০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

‘ফজলি আম’ রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ উভয়েরই

ফজলি আম রাজশাহীর, নাকি চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ নিয়ে রশি টানাটানি চলছিল এত দিন। অস্তিত্ব পরীক্ষায় নেওয়া হয়েছিল ডিএনএ নমুনাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই আমটি নিজস্ব পণ্য হিসেবে জিআই যৌথভাবে জিআই সনদ পেল উভয় জেলাই। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র ফজলি আমের জিআই স্বত্ত্ব দাবি করার পর, পাল্টা দাবি জানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ। মঙ্গলবার এ নিয়ে ঢাকায় শুনানি হয়। শুনানি শেষে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত সচিব) যনেন্দ্রনাথ সরকার রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমকে যৌথভাবে জিআই পণ্য হিসেবে আদেশ দেন।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন জানান, তিনি রাজশাহীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে জাহাঙ্গীর সেলিম ও মুনজের আলমসহ ৬ জন অংশ নেন। তারাও চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা শুনানি শেষে বিকেলে আদেশ দেওয়া হয়। তাতে যৌথভাবে রাজশাহীও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ফজলি আমের জন্য জিআই সনদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন বলেন, এখন আদেশের বিরুদ্ধে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে আদালতে যেতে পারবেন। রাজশাহীর জন্য কী করা হবে, সেটি পরবর্তীতে ভেবে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আপাতত রায় ঘোষিত আদেশই চূড়ান্ত।

ট্যাগ :

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

‘ফজলি আম’ রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ উভয়েরই

প্রকাশিত : ০৮:০০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২

ফজলি আম রাজশাহীর, নাকি চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ নিয়ে রশি টানাটানি চলছিল এত দিন। অস্তিত্ব পরীক্ষায় নেওয়া হয়েছিল ডিএনএ নমুনাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই আমটি নিজস্ব পণ্য হিসেবে জিআই যৌথভাবে জিআই সনদ পেল উভয় জেলাই। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র ফজলি আমের জিআই স্বত্ত্ব দাবি করার পর, পাল্টা দাবি জানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ। মঙ্গলবার এ নিয়ে ঢাকায় শুনানি হয়। শুনানি শেষে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত সচিব) যনেন্দ্রনাথ সরকার রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমকে যৌথভাবে জিআই পণ্য হিসেবে আদেশ দেন।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন জানান, তিনি রাজশাহীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে জাহাঙ্গীর সেলিম ও মুনজের আলমসহ ৬ জন অংশ নেন। তারাও চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা শুনানি শেষে বিকেলে আদেশ দেওয়া হয়। তাতে যৌথভাবে রাজশাহীও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ফজলি আমের জন্য জিআই সনদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন বলেন, এখন আদেশের বিরুদ্ধে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে আদালতে যেতে পারবেন। রাজশাহীর জন্য কী করা হবে, সেটি পরবর্তীতে ভেবে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আপাতত রায় ঘোষিত আদেশই চূড়ান্ত।