০৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

রোমানিয়ায় অভিবাসী পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশিসহ আটক ২১

রোমানিয়ায় অভিবাসী পাচারে জড়িত অভিযোগে ২১ জনকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সীমান্ত পুলিশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সোমবার হাঙ্গেরি সীমান্তবর্তী আরাদ, বিহোর, ব্রাইলা, ডলজ এবং ভরান্সিয়া কাউন্টিতে মানবপাচার চক্রের ব্যবহার করা ৩৫টি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মোট ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠী গঠন, অভিবাসী পাচার এবং ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানানো হয়েছে, আসামিরা রোমানিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, নেপাল, মিশর, তুরস্ক, বেলারুশ, ইতালি এবং অস্ট্রিয়ার নাগরিক। তারা বিভিন্ন স্তরে ভাগ হয়ে একটি অপরাধমূলক গোষ্ঠী গঠন করেছিলেন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল অভিবাসী পাচার।

সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, আসামিরা ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ২৫০ জনেরও বেশি অভিবাসীকে রোমানিয়া থেকে পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন। এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখে চক্রটির চার সদস্যের একটি ছোট দল। এই চারজন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং অস্ট্রিয়ার নাগরিক।

তারা মূলত রাজধানী বুখারেস্ট ও সীমান্তবর্তী তিমিসোয়ারা অঞ্চল থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের গ্রাহক হিসেবে খুঁজে নেয়। সীমান্ত পার করানোর আগে চক্রটি অভিবাসীদের রোমানিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন বাড়িতে লুকিয়ে রাখতো।

রোমানিয়ার পশ্চিম সীমান্তের স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক ট্রেনের মালবাহী বগিতে লুকিয়েও তারা কিছু অভিবাসীকে পাচার করেছে।

অভিবাসীরা কত দিন নেটওয়ার্কটির আওতায় আবাসন এবং খাবার সুবিধা নিতেন, সেটির ওপর নির্ভর করে জনপ্রতি দুই থেকে তিন হাজার ইউরো পর্যন্ত আদায় করেছে চক্রটি। অভিবাসীদের পিক-আপ, গাইডিং, এসকর্টিং, পরিবহন এবং বাসস্থানসহ পাচারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা খরচ যোগ করে প্যাকেজ নির্ধারণ করতো চক্রটি।

আসামিদের মধ্যে একজনকে তার আসল পরিচয় লুকিয়ে রোমানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেকে উপস্থাপনের সময় শনাক্ত করা হয়।

চক্রটির ব্যবহৃত ৩৫টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২২ হাজার ৪৮৫ ইউরো, ২৬ হাজার ৮০৯ রোমানীয় মুদ্রা, ৪০টি সিমা কার্ডসহ ফোন, একটি ঘড়ি, ২৫০টি বিদশি পাসপোর্ট ও ভুয়া বসবাসের অনুমতিপত্র, দুটি ল্যাপটপ, মেমোরি স্টিক, পাচারে ব্যবহৃত ছয়টি গাড়ি এবং অন্যান্য নথি জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। অভিযানের সময় আটজন অভিবাসীকেও শনাক্ত করা হয়েছে।

চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে সীমিত পরিসরে ইউরোপে অবাধ চলাচল অঞ্চল শেনজেনে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে রোমানিয়া। আপাতত কেবল আকাশপথে এই সুবিধা পাবে দেশটি। শেনজেন জোনে যুক্ত হওয়ার শর্ত হিসেবে গত বছর থেকেই অনিয়মিত অভিবাসন ও মানবপাচারবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে বুখারেস্ট।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস

বিজনেস বাংলাদেশ/DS

অটোরিকশা চালককে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার- ২

রোমানিয়ায় অভিবাসী পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশিসহ আটক ২১

প্রকাশিত : ০৬:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

রোমানিয়ায় অভিবাসী পাচারে জড়িত অভিযোগে ২১ জনকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সীমান্ত পুলিশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সোমবার হাঙ্গেরি সীমান্তবর্তী আরাদ, বিহোর, ব্রাইলা, ডলজ এবং ভরান্সিয়া কাউন্টিতে মানবপাচার চক্রের ব্যবহার করা ৩৫টি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মোট ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠী গঠন, অভিবাসী পাচার এবং ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানানো হয়েছে, আসামিরা রোমানিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, নেপাল, মিশর, তুরস্ক, বেলারুশ, ইতালি এবং অস্ট্রিয়ার নাগরিক। তারা বিভিন্ন স্তরে ভাগ হয়ে একটি অপরাধমূলক গোষ্ঠী গঠন করেছিলেন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল অভিবাসী পাচার।

সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, আসামিরা ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ২৫০ জনেরও বেশি অভিবাসীকে রোমানিয়া থেকে পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন। এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখে চক্রটির চার সদস্যের একটি ছোট দল। এই চারজন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং অস্ট্রিয়ার নাগরিক।

তারা মূলত রাজধানী বুখারেস্ট ও সীমান্তবর্তী তিমিসোয়ারা অঞ্চল থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের গ্রাহক হিসেবে খুঁজে নেয়। সীমান্ত পার করানোর আগে চক্রটি অভিবাসীদের রোমানিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন বাড়িতে লুকিয়ে রাখতো।

রোমানিয়ার পশ্চিম সীমান্তের স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক ট্রেনের মালবাহী বগিতে লুকিয়েও তারা কিছু অভিবাসীকে পাচার করেছে।

অভিবাসীরা কত দিন নেটওয়ার্কটির আওতায় আবাসন এবং খাবার সুবিধা নিতেন, সেটির ওপর নির্ভর করে জনপ্রতি দুই থেকে তিন হাজার ইউরো পর্যন্ত আদায় করেছে চক্রটি। অভিবাসীদের পিক-আপ, গাইডিং, এসকর্টিং, পরিবহন এবং বাসস্থানসহ পাচারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা খরচ যোগ করে প্যাকেজ নির্ধারণ করতো চক্রটি।

আসামিদের মধ্যে একজনকে তার আসল পরিচয় লুকিয়ে রোমানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেকে উপস্থাপনের সময় শনাক্ত করা হয়।

চক্রটির ব্যবহৃত ৩৫টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২২ হাজার ৪৮৫ ইউরো, ২৬ হাজার ৮০৯ রোমানীয় মুদ্রা, ৪০টি সিমা কার্ডসহ ফোন, একটি ঘড়ি, ২৫০টি বিদশি পাসপোর্ট ও ভুয়া বসবাসের অনুমতিপত্র, দুটি ল্যাপটপ, মেমোরি স্টিক, পাচারে ব্যবহৃত ছয়টি গাড়ি এবং অন্যান্য নথি জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। অভিযানের সময় আটজন অভিবাসীকেও শনাক্ত করা হয়েছে।

চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে সীমিত পরিসরে ইউরোপে অবাধ চলাচল অঞ্চল শেনজেনে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে রোমানিয়া। আপাতত কেবল আকাশপথে এই সুবিধা পাবে দেশটি। শেনজেন জোনে যুক্ত হওয়ার শর্ত হিসেবে গত বছর থেকেই অনিয়মিত অভিবাসন ও মানবপাচারবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে বুখারেস্ট।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস

বিজনেস বাংলাদেশ/DS