০১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

হুমকির মুখে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তি মালিকানাধীন রাবার বাগান

বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর চেয়ারম্যান সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড রাবার শিল্পের অত্যন্ত সু-প্রতিষ্ঠিত ও কর্মী বান্ধব একটি প্রতিষ্ঠান। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই রাবার শিল্প। ‘রাবার’ বাংলাদেশের অত্যান্ত সম্ভাবনাময় একটি শিল্প, যার মাধ্যমে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। রাবার শিল্প অত্যন্ত শ্রমঘন শিল্প, যার মাধ্যমে আমরা বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। আজ এই সম্ভাবনাময় রাবার শিল্প কতিপয় কিছু স্বার্থলোভী মানুষরুপী পশুদ্বারা হুমকির সম্মুখীন। যার মাঝে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড অন্যতম।

একের পর এক মিথ্যা মামলা, অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে রাবার গাছ কেটে ফেলা, টেপার ও কর্মচারীদের বাড়ীঘর ভাংচুর, বিপুল পরিমাণ মাসিক চাঁদা দাবি, প্রতিনিয়ত মেরে ফেলার হুমকি; যার ফলে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তি মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান আজ হুমকির সম্মুখীন। আজ আমরা গণমাধ্যমের নিকট এই সম্ভাবনাময় শিল্পটিকে বাঁচানোর আহবান করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই রাবার শিল্পের ভূমিকা অপরসীম। কিছু উদ্যেমী উদ্যোক্তা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এই শিল্পটিকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করছে, যার মাঝে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড অন্যতম। কিন্তু নানানবিধ মানবসৃষ্ট সমস্যার জন্য প্রতিষ্ঠানটি আজ জর্জরিত।

লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর লীজ প্রাপ্ত জমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কর্তৃক জোর পূর্বক স্থাপনা নির্মাণ, লেবার শেড ও টেপার শেড ভাংচুর, ১২ হাজারের বেশী রাবার গাছ কেটে ফেলা, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের প্রাণ নাশের হুমকি এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের মালিক পক্ষ ১১ অক্টোবর ২০২২ইং মঙ্গলবার লামা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, এফ.ডি মোহাম্মদ শাহ করিমুল হক, ডিরেক্টর ইফতেখার আলম মজুমদার সহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লামা রাবার ধ্বংসের পেছনে কারা তৃতীয় পক্ষ হয়ে কাজ করে ? এমন প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, আমাদের পাশে কোন প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে সেটা সবাই জানেন। তিনি বলেন, সহজ সরল উপজাতিদের পেছনে এত টাকা খরচ কে করতে পারেন ? এমন প্রশ্ন রাখছেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।

সরকার ও প্রশাসনের নিকট তারা বিনীত আবেদন করেন, লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এবং রাবার শিল্পকে বাঁচাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করার। রাবার শিল্পকে বাঁচানোর জন্য, লামা রাবার কোম্পানীর পক্ষ থেকে ১০টি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবি সমুহের মধ্যে রয়েছে-

১। লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে যে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটিয়েছে কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক এই যে আজকে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তাদের কষ্টের উপার্জিত অর্থ দিয়ে সাজানো বাগানে সন্ত্রাসীদের তান্ডবে নিবিঘেœ প্রবেশ করতে পারছে না। আমরা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাই বাগানে নিবিঘেœ যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক ।
২। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের জায়গা হতে অনুপ্রবেশকারী, সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক স্থাপিত সকল ধরণের স্থাপনা সমূহ অপসারণ করে লামা রাবারের জায়গা লামা রাবারকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
৩। অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করার দাবি জানাচ্ছি। এ সমস্ত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশের সম্ভানাময় শ্রমঘন বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ী রাবার শিল্পকে বাঁচানোর আহবান জানাচ্ছি।
৪। প্রশাসন কর্তৃক ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করার পরও প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে দেশের প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের লীজপ্রাপ্ত জমিতে সন্ত্রাসী বাহিনীর অস্ত্রসহ মহড়া এবং স্থাপনা নির্মাণ করে দেশের প্রচলিত আইনকে অসম্মান, অমান্য করা হয়েছে। সেই সকল সন্ত্রাসী বাহিনীকে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
৫। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর ১২ হাজারের অধিক রাবার গাছ কেটে শুধু কোম্পানীর আর্থিক ক্ষতিই করেনি বরং পরিবেশের যে বিষদ ক্ষতি করেছে তা অপূরণীয়। কারণ আপনারা জানেন রাবার গাছ সর্ব্বোচ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন প্রদান করে।
৬। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং টেপাররা বাগানে নির্ভয়ে কাজ করতে পারছে না। তারা প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছে। আমরা প্রশাসন এবং সরকারের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি তাদেকে নিবিঘেœ বাগানে কাজ করার পরিবেশ তৈরী করে দেবার জন্য।
৭। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান, এমডি, পরিচালক, ম্যানেজার সহ যে সকল ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
৮। মাননীয় জেলা প্রশাসক কর্তৃক ডিডিএলজি মহোদয়কে আহবায়ক করে যে কমিটি করা হয়েছিল সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লামা রাবারের ১৬০০ একর জায়গা মেপে বুঝিয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।
৯। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডে অনুপ্রবেশকারী, সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক যে ৪ কোটি ২৭ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে সেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
১০। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর লীজকৃত জায়গায় সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্লান্টেশন করার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

ট্যাগ :

হুমকির মুখে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তি মালিকানাধীন রাবার বাগান

প্রকাশিত : ০৮:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর চেয়ারম্যান সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড রাবার শিল্পের অত্যন্ত সু-প্রতিষ্ঠিত ও কর্মী বান্ধব একটি প্রতিষ্ঠান। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই রাবার শিল্প। ‘রাবার’ বাংলাদেশের অত্যান্ত সম্ভাবনাময় একটি শিল্প, যার মাধ্যমে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। রাবার শিল্প অত্যন্ত শ্রমঘন শিল্প, যার মাধ্যমে আমরা বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। আজ এই সম্ভাবনাময় রাবার শিল্প কতিপয় কিছু স্বার্থলোভী মানুষরুপী পশুদ্বারা হুমকির সম্মুখীন। যার মাঝে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড অন্যতম।

একের পর এক মিথ্যা মামলা, অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে রাবার গাছ কেটে ফেলা, টেপার ও কর্মচারীদের বাড়ীঘর ভাংচুর, বিপুল পরিমাণ মাসিক চাঁদা দাবি, প্রতিনিয়ত মেরে ফেলার হুমকি; যার ফলে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তি মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান আজ হুমকির সম্মুখীন। আজ আমরা গণমাধ্যমের নিকট এই সম্ভাবনাময় শিল্পটিকে বাঁচানোর আহবান করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই রাবার শিল্পের ভূমিকা অপরসীম। কিছু উদ্যেমী উদ্যোক্তা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এই শিল্পটিকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করছে, যার মাঝে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড অন্যতম। কিন্তু নানানবিধ মানবসৃষ্ট সমস্যার জন্য প্রতিষ্ঠানটি আজ জর্জরিত।

লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর লীজ প্রাপ্ত জমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কর্তৃক জোর পূর্বক স্থাপনা নির্মাণ, লেবার শেড ও টেপার শেড ভাংচুর, ১২ হাজারের বেশী রাবার গাছ কেটে ফেলা, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের প্রাণ নাশের হুমকি এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের মালিক পক্ষ ১১ অক্টোবর ২০২২ইং মঙ্গলবার লামা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, এফ.ডি মোহাম্মদ শাহ করিমুল হক, ডিরেক্টর ইফতেখার আলম মজুমদার সহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লামা রাবার ধ্বংসের পেছনে কারা তৃতীয় পক্ষ হয়ে কাজ করে ? এমন প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, আমাদের পাশে কোন প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে সেটা সবাই জানেন। তিনি বলেন, সহজ সরল উপজাতিদের পেছনে এত টাকা খরচ কে করতে পারেন ? এমন প্রশ্ন রাখছেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।

সরকার ও প্রশাসনের নিকট তারা বিনীত আবেদন করেন, লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এবং রাবার শিল্পকে বাঁচাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করার। রাবার শিল্পকে বাঁচানোর জন্য, লামা রাবার কোম্পানীর পক্ষ থেকে ১০টি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবি সমুহের মধ্যে রয়েছে-

১। লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে যে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটিয়েছে কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক এই যে আজকে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তাদের কষ্টের উপার্জিত অর্থ দিয়ে সাজানো বাগানে সন্ত্রাসীদের তান্ডবে নিবিঘেœ প্রবেশ করতে পারছে না। আমরা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাই বাগানে নিবিঘেœ যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক ।
২। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের জায়গা হতে অনুপ্রবেশকারী, সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক স্থাপিত সকল ধরণের স্থাপনা সমূহ অপসারণ করে লামা রাবারের জায়গা লামা রাবারকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
৩। অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করার দাবি জানাচ্ছি। এ সমস্ত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশের সম্ভানাময় শ্রমঘন বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ী রাবার শিল্পকে বাঁচানোর আহবান জানাচ্ছি।
৪। প্রশাসন কর্তৃক ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করার পরও প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে দেশের প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের লীজপ্রাপ্ত জমিতে সন্ত্রাসী বাহিনীর অস্ত্রসহ মহড়া এবং স্থাপনা নির্মাণ করে দেশের প্রচলিত আইনকে অসম্মান, অমান্য করা হয়েছে। সেই সকল সন্ত্রাসী বাহিনীকে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
৫। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর ১২ হাজারের অধিক রাবার গাছ কেটে শুধু কোম্পানীর আর্থিক ক্ষতিই করেনি বরং পরিবেশের যে বিষদ ক্ষতি করেছে তা অপূরণীয়। কারণ আপনারা জানেন রাবার গাছ সর্ব্বোচ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন প্রদান করে।
৬। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং টেপাররা বাগানে নির্ভয়ে কাজ করতে পারছে না। তারা প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছে। আমরা প্রশাসন এবং সরকারের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি তাদেকে নিবিঘেœ বাগানে কাজ করার পরিবেশ তৈরী করে দেবার জন্য।
৭। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান, এমডি, পরিচালক, ম্যানেজার সহ যে সকল ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
৮। মাননীয় জেলা প্রশাসক কর্তৃক ডিডিএলজি মহোদয়কে আহবায়ক করে যে কমিটি করা হয়েছিল সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লামা রাবারের ১৬০০ একর জায়গা মেপে বুঝিয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।
৯। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডে অনুপ্রবেশকারী, সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক যে ৪ কোটি ২৭ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে সেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
১০। লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর লীজকৃত জায়গায় সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্লান্টেশন করার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।