০১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টাঙ্গাইলে মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত বাবা ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত স্বামী ও শ্বশুড়কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। দুই বছর পলাতক থাকার পর তাদের সোমবার ভোরে নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ওই দুই ব্যক্তি হচ্ছেন, মো. মজনু (৬১) ও তার ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩১)। তাদের বাড়ি ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামে।
র‌্যাব ১৪ এর ৩ নং কোম্পানীর অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর গ্রেপ্তারকৃত জহুরুল ইসলাম তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে যমুনা নদীতে চুবিয়ে হত্যা করে।

পরে তার লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেন। এই হত্যা ও লাশের ঘুমে তাকে তার বাবা মজনু সহায়তা করে। ঘটনার পর তাসলিমার বাবা বাদি হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মজনু ও জহুরুলকে গ্রেপ্তার করে। তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা যৌতুক না দেয়ায় তাসলিমাকে হত্যা করে লাশ ঘুম করার কথা স্বীকার করেছিলেন।

স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট তাদের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। মামলা চলাকালে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে তারা পলাতক হন।
র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, সাজা এড়াতে তারা উভয়ই নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার গোয়ালদি খান বাজার এলাকায় গরুর খামারে চাকরি নেন। সেখানেই তারা পরিচয় গোপন করে থাকতেন।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র‌্যাব সোমবার ভোরে তাদের সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দুজনের নামে ভূঞাপুর থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। বিকেলে তাদের ভূঞাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ bh

ট্যাগ :

টাঙ্গাইলে মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত বাবা ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত : ০৫:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত স্বামী ও শ্বশুড়কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। দুই বছর পলাতক থাকার পর তাদের সোমবার ভোরে নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ওই দুই ব্যক্তি হচ্ছেন, মো. মজনু (৬১) ও তার ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩১)। তাদের বাড়ি ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামে।
র‌্যাব ১৪ এর ৩ নং কোম্পানীর অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর গ্রেপ্তারকৃত জহুরুল ইসলাম তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে যমুনা নদীতে চুবিয়ে হত্যা করে।

পরে তার লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেন। এই হত্যা ও লাশের ঘুমে তাকে তার বাবা মজনু সহায়তা করে। ঘটনার পর তাসলিমার বাবা বাদি হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মজনু ও জহুরুলকে গ্রেপ্তার করে। তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা যৌতুক না দেয়ায় তাসলিমাকে হত্যা করে লাশ ঘুম করার কথা স্বীকার করেছিলেন।

স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট তাদের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। মামলা চলাকালে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে তারা পলাতক হন।
র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, সাজা এড়াতে তারা উভয়ই নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার গোয়ালদি খান বাজার এলাকায় গরুর খামারে চাকরি নেন। সেখানেই তারা পরিচয় গোপন করে থাকতেন।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র‌্যাব সোমবার ভোরে তাদের সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দুজনের নামে ভূঞাপুর থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। বিকেলে তাদের ভূঞাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ bh