০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪

নবীনগরে আখ চাষ করে পাঁচগুণ লাভ, সম্ভাবনার নতুন দুয়ার

আখ একটি বর্ষজীবী ফসল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আখ (গেন্ডারি) চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার লাউর-ফতেহপুর ইউনিয়নের চারপাড়া গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া। আখ অন্যান্য ফসলের চেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী হলেও লাভ বেশি হওয়ায় ক্রমেই উপজেলা জিনদপুর ইউনিয়নের মালায় বাঙ্গরা গ্রামে বাড়ছে আখ চাষির সংখ্যা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে আশানুরূপ ফলন ও বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় দিন দিন আখ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আখ একটি রসালো ও মিষ্টি জাতীয় ফসল। স্থানীয় ভাবে চাহিদা থাকায় ও বাজারে ন্যায্য মূল্য পাওয়ার কারণে নবীনগরের বেশ কয়েক জন চাষী এখনও আখ চাষ ধরে রেখেছেন। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মাত্র তিন বিঘা জমিতে আখের চাষ হয়েছে। এ বছর কৃষি অফিে সর দেওয়া ঈশ্বরদী ১৫, ১৭, ২৭ এবং বিএসআরআই-১ জাতের আখের চারা রোপণের ফলে চলতি মৌসুমে আখ চাষে বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা আশা করছে। বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে বিক্রি করছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে আকার ভেদে প্রতিটি আখ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ১০০ টাকায়। আখ চাষিরা বলেন, ঝড়-তুফানে ক্ষতি না করলে আখ চাষ নিয়ে তেমন কোন ক্ষতিতে পড়তে হয় না। তা ছাড়া আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না, তবে সেচের প্রয়াজন হয়। আখের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে অন্য ফসলও চাষ করা যায়।

আখ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকরা আরও বলেন, আখ চাষ করতে প্রথমে জমি ৩ থেকে ৪ বার চাষ দিয়ে কয়েকবার মই জমি প্রস্তুুত করে নিয়ে হয়। যেহেতু আখের জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। কার্তিক-অগ্রহায়ণ থেকে শুরু করে ফাগুন-চৈত্র মাস পর্যন্ত আখ চারা রূপন করা হয়। উপজেলার পাক হাজীপুর এলাকার আখ চাষি জামির হোসেন বলেন, আগে অন্য ফসলের চাষ করতাম এখন আখের চাষ করি। এ মৌসুমে এক বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। এতে খরচ হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। ফলন ভাল হয়েছে, আশা করি এক লাখ টাকা আখ বিক্রি করতে পারব।

বাজারের খুচরা আখ ব্যবসায়ী সুমন আহম্মেদ বলেন, এখন আখের বাজার ভাল। এর মধ্যে একটি ক্ষেতের আখ ৯০হাজার টাকা বিক্রি করেছি। আর একটি আখ ক্ষেত এক লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব বলে আশা করি। নবীনগরের কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার বলেন, আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। স্বল্প পরিশ্রম ও কম খরচে আখ চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। নতুন নতুন জাতের আবির্ভাব ঘটিয়ে এবং ছত্রাকের আক্রমন (আখের লাল পচন রোগ) কমিয়ে আনার মাধ্যমে আখ চাষে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা ভাবে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

 

লে.কর্নেল মুনীম ফেরদৌস হলেন র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র

নবীনগরে আখ চাষ করে পাঁচগুণ লাভ, সম্ভাবনার নতুন দুয়ার

প্রকাশিত : ১২:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

আখ একটি বর্ষজীবী ফসল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আখ (গেন্ডারি) চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার লাউর-ফতেহপুর ইউনিয়নের চারপাড়া গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া। আখ অন্যান্য ফসলের চেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী হলেও লাভ বেশি হওয়ায় ক্রমেই উপজেলা জিনদপুর ইউনিয়নের মালায় বাঙ্গরা গ্রামে বাড়ছে আখ চাষির সংখ্যা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে আশানুরূপ ফলন ও বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় দিন দিন আখ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আখ একটি রসালো ও মিষ্টি জাতীয় ফসল। স্থানীয় ভাবে চাহিদা থাকায় ও বাজারে ন্যায্য মূল্য পাওয়ার কারণে নবীনগরের বেশ কয়েক জন চাষী এখনও আখ চাষ ধরে রেখেছেন। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মাত্র তিন বিঘা জমিতে আখের চাষ হয়েছে। এ বছর কৃষি অফিে সর দেওয়া ঈশ্বরদী ১৫, ১৭, ২৭ এবং বিএসআরআই-১ জাতের আখের চারা রোপণের ফলে চলতি মৌসুমে আখ চাষে বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা আশা করছে। বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে বিক্রি করছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে আকার ভেদে প্রতিটি আখ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ১০০ টাকায়। আখ চাষিরা বলেন, ঝড়-তুফানে ক্ষতি না করলে আখ চাষ নিয়ে তেমন কোন ক্ষতিতে পড়তে হয় না। তা ছাড়া আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না, তবে সেচের প্রয়াজন হয়। আখের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে অন্য ফসলও চাষ করা যায়।

আখ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকরা আরও বলেন, আখ চাষ করতে প্রথমে জমি ৩ থেকে ৪ বার চাষ দিয়ে কয়েকবার মই জমি প্রস্তুুত করে নিয়ে হয়। যেহেতু আখের জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। কার্তিক-অগ্রহায়ণ থেকে শুরু করে ফাগুন-চৈত্র মাস পর্যন্ত আখ চারা রূপন করা হয়। উপজেলার পাক হাজীপুর এলাকার আখ চাষি জামির হোসেন বলেন, আগে অন্য ফসলের চাষ করতাম এখন আখের চাষ করি। এ মৌসুমে এক বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। এতে খরচ হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। ফলন ভাল হয়েছে, আশা করি এক লাখ টাকা আখ বিক্রি করতে পারব।

বাজারের খুচরা আখ ব্যবসায়ী সুমন আহম্মেদ বলেন, এখন আখের বাজার ভাল। এর মধ্যে একটি ক্ষেতের আখ ৯০হাজার টাকা বিক্রি করেছি। আর একটি আখ ক্ষেত এক লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব বলে আশা করি। নবীনগরের কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার বলেন, আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। স্বল্প পরিশ্রম ও কম খরচে আখ চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। নতুন নতুন জাতের আবির্ভাব ঘটিয়ে এবং ছত্রাকের আক্রমন (আখের লাল পচন রোগ) কমিয়ে আনার মাধ্যমে আখ চাষে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা ভাবে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব