০৬:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

আপনার সন্তানের প্রতি নজর রাখুন

  • নুরে আলম :
  • প্রকাশিত : ০৮:১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪
  • 298

আমরা প্রত্যেক অভিভাবকই উদ্বিগ্ন থাকি কোনো মতে যেন সন্তানের টিনএজ বয়সটা ভালোভাবে পার করা যায়। আসলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কি কোনো কারণ আছে তা নিচের আলোচনা থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
কি কি পরিবর্তন বা কি হয় এই সময়ে-
১. হঠাৎ করে শরীরের গঠনের পরিবর্তন
২. হরমনের কারণে পরিবর্তন
৩. আবেগের পরিবর্তন
৪. চাওয়া পাওয়ার পরিবর্তন ইত্যাদি।
সাইকোলজিস্টদের মতে
Adolescence egocentrism তৈরি হয়। নিজের মতো করে পৃথিরীকে দেখতে চায় ব্যাখ্যা করতে, ভাবতে চায়, নিজেকে মনে করে অথোরিটি (ভরমঁৎব) ফিগার। অন্যের সমালেচনা গ্রহণ করতে চায় না, অন্যের ভুল ধরতে চায়, তাদের মধ্যে ভাবনা আসে সবাই যেন তাদের দিকে মনোযোগ দেবে ্ তারা হলো সেন্টার অফ অ্যাটেনশন
১. ভেতরে এক ধরনের সামুদ্রিক ঝড়ের মতো উদ্ভব হয় যাকে আমরা ওহহবৎ ঃঁৎসড়রষ বলি। নিজেকে উপস্থাপন করা, প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দেওয়া, অজানাকে জানার আগ্রহ-কৌতূহল। এই কৌতূহলের কারণে অনেকে নেশায় আসক্ত হতে পারে, দেখি না একটু খেয়ে কেমন লাগে এই যে কৌতূহল, এই কারণে অনেক ছেলে-মেয়ে নেশায় আসক্ত হয়ে যায় এবং বিপদগামী হতে থাকে।
২. Rebellious Bahaviour করা
৩. মোটর কার চালানো, অস্বাভাবিকভাবে, যত্রতত্র দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো।
৪. হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, কি করছে কি পরিণতি হতে পারে।
৫. অনেক ছেলে-মেয়ে প্রেমে পড়ে যায়, কিন্তু এই জড়সধহঃরপ ষড়াব বেশি দিন থাকে না।
৬. বাবার সঙ্গে কনফ্লিক্ট এর কারণে হঠাৎ আচার ব্যবহারের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এতে করে অনেকে জিদ করে স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দেয়। তারপর লেখা পড়াই বন্ধ হয়ে যায়। আবার একগ্রুপ দেখা যায়। অশোভনীয় আচরণ করতে দ্বিধাবোধ করে না।
৭. নিজেকে বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে না।
৮. মোবাইলের রাত্রী জেগে কথা বলা, ইন্টারনেট ফেসবুকের ব্যবহার অনেকগুণ বেড়ে যায়। এতে লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটে একান্ত প্রয়োজনে কাজ করতে হলে তা বদ্ধ জায়গা বা রুমে না করে।
৯. বাইরে রাত্রী যাপন করে বন্ধু-বান্ধবের আডডা মারা, উচ্ছৃঙ্খল জীবনে অভ্যস্ত হওয়া
১০. বাবা-মার সঙ্গে তর্ক করা
কখন বাবা-মা বেশি চিন্তিত হবেন
১. সন্তান যদি বেশ কিছুদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকে, স্কুল থেকে পালায়, ধীরে ধীরে রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে এবং খারাপ ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে মিশতে শুরু করে।
২. বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, বাবা-মা সবার কাছ থেকে নিজেকে গুটায়ে নেওয়া।
৩. এসব ছেলে-মেয়েরা খাবার খাচ্ছে না। অথবা বেশি বেশি খাবার খাচ্ছে।
৪. বারবার দুর্ঘটনায় পড়ছে, খারাপ আচরণ করছে, যেমন নিজের ভুলের কারণে বারবার দুর্ঘটনায় পতিত হয়, Careless accident করে, বাবা-মাকে মানছে না তখন বাবা-মাকে অবশ্যই ভাবতে হবে।
৫. বিষণ্ণতায় ভুগছে কি-না।
৬. বলছে কিছুই ভালো লাগছে না জীবন শেষ করে দেই।
৭. একদম চুপচাপ হয়ে গেছে।
৮. অতীতে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে কি-না।
পরিবারের আর কারও মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা আছে কি-না?
সর্বদা প্রফুল্লচিত্তে রাখা ভালো, ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে আবার প্রয়োজনীয় শাসন করার বিষয় টি ও মনে রাখতে হবে। সন্তানের সাথে বন্ধুসুভব আচরণ করা দরকার। একজন আদর্শিক পিতা হতে হবে। গল্পের ছলে সুশৃঙ্খল জীবন ও সুশিক্ষা দিয়ে যেতে হবে। আর তাহলেই আপনার সন্তান ভালো থাকবে। সমাজ হবে শান্তিময়।

লেখক ও পরামর্শক:
নুরে আলম
সিনিয়র সাংবাদিক ও স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক,
ইব্রাহীমপুর,নবীনগর

