০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

ভারতে খাদ্যের অভাব ২ বছরের কম বয়সী ৮৯% শিশুর

ভারতে ৬ থেকে ২৩ মাস বয়সী ৮৯ শতাংশ শিশু ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য খাদ্য পায় না। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা প্রতিবেদনে (এনএফএইচএস-৫) এ চিত্র উঠে এসেছে। এর আগের সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশটিতে গ্রহণযোগ্য খাদ্য পায় না দুই বছরের কম বয়সী ৯০.৪ শতাংশ শিশু। এনএফএইচএস সমীক্ষায় দুই বছর না হওয়া পর্যন্ত স্তন্যপান করা এবং বুকের দুধ পান না করা শিশুদের পর্যাপ্ত খাদ্যের ওপর নজর দেয়া হয়। সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯-২১ সালে স্তন্যপান করা ৬ থেকে ২৩ মাসের ৮৮.৯ শতাংশ শিশু পর্যাপ্ত খাবার পায়নি। ২০১৫-১৬ সালে এ হার ছিল ৯১.৩ শতাংশ। এতে বলা হয়, স্তন্যপান না করা দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ৮৭.৩ শতাংশ ২০১৯-২১ মেয়াদে পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়নি। ২০১৫-১৬ মেয়াদে এ হার ছিল ৮৫.৭ শতাংশ। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, দুই বছরের কম বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (২৮.৫ শতাংশ) ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য খাবার পেয়েছে মেঘালয়ের শিশুরা। অন্যদিকে সর্বনিম্ন (৫.৯ শতাংশ) খাবার পেয়েছে উত্তর প্রদেশের শিশুরা। অন্য রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামে ৭.২ শতাংশ, রাজস্থানে ৮.৩ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৮.৯ শতাংশ, অন্ধ্রপ্রদেশে ৯ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৯ শতাংশ, তেলেঙ্গানায় ৯ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৯.১ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ১০ শতাংশ শিশু ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য খাবার পেয়েছে। এ বিষয়ে দ্য কোয়ালিশন ফর ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটির প্রধান উপদেষ্টা ডা. বসন্ত কর বলেন, ‘খাদ্যাভ্যাসের ঘাটতি হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর অন্যতম দারিদ্র্য, পুষ্টির (শস্য, ফল, সবজি, ডিম ইত্যাদি) অভাব, সচেতনতার অভাব এবং নিম্ন শিক্ষা।’

ট্যাগ :

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

ভারতে খাদ্যের অভাব ২ বছরের কম বয়সী ৮৯% শিশুর

প্রকাশিত : ১২:০০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

ভারতে ৬ থেকে ২৩ মাস বয়সী ৮৯ শতাংশ শিশু ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য খাদ্য পায় না। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা প্রতিবেদনে (এনএফএইচএস-৫) এ চিত্র উঠে এসেছে। এর আগের সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশটিতে গ্রহণযোগ্য খাদ্য পায় না দুই বছরের কম বয়সী ৯০.৪ শতাংশ শিশু। এনএফএইচএস সমীক্ষায় দুই বছর না হওয়া পর্যন্ত স্তন্যপান করা এবং বুকের দুধ পান না করা শিশুদের পর্যাপ্ত খাদ্যের ওপর নজর দেয়া হয়। সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯-২১ সালে স্তন্যপান করা ৬ থেকে ২৩ মাসের ৮৮.৯ শতাংশ শিশু পর্যাপ্ত খাবার পায়নি। ২০১৫-১৬ সালে এ হার ছিল ৯১.৩ শতাংশ। এতে বলা হয়, স্তন্যপান না করা দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ৮৭.৩ শতাংশ ২০১৯-২১ মেয়াদে পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়নি। ২০১৫-১৬ মেয়াদে এ হার ছিল ৮৫.৭ শতাংশ। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, দুই বছরের কম বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (২৮.৫ শতাংশ) ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য খাবার পেয়েছে মেঘালয়ের শিশুরা। অন্যদিকে সর্বনিম্ন (৫.৯ শতাংশ) খাবার পেয়েছে উত্তর প্রদেশের শিশুরা। অন্য রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামে ৭.২ শতাংশ, রাজস্থানে ৮.৩ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৮.৯ শতাংশ, অন্ধ্রপ্রদেশে ৯ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৯ শতাংশ, তেলেঙ্গানায় ৯ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৯.১ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ১০ শতাংশ শিশু ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য খাবার পেয়েছে। এ বিষয়ে দ্য কোয়ালিশন ফর ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটির প্রধান উপদেষ্টা ডা. বসন্ত কর বলেন, ‘খাদ্যাভ্যাসের ঘাটতি হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর অন্যতম দারিদ্র্য, পুষ্টির (শস্য, ফল, সবজি, ডিম ইত্যাদি) অভাব, সচেতনতার অভাব এবং নিম্ন শিক্ষা।’