১২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইলে শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ, সেবা দিতে হিমসিম

টাঙ্গাইলে কয়েক দিন যাবত উত্তরের বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে কমছে তাপমাত্রা। আর এই তীব্র শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগী ভর্তি হয়েছে কয়েক গুণ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বাড়তি রোগির চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে শিশু রোগীদের জন্য আসন আছে ২৩টি। সেখানে শুক্রবার পর্যন্ত রোগি ভর্তি আছে ৬৫ জন। এর মধ্যে ৮০ ভাগ রোগি হচ্ছে ঠান্ডায় আক্রান্ত। এছাড়াও ৫৬ জন পুরুষ রোগি ভর্তি আছে।
শুক্রবার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে আসনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি রোগি ভর্তি আছে। বিছানা না পেয়ে ওয়ার্ডের মেঝে ও অনেক রোগি বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগির স্বজনরা জানান, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ।

অনেক বাবা-মা জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এছাড়া নানা বয়সী মানুষ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদর উপজেলার কাতুলী গ্রাম থেকে আসা আকতার হোসেন বলেন, আমার দেড় বছরের ছেলে কয়েক দিন যাবত ঠান্ডা আক্রান্ত। দুই দিন হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। বিছানা না পাওয়ায় ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। শীতে আমাদের ও রোগির খুব কষ্ট হচ্ছে।

শহরের আকুর টাকুরপাড়া এলাকার জয়তন বেগম বলেন, দুই দিন যাবত ঠান্ডা নিয়ে আমার নাতিকে ভর্তি করিয়েছি। বারান্দা অনেক বেশি বাতাস লাগায় আরও বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে মোটামুটি ভালই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বাসাইল উপজেলার কাউলজানি গ্রাম থেকে আসা রহিমা বেগম বলেন, ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত সাড়ে তিন বছরের ছেলে নিয়ে তিন যাবত হাসপাতালে ভর্তি আছি। ঠান্ডার কারনে দিন দিন হাসপাতালে রোগির সংখ্যা বাড়ছে। আমরা যে দিন আসলাম, সেদিন বারান্দায় লোক ছিলো না। দুই দিন যাবত বারান্দায়ও অনেক রোগি চিকিৎসা নিচ্ছে। ডাক্তার দেখে ছুটি দিলে আগামীকাল আমরা বাড়ি চলে যাবো।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, তীব্র শীতের কারনে শিশুরা নিউমোনিয়া ও বড়রা অ্যাজমায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে রোগিও বাড়ছে প্রায় চার গুণ। এদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত। আগামী রোববার থেকে ঠান্ডা জনিত আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড খোলা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

 

জনপ্রিয়

কবি জীবনানন্দ দাশের প্রয়াণ দিবস আজ

টাঙ্গাইলে শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ, সেবা দিতে হিমসিম

প্রকাশিত : ০৩:১০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

টাঙ্গাইলে কয়েক দিন যাবত উত্তরের বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে কমছে তাপমাত্রা। আর এই তীব্র শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগী ভর্তি হয়েছে কয়েক গুণ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বাড়তি রোগির চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে শিশু রোগীদের জন্য আসন আছে ২৩টি। সেখানে শুক্রবার পর্যন্ত রোগি ভর্তি আছে ৬৫ জন। এর মধ্যে ৮০ ভাগ রোগি হচ্ছে ঠান্ডায় আক্রান্ত। এছাড়াও ৫৬ জন পুরুষ রোগি ভর্তি আছে।
শুক্রবার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে আসনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি রোগি ভর্তি আছে। বিছানা না পেয়ে ওয়ার্ডের মেঝে ও অনেক রোগি বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগির স্বজনরা জানান, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ।

অনেক বাবা-মা জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এছাড়া নানা বয়সী মানুষ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদর উপজেলার কাতুলী গ্রাম থেকে আসা আকতার হোসেন বলেন, আমার দেড় বছরের ছেলে কয়েক দিন যাবত ঠান্ডা আক্রান্ত। দুই দিন হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। বিছানা না পাওয়ায় ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। শীতে আমাদের ও রোগির খুব কষ্ট হচ্ছে।

শহরের আকুর টাকুরপাড়া এলাকার জয়তন বেগম বলেন, দুই দিন যাবত ঠান্ডা নিয়ে আমার নাতিকে ভর্তি করিয়েছি। বারান্দা অনেক বেশি বাতাস লাগায় আরও বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে মোটামুটি ভালই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বাসাইল উপজেলার কাউলজানি গ্রাম থেকে আসা রহিমা বেগম বলেন, ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত সাড়ে তিন বছরের ছেলে নিয়ে তিন যাবত হাসপাতালে ভর্তি আছি। ঠান্ডার কারনে দিন দিন হাসপাতালে রোগির সংখ্যা বাড়ছে। আমরা যে দিন আসলাম, সেদিন বারান্দায় লোক ছিলো না। দুই দিন যাবত বারান্দায়ও অনেক রোগি চিকিৎসা নিচ্ছে। ডাক্তার দেখে ছুটি দিলে আগামীকাল আমরা বাড়ি চলে যাবো।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, তীব্র শীতের কারনে শিশুরা নিউমোনিয়া ও বড়রা অ্যাজমায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে রোগিও বাড়ছে প্রায় চার গুণ। এদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত। আগামী রোববার থেকে ঠান্ডা জনিত আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড খোলা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব