পাবনার ঈশ্বরদীতে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয় লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল বিষ্ফোরণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা সদরের পিআরপুর মোড় বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আওয়ামীলীগ নেতাদের দাবি, দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সরকার ও নির্বাচন বিরোধী লিফলেট বিতরণ করতে না দেয়ায় তাঁরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কমীরা জড়ো হতে শুরু করে। এতে পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী পিআরপুর এলাকায় সরকার পতন ও নির্বাচন বর্জণ বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করছিল। একপর্যায়ে তাঁরা ওই এলাকায় থাকা ঈশ^রদী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে পৌছান। এ সময় আওয়ামীল কার্যালয় থেকে কয়েকজন বেড় হয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওই এলাকা ছাড়তে বলে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বেলা ১১ টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে ৩০ থেকে ৪০ জন যুবক দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসেন। তাঁরা কার্যালয় লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ও তিনটি ককটেল বিষ্ফোরণ করে । এ সময় ঘটনাস্থলে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি আবির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। গুলি ছোড়া যুবকেরা তাঁকে চরথাপ্পর দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রকনুজ্জামানের দাবি, আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সরকার ও নির্বাচন বিরোধী লিফলেট বিতরণ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। এর প্রতিশোধ নিতেই তাঁরা গুলি ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও জড়িতদের খুঁজে বেড় করে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে লিফটেল বিতরণ নিয়ে বিরোধের কারণে বিএনপি কর্মীরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এখনও কারো নাম ঠিকানা জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।




















