০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৫৫ কেজি সোনা চুরি ঘটনায় ফের রিমান্ডে দুই রাজস্ব কর্মকর্তা

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস হাউজের গুদাম বা ভল্ট থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় করা মামলায় দুই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম ও মাসুদ রানার ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সাইফুর রহমান শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত আসামির উপস্থিতিসহ রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সাহেদ, আকরাম শেখ, মো. মাসুম রানা এবং সিপাহী মো. মোজাম্মেল হক, মো. নিয়ামত হাওলাদার, মো. রেজাউল করিম ও মো. আফজাল হোসেনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সাহেদ ও সিপাহী মো. আফজাল হোসেনকে আবার পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। বাকি পাঁচ আসামি কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তার তিনজনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২২ আগস্ট একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ঢাকা কাস্টম হাউজের বিমানবন্দর ট্রানজিট গুদামে ৫৫ কেজি সোনা পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ ছয়টি ডিটেনশন মেমোর পণ্যের হিসাবে গরমিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সোনা চুরির এ ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর)। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় পরদিন রোববার। বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজের নিজস্ব গুদামে দিনভর ইনভেন্টরি শেষে ৫৫ কেজি সোনা চুরি বা বেহাত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে অজ্ঞাতদের আসামি করে। পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য যুগ্ম-কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে কাস্টমস হাউস।

সোনা চুরির ঘটনায় কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবন্দর থানায় এ মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টমস হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি ৫০১ গ্রাম সোনা খোয়া গেছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি। সাধারণত বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা সোনার বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস এ গুদামে রাখা হয়। গুদামে রক্ষিত সোনার হিসাব মেলাতে গিয়েই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

৫৫ কেজি সোনা চুরি ঘটনায় ফের রিমান্ডে দুই রাজস্ব কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ০৬:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস হাউজের গুদাম বা ভল্ট থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় করা মামলায় দুই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম ও মাসুদ রানার ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সাইফুর রহমান শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত আসামির উপস্থিতিসহ রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সাহেদ, আকরাম শেখ, মো. মাসুম রানা এবং সিপাহী মো. মোজাম্মেল হক, মো. নিয়ামত হাওলাদার, মো. রেজাউল করিম ও মো. আফজাল হোসেনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সাহেদ ও সিপাহী মো. আফজাল হোসেনকে আবার পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। বাকি পাঁচ আসামি কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তার তিনজনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২২ আগস্ট একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ঢাকা কাস্টম হাউজের বিমানবন্দর ট্রানজিট গুদামে ৫৫ কেজি সোনা পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ ছয়টি ডিটেনশন মেমোর পণ্যের হিসাবে গরমিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সোনা চুরির এ ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর)। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় পরদিন রোববার। বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজের নিজস্ব গুদামে দিনভর ইনভেন্টরি শেষে ৫৫ কেজি সোনা চুরি বা বেহাত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে অজ্ঞাতদের আসামি করে। পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য যুগ্ম-কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে কাস্টমস হাউস।

সোনা চুরির ঘটনায় কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবন্দর থানায় এ মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টমস হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি ৫০১ গ্রাম সোনা খোয়া গেছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি। সাধারণত বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা সোনার বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস এ গুদামে রাখা হয়। গুদামে রক্ষিত সোনার হিসাব মেলাতে গিয়েই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি