এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস আরও সংক্ষিপ্ত করার জন্য আন্দোলন করার কথা না ভেবে শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সিলেবাস আরও সংক্ষিপ্ত করার কথা সরকার ভাবছে কি না- এই প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সেই সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। “সংক্ষিপ্ত সিলেবাস আরো সংক্ষিপ্ত করার জন্য কেউ আন্দোলন করলে সেটা আমলে নেওয়া হবে না। তার চাইতে ক্লাসে পাঠদানের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।” শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিও দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। উত্তরে দীপু মনি বলেন, “টিআইবির প্রতিবেদন আমরা দেখেছি, এ বিষয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে টিআইবির প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে এ বিষয়ে সার্বিক বিষয় তুলে ধরা হবে।” গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত টিআইবির প্রতিবেদেনে বলা হয়, মাধ্যমিক পর্যায়ের এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সাড়ে তিন লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ‘লেনদেন’ হয়। এছাড়া শিক্ষক এমপিওভুক্তিতে ৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা এবং শিক্ষক বদলিতে এক থেকে দুই লাখ টাকা লেনদেনে মাউশির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত থাকার অভিযোগও প্রতিবেদনে এসেছে। শিক্ষামন্ত্রী বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এসেছিলেন চক্ষু চিকিৎসা ও ডায়াবেটিস পরীক্ষার উদ্বোধন করতে। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “পত্রিকা খুললেই শুধু নেগেটিভ নিউজ চোখে পড়ে। এতে করে মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। সে কারণে নেগেটিভ নিউজের পাশাপাশি পজিটিভ নিউজকে গুরুত্ব দিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। “মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে পজিটিভ নিউজ পড়লে তার দিনটা ভালো কাটবে, দিলে ভালো একটি কাজ করার উৎসাহ তৈরি হবে।” ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে স্থপতি নিখিল চন্দ্র গুহ এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।