০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বেইলি ব্রিজের বেহাল দশা

 

এর আগে ১৫ বার বেইলি ব্রিজটি ভেঙে যায়। সেই সংখ্যাটা এখন ১৬ তে পৌঁছেছে! এ পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ যেন শেষ হওয়ার নয়। ভেঙে পড়া ব্রিজটি প্রতিবারই নির্মাণ অবশ্য হয়। তবে তা পুরোদুস্তর যেনতেন ভঙ্গিতে। আর তাই এখন পর্যন্ত ১৬ বার ভাঙার রেকর্ড গড়ে ফেলেছে শ্রীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের চৌধুরী ঘাট এলাকার মাটিকাটা নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি। প্রতিবারের মেরামতে ব্রিজটি সাময়িক চলার উপযোগী হয়। কদিন বাদে যথাযথভাবে ভাঙে সেই বেইলি ব্রিজটি। গাজীপুরের শ্রীপুরের কাওরাইদ জৈনা বাজার আঞ্চলিক সড়কের অত্যন্ত জনগুরুত্বপর্ণূ সেই বেইলি ব্রিজের এই বেহাল দশা নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ জানিয়েছেন।

এই ব্রিজের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। কাওরাইদ ইউনিয়নের চৌধুরী ঘাট এলাকার মাটিকাটা নদীর ওপর তৈরি বেইলি ব্রিজটি ধেবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দ্রুত স্থায়ী সমাধান করা হবে এ সেতুটির।

এলাকাবাসী জানান, বহুদিন ধরেই এ বেইলি ব্রিজটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। প্রায় ব্রিজটির কোনো না কোনো অংশ ভেঙে পড়ে। পরে সাময়িক মেরামতের মাধ্যমেই কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষ ।

তারা জানান, কাওরাইদসহ আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষের চলাচল করে এ সড়কে। প¡ার্শবর্তী গফরগাঁও ও পাগলা এলাকার ১০/১৫টি অঞ্চলের মানুষ এ পথে চলাচল করে। আশপাশে পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারের উন্নতির কারণে এ সড়কের ব্যস্ততাও বেড়েছে অনেক বেশি। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান স্থানীয়রা।

এই বিষয়ে পোল্ট্রি মেডিসিন ও খাদ্য বিক্রেতা মো. আসাদ ঢালি বলেন, কাওরাইদ ও গয়েশপুরসহ আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামে মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি বেশকিছু গরুর খামারও আছে। এসব খামারকে কেন্দ্র করে ফিড ও ওষুধের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। এ সড়কেই সব যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। খাদ্য ও ওষুধের গাড়ি চলাচলের এ অঞ্চলে একমাত্র সড়ক এটি। এ সড়ক ছাড়া এ অঞ্চলের সড়ক পথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হলে অন্তত ২০ কিমি পথ ঘুরে আসতে হয় যা চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।স্থানীয় মানবাধিকার ও সমাজকর্মী রাহাত আকন্দ বলেন, মাটিকাটা নদীর ওপর তৈরি করা ব্রিজটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও নিরুপায় মানুষ এ পথেই চলেন। এ ব্রিজটি স্থায়ী মেরামতের দাবি দীর্ঘদিনের। ভেঙে পড়লেই নামকাওয়াস্তে মেরামত করে দায়সারে কর্তৃপক্ষ। ব্রিজটিও বেশ সরু ও নড়বড়ে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেও এ ব্রিজটি ভেঙে পড়েছিল। কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের ভেঙে পড়ল বেইলি ব্রিজটি।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মাসুদুল হক বলেন, আমাদের লোকজন মেরামতের কাজ করছেন। আপাতত যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এ ব্রিজের স্থায়ী সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই এ ভোগান্তির স্থায়ী সমাধান হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

বেইলি ব্রিজের বেহাল দশা

প্রকাশিত : ০৯:১০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১

 

এর আগে ১৫ বার বেইলি ব্রিজটি ভেঙে যায়। সেই সংখ্যাটা এখন ১৬ তে পৌঁছেছে! এ পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ যেন শেষ হওয়ার নয়। ভেঙে পড়া ব্রিজটি প্রতিবারই নির্মাণ অবশ্য হয়। তবে তা পুরোদুস্তর যেনতেন ভঙ্গিতে। আর তাই এখন পর্যন্ত ১৬ বার ভাঙার রেকর্ড গড়ে ফেলেছে শ্রীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের চৌধুরী ঘাট এলাকার মাটিকাটা নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি। প্রতিবারের মেরামতে ব্রিজটি সাময়িক চলার উপযোগী হয়। কদিন বাদে যথাযথভাবে ভাঙে সেই বেইলি ব্রিজটি। গাজীপুরের শ্রীপুরের কাওরাইদ জৈনা বাজার আঞ্চলিক সড়কের অত্যন্ত জনগুরুত্বপর্ণূ সেই বেইলি ব্রিজের এই বেহাল দশা নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ জানিয়েছেন।

এই ব্রিজের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। কাওরাইদ ইউনিয়নের চৌধুরী ঘাট এলাকার মাটিকাটা নদীর ওপর তৈরি বেইলি ব্রিজটি ধেবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দ্রুত স্থায়ী সমাধান করা হবে এ সেতুটির।

এলাকাবাসী জানান, বহুদিন ধরেই এ বেইলি ব্রিজটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। প্রায় ব্রিজটির কোনো না কোনো অংশ ভেঙে পড়ে। পরে সাময়িক মেরামতের মাধ্যমেই কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষ ।

তারা জানান, কাওরাইদসহ আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষের চলাচল করে এ সড়কে। প¡ার্শবর্তী গফরগাঁও ও পাগলা এলাকার ১০/১৫টি অঞ্চলের মানুষ এ পথে চলাচল করে। আশপাশে পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারের উন্নতির কারণে এ সড়কের ব্যস্ততাও বেড়েছে অনেক বেশি। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান স্থানীয়রা।

এই বিষয়ে পোল্ট্রি মেডিসিন ও খাদ্য বিক্রেতা মো. আসাদ ঢালি বলেন, কাওরাইদ ও গয়েশপুরসহ আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামে মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি বেশকিছু গরুর খামারও আছে। এসব খামারকে কেন্দ্র করে ফিড ও ওষুধের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। এ সড়কেই সব যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। খাদ্য ও ওষুধের গাড়ি চলাচলের এ অঞ্চলে একমাত্র সড়ক এটি। এ সড়ক ছাড়া এ অঞ্চলের সড়ক পথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হলে অন্তত ২০ কিমি পথ ঘুরে আসতে হয় যা চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।স্থানীয় মানবাধিকার ও সমাজকর্মী রাহাত আকন্দ বলেন, মাটিকাটা নদীর ওপর তৈরি করা ব্রিজটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও নিরুপায় মানুষ এ পথেই চলেন। এ ব্রিজটি স্থায়ী মেরামতের দাবি দীর্ঘদিনের। ভেঙে পড়লেই নামকাওয়াস্তে মেরামত করে দায়সারে কর্তৃপক্ষ। ব্রিজটিও বেশ সরু ও নড়বড়ে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেও এ ব্রিজটি ভেঙে পড়েছিল। কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের ভেঙে পড়ল বেইলি ব্রিজটি।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মাসুদুল হক বলেন, আমাদের লোকজন মেরামতের কাজ করছেন। আপাতত যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এ ব্রিজের স্থায়ী সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই এ ভোগান্তির স্থায়ী সমাধান হবে।