশি। বাগানে রয়েছে লাল, সাদা, পিংক, আমেরিকান বিউটি ও হলুদ জাতের ড্রাগন। হলুদ ড্রাগন গুলো দেখতে খুবই সুন্দর। উদ্যোক্তা লিয়াকত জানান, তার ভাইরা ভাই বিভিন্ন বাগান ঘুরে ভালো জাতের চারা সংগ্রহ করায় তাদের বাগানে ড্রাগনের ফলন ভালো হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন জাতের ড্রাগন থাকায় এবং ফুলে পরাগায়ন করায় ফলের সাইজ বড় হচ্ছে। তিনি আরও জানান অনেকটা শখের বশে বাগান করলেও এখন এই প্রজেক্টটিকে কলেবরে বড় করতে চান। ভবিষ্যতে আরও অন্যান্য প্রজেক্ট করার ইচ্ছা আছে তাদের। তাদের এই প্রজেক্টে ১ জনের স্থায়ী কর্মসংস্থান হয়েছে। তাকে ভালো অংকের টাকা বেতন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৫/৭জন লোকের অনিয়মিত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রজেক্টটিকে ঘিরে কয়েকজনের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়েছে এতেই আমরা খুশি,জানান প্রজেক্টের ডিরেক্টর মিজানুর রহমান।