০৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

নেট সমস্যায় বেরোবির এমএসসি পরীক্ষা স্থগিত

আবহাওয়া প্রতিকূল এবং নেটওয়ার্কজনিত সমস্যা দেখিয়ে অনলাইন মাধ্যমে শুরু হওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের এমএসসি ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর স্থগিত করেছে বিভাগটির পরীক্ষা কমিটি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যাচটির শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, কভিড-১৯ শুরুর আগেই এই সেমিস্টার শুরু করে বিভাগটির এমএসসি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত বিশ মাসেও শেষ হয়নি এই সেমিস্টার৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক নেওয়া অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ সিদ্ধান্তের পর গত ৩রা অক্টোবর এমএসসি ২য় সেমিস্টারের কোর্স কোড ৫২০১ এডভান্স ভিএলএসআই কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দেয়। তবে, এতেও শিক্ষার্থীরা বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা দেন এবং খাতা সাবমিট করেন। কিন্তু, পরীক্ষা শেষে বিভাগটির সেই ব্যাচের পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হয়ে যাওয়া পরীক্ষাটিও বাতিল করে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয়৷ এমন কি কবে কখন এই পরীক্ষা নেওয়া হবে এবিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। এতে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিভাগটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করে এক শিক্ষার্থী জানান, ২০১৮ সালের পরীক্ষা ২০২১এর শেষে এসেও দিতে পারছি না। করোনার পূর্বেই প্রথম সেমিস্টার শেষ করলেও এখনো দ্বিতীয় সেমিস্টার শেষ হয়নি। যখন পরীক্ষা শুরু হলো ঠিক তখন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বলে আমাদের হওয়া পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিভাগটি। তিনি আরো বলেন, কেন বন্ধ করা হলো এ বিষয়ে শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাদের সাথে সন্তোষজনক আচরণ করেননি। আমরা চাই অনলাইনেই যত দ্রুত সম্ভব আমাদের পরীক্ষাটা নিয়ে নেওয়া হোক। এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক জোয়ার্দার জাফর সাদিক বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন মারাত্মক রকমের ঝড় এবং বৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষকরাও আটকা পড়ে এবং পরীক্ষার পুরো সময়টা ব্ল্যাকআউট ছিল। এতে শিক্ষার্থীদেরও ফ্রিকোয়েন্ট ইন্টারাপশন হচ্ছিল। দেড় ঘণ্টার পরীক্ষার মধ্যে ১ ঘণ্টা যদি এ রকম অবস্থায় থাকে তাতে পরীক্ষাটা এভাবে ক্যারি ফরওয়ার্ড করাটা ঠিক হবে না৷ এ কারণেই মূলত আমরা পরীক্ষাটা বন্ধ করেছি। একটি পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর সেই পরীক্ষা স্থগিত করাটা কতটুকু আইনসিদ্ধ এ বিষয়ে তিনি বলেন, অনলাইন পরীক্ষার ক্ষেত্রে এটি হতে পারে৷ পরীক্ষার ইনভিজিলেটর এবং সেই কোর্সের শিক্ষকই এই আবেদন করেছেন। তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার দিনেই তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা কমিটির মিটিংয়ের মধ্যে সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তীতে কবে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা খুব দ্রুতই এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, পরীক্ষা বন্ধের বিষয়টি ইইই বিভাগ চিঠির মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়েছে। পরীক্ষা নেওয়া বা বন্ধের বিষয়টি একাডেমিক কমিটি এবং পরীক্ষা কমিটি দেখে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শুধু অনুমোদন দেয়। তিনি বলেন, অনলাইনে পরীক্ষা যেহেতু নতুন একটা সিস্টেম তাই এ ধরণের সমস্যা নতুন এবং এজাতীয় কোনো নীতিমালা প্রণয়ন হয়নি। এ কারণে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে এ ব্যাপারে মতামত দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এর পুরো বিষয়টিই সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং একাডেমিক কমিটি দেখবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়নপত্র জমা

নেট সমস্যায় বেরোবির এমএসসি পরীক্ষা স্থগিত

প্রকাশিত : ০৮:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অক্টোবর ২০২১

আবহাওয়া প্রতিকূল এবং নেটওয়ার্কজনিত সমস্যা দেখিয়ে অনলাইন মাধ্যমে শুরু হওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের এমএসসি ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর স্থগিত করেছে বিভাগটির পরীক্ষা কমিটি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যাচটির শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, কভিড-১৯ শুরুর আগেই এই সেমিস্টার শুরু করে বিভাগটির এমএসসি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত বিশ মাসেও শেষ হয়নি এই সেমিস্টার৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক নেওয়া অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ সিদ্ধান্তের পর গত ৩রা অক্টোবর এমএসসি ২য় সেমিস্টারের কোর্স কোড ৫২০১ এডভান্স ভিএলএসআই কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দেয়। তবে, এতেও শিক্ষার্থীরা বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা দেন এবং খাতা সাবমিট করেন। কিন্তু, পরীক্ষা শেষে বিভাগটির সেই ব্যাচের পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হয়ে যাওয়া পরীক্ষাটিও বাতিল করে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয়৷ এমন কি কবে কখন এই পরীক্ষা নেওয়া হবে এবিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। এতে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিভাগটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করে এক শিক্ষার্থী জানান, ২০১৮ সালের পরীক্ষা ২০২১এর শেষে এসেও দিতে পারছি না। করোনার পূর্বেই প্রথম সেমিস্টার শেষ করলেও এখনো দ্বিতীয় সেমিস্টার শেষ হয়নি। যখন পরীক্ষা শুরু হলো ঠিক তখন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বলে আমাদের হওয়া পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিভাগটি। তিনি আরো বলেন, কেন বন্ধ করা হলো এ বিষয়ে শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাদের সাথে সন্তোষজনক আচরণ করেননি। আমরা চাই অনলাইনেই যত দ্রুত সম্ভব আমাদের পরীক্ষাটা নিয়ে নেওয়া হোক। এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক জোয়ার্দার জাফর সাদিক বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন মারাত্মক রকমের ঝড় এবং বৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষকরাও আটকা পড়ে এবং পরীক্ষার পুরো সময়টা ব্ল্যাকআউট ছিল। এতে শিক্ষার্থীদেরও ফ্রিকোয়েন্ট ইন্টারাপশন হচ্ছিল। দেড় ঘণ্টার পরীক্ষার মধ্যে ১ ঘণ্টা যদি এ রকম অবস্থায় থাকে তাতে পরীক্ষাটা এভাবে ক্যারি ফরওয়ার্ড করাটা ঠিক হবে না৷ এ কারণেই মূলত আমরা পরীক্ষাটা বন্ধ করেছি। একটি পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর সেই পরীক্ষা স্থগিত করাটা কতটুকু আইনসিদ্ধ এ বিষয়ে তিনি বলেন, অনলাইন পরীক্ষার ক্ষেত্রে এটি হতে পারে৷ পরীক্ষার ইনভিজিলেটর এবং সেই কোর্সের শিক্ষকই এই আবেদন করেছেন। তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার দিনেই তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা কমিটির মিটিংয়ের মধ্যে সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তীতে কবে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা খুব দ্রুতই এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, পরীক্ষা বন্ধের বিষয়টি ইইই বিভাগ চিঠির মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়েছে। পরীক্ষা নেওয়া বা বন্ধের বিষয়টি একাডেমিক কমিটি এবং পরীক্ষা কমিটি দেখে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শুধু অনুমোদন দেয়। তিনি বলেন, অনলাইনে পরীক্ষা যেহেতু নতুন একটা সিস্টেম তাই এ ধরণের সমস্যা নতুন এবং এজাতীয় কোনো নীতিমালা প্রণয়ন হয়নি। এ কারণে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে এ ব্যাপারে মতামত দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এর পুরো বিষয়টিই সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং একাডেমিক কমিটি দেখবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর