০৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে ৫০ শয্যার ‘হোপ আইসোলেশন’ কেন্দ্র চালু

  • কক্সবাজার
  • প্রকাশিত : ১২:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
  • 10

কক্সবাজারে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না। সংকট নিরসনে কক্সবাজার সৈকতের ঝাউবাগানের কবিতা চত্বর এলাকায় শুক্রবার দুপুরে চালু হলো ৫০ শয্যার আরও একটি আইসোলেশন চিকিৎসা কেন্দ্র। কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘হোপ ফাউন্ডেশন’ কেন্দ্রটি পরিচালনা করবে। কেন্দ্রের নামকরণ হয়েছে ‘হোপ আইসোলেশন ও চিকিৎসা কেন্দ্র’। হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান বলেন, হোপ ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৫০ শয্যার এই আইসোলেশন কেন্দ্রটি পরিচালিত হবে। এই কেন্দ্রে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে কক্সবাজারের করোনা আক্রান্ত রোগীদের দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। কেন্দ্রে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ স্বয়ংক্রিয় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর যন্ত্র স্থাপন হয়েছে। কেন্দ্র পরিচালনায় ইতিমধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনজন চিকিৎসক, চারজন নার্স, চারজন প্যারামেডিক, পাঁচজন সাপোর্ট স্টাফ, ৭ জন আয়া-ক্লিনারসহ ২৮ জনের লোকবল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণ আগের তুলনায় বাড়ছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও বিপুলসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। পবিত্র কোরবানির ঈদের পর এ সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। তখন হাসপাতালে রোগীদের ঠাঁই পাওয়া কঠিন হবে। তাই সংকট নিরসনে বেসরকারি উদ্যোগে করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। হোপ ফাউন্ডেশনের ৫০ শয্যার এই আইসোলেশন কেন্দ্র করোনা রোগীদের বড় উপকারে আসবে। তিনি অন্যান্য সংগঠন ও সমাজের বিত্তবানদেরও মানবিক এই সেবা কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

কক্সবাজারে ৫০ শয্যার ‘হোপ আইসোলেশন’ কেন্দ্র চালু

প্রকাশিত : ১২:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

কক্সবাজারে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না। সংকট নিরসনে কক্সবাজার সৈকতের ঝাউবাগানের কবিতা চত্বর এলাকায় শুক্রবার দুপুরে চালু হলো ৫০ শয্যার আরও একটি আইসোলেশন চিকিৎসা কেন্দ্র। কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘হোপ ফাউন্ডেশন’ কেন্দ্রটি পরিচালনা করবে। কেন্দ্রের নামকরণ হয়েছে ‘হোপ আইসোলেশন ও চিকিৎসা কেন্দ্র’। হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান বলেন, হোপ ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৫০ শয্যার এই আইসোলেশন কেন্দ্রটি পরিচালিত হবে। এই কেন্দ্রে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে কক্সবাজারের করোনা আক্রান্ত রোগীদের দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। কেন্দ্রে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ স্বয়ংক্রিয় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর যন্ত্র স্থাপন হয়েছে। কেন্দ্র পরিচালনায় ইতিমধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনজন চিকিৎসক, চারজন নার্স, চারজন প্যারামেডিক, পাঁচজন সাপোর্ট স্টাফ, ৭ জন আয়া-ক্লিনারসহ ২৮ জনের লোকবল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণ আগের তুলনায় বাড়ছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও বিপুলসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। পবিত্র কোরবানির ঈদের পর এ সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। তখন হাসপাতালে রোগীদের ঠাঁই পাওয়া কঠিন হবে। তাই সংকট নিরসনে বেসরকারি উদ্যোগে করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। হোপ ফাউন্ডেশনের ৫০ শয্যার এই আইসোলেশন কেন্দ্র করোনা রোগীদের বড় উপকারে আসবে। তিনি অন্যান্য সংগঠন ও সমাজের বিত্তবানদেরও মানবিক এই সেবা কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।