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

আইবিডি রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে: উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক

আপনার সন্তানের প্রতি নজর রাখুন

প্রকাশিত : ০৮:১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

আমরা প্রত্যেক অভিভাবকই উদ্বিগ্ন থাকি কোনো মতে যেন সন্তানের টিনএজ বয়সটা ভালোভাবে পার করা যায়। আসলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কি কোনো কারণ আছে তা নিচের আলোচনা থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
কি কি পরিবর্তন বা কি হয় এই সময়ে-
১. হঠাৎ করে শরীরের গঠনের পরিবর্তন
২. হরমনের কারণে পরিবর্তন
৩. আবেগের পরিবর্তন
৪. চাওয়া পাওয়ার পরিবর্তন ইত্যাদি।
সাইকোলজিস্টদের মতে
Adolescence egocentrism তৈরি হয়। নিজের মতো করে পৃথিরীকে দেখতে চায় ব্যাখ্যা করতে, ভাবতে চায়, নিজেকে মনে করে অথোরিটি (ভরমঁৎব) ফিগার। অন্যের সমালেচনা গ্রহণ করতে চায় না, অন্যের ভুল ধরতে চায়, তাদের মধ্যে ভাবনা আসে সবাই যেন তাদের দিকে মনোযোগ দেবে ্ তারা হলো সেন্টার অফ অ্যাটেনশন
১. ভেতরে এক ধরনের সামুদ্রিক ঝড়ের মতো উদ্ভব হয় যাকে আমরা ওহহবৎ ঃঁৎসড়রষ বলি। নিজেকে উপস্থাপন করা, প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দেওয়া, অজানাকে জানার আগ্রহ-কৌতূহল। এই কৌতূহলের কারণে অনেকে নেশায় আসক্ত হতে পারে, দেখি না একটু খেয়ে কেমন লাগে এই যে কৌতূহল, এই কারণে অনেক ছেলে-মেয়ে নেশায় আসক্ত হয়ে যায় এবং বিপদগামী হতে থাকে।
২. Rebellious Bahaviour করা
৩. মোটর কার চালানো, অস্বাভাবিকভাবে, যত্রতত্র দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো।
৪. হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, কি করছে কি পরিণতি হতে পারে।
৫. অনেক ছেলে-মেয়ে প্রেমে পড়ে যায়, কিন্তু এই জড়সধহঃরপ ষড়াব বেশি দিন থাকে না।
৬. বাবার সঙ্গে কনফ্লিক্ট এর কারণে হঠাৎ আচার ব্যবহারের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এতে করে অনেকে জিদ করে স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দেয়। তারপর লেখা পড়াই বন্ধ হয়ে যায়। আবার একগ্রুপ দেখা যায়। অশোভনীয় আচরণ করতে দ্বিধাবোধ করে না।
৭. নিজেকে বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে না।
৮. মোবাইলের রাত্রী জেগে কথা বলা, ইন্টারনেট ফেসবুকের ব্যবহার অনেকগুণ বেড়ে যায়। এতে লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটে একান্ত প্রয়োজনে কাজ করতে হলে তা বদ্ধ জায়গা বা রুমে না করে।
৯. বাইরে রাত্রী যাপন করে বন্ধু-বান্ধবের আডডা মারা, উচ্ছৃঙ্খল জীবনে অভ্যস্ত হওয়া
১০. বাবা-মার সঙ্গে তর্ক করা
কখন বাবা-মা বেশি চিন্তিত হবেন
১. সন্তান যদি বেশ কিছুদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকে, স্কুল থেকে পালায়, ধীরে ধীরে রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে এবং খারাপ ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে মিশতে শুরু করে।
২. বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, বাবা-মা সবার কাছ থেকে নিজেকে গুটায়ে নেওয়া।
৩. এসব ছেলে-মেয়েরা খাবার খাচ্ছে না। অথবা বেশি বেশি খাবার খাচ্ছে।
৪. বারবার দুর্ঘটনায় পড়ছে, খারাপ আচরণ করছে, যেমন নিজের ভুলের কারণে বারবার দুর্ঘটনায় পতিত হয়, Careless accident করে, বাবা-মাকে মানছে না তখন বাবা-মাকে অবশ্যই ভাবতে হবে।
৫. বিষণ্ণতায় ভুগছে কি-না।
৬. বলছে কিছুই ভালো লাগছে না জীবন শেষ করে দেই।
৭. একদম চুপচাপ হয়ে গেছে।
৮. অতীতে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে কি-না।
পরিবারের আর কারও মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা আছে কি-না?
সর্বদা প্রফুল্লচিত্তে রাখা ভালো, ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে আবার প্রয়োজনীয় শাসন করার বিষয় টি ও মনে রাখতে হবে। সন্তানের সাথে বন্ধুসুভব আচরণ করা দরকার। একজন আদর্শিক পিতা হতে হবে। গল্পের ছলে সুশৃঙ্খল জীবন ও সুশিক্ষা দিয়ে যেতে হবে। আর তাহলেই আপনার সন্তান ভালো থাকবে। সমাজ হবে শান্তিময়।

লেখক ও পরামর্শক:
নুরে আলম
সিনিয়র সাংবাদিক ও স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক,
ইব্রাহীমপুর,নবীনগর

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