০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

 প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় প্রধান আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে

কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় প্রধান আসামি ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসময় অন্য আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রামের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভূরুঙ্গামারী আদালতের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলীর আদালতে আসামিদের জামিন ও রিমান্ডের শুনানি হয়। শুনানি শেষে এই আদেশ দেন তিনি।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারকৃত ৬ আসামির পক্ষে এই আদালতে জামিন ও রিমান্ডের আবদন চাওয়া হয়। পরে আদালত আজ ২৯ সেপ্টেম্বর উভয় বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় এ পর্যন্ত ৫ জন শিক্ষক এবং একজন অফিস সহায়ককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক জোবায়ের হোসেন, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। এজাহার নামীয় আসামি অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছে। এদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের নামে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী। এ ঘটনায় গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও কৃষি বিজ্ঞানের পরীক্ষা স্থগিত ও উচ্চতর গণিত এবং জীব বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আজাহার আলী জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলার মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানের ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এসময় আদালত আজকে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে লুৎফর রহমানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে তাদের তথ্য উদঘাটন করে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দিলরুবা আহমেদ শিখা জানান, আসামিরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি সাধন করেছেন। এই ঘটনার নেপথ্যে যারা সম্পৃক্ত রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করতে আটককৃতদের রিমান্ডের প্রয়োজন ছিল। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা না-মঞ্জুর করেন। মামলার মূল হোতা লুৎফর রহমানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন এবং শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং জোবায়ের হোসেনের ৩ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আগামী রবিবার।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এটিএম এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক সরকার আলো এবং অ্যাডভোকেট আমির উদ্দিনসহ ১০ জন আইনজীবী।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

 প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় প্রধান আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত : ০৩:৩৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় প্রধান আসামি ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসময় অন্য আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রামের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভূরুঙ্গামারী আদালতের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলীর আদালতে আসামিদের জামিন ও রিমান্ডের শুনানি হয়। শুনানি শেষে এই আদেশ দেন তিনি।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারকৃত ৬ আসামির পক্ষে এই আদালতে জামিন ও রিমান্ডের আবদন চাওয়া হয়। পরে আদালত আজ ২৯ সেপ্টেম্বর উভয় বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় এ পর্যন্ত ৫ জন শিক্ষক এবং একজন অফিস সহায়ককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক জোবায়ের হোসেন, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। এজাহার নামীয় আসামি অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছে। এদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের নামে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী। এ ঘটনায় গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও কৃষি বিজ্ঞানের পরীক্ষা স্থগিত ও উচ্চতর গণিত এবং জীব বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আজাহার আলী জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলার মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানের ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এসময় আদালত আজকে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে লুৎফর রহমানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে তাদের তথ্য উদঘাটন করে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দিলরুবা আহমেদ শিখা জানান, আসামিরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি সাধন করেছেন। এই ঘটনার নেপথ্যে যারা সম্পৃক্ত রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করতে আটককৃতদের রিমান্ডের প্রয়োজন ছিল। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা না-মঞ্জুর করেন। মামলার মূল হোতা লুৎফর রহমানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন এবং শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং জোবায়ের হোসেনের ৩ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আগামী রবিবার।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এটিএম এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক সরকার আলো এবং অ্যাডভোকেট আমির উদ্দিনসহ ১০ জন আইনজীবী।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব