০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত

জয়পুরহাটের পাঁচবিতে ২০১০ সালের চাঞ্চল্যকর আবু হোসাইয়েন হত্যা মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১এর বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৪আসামি উপস্থিত ছিলেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: কোকতারা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মোঃ রাব্বানী একই গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোঃ মোজাফফর হোসেন ও মৃত রুস্তম আলীর স্ত্রী সহীদা বেগম৷ দরগাপাড়া গ্রামের আবু রাহানের ছেলে রাফিউল একই গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা বেগম৷ আমিনা বেগম পলাতক রয়েছেন৷

উল্লেখিত আসামীদের প্রত্যেকের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার নির্দেশ দেন৷

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সঙ্গে বাদির দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে ২৫ শে মার্চ ২০১০ সাকল ৯ ঘটিকার সময় বাদীর বাড়ির উত্তর পার্শ্বে পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে খরের পালায়৷ আবু তাহেরখড় খুলতে থাকলে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলো পাথরি মারপিট করে আবু তাহেরের পুত্র আবু হোসেইয়েন আগায়া আসলে আসামিরা তাকেও বেধরক মারপিট করে ভিকটিম আবু হোসাইয়েন গুরুতর জখম হলে স্থানীয়রা পাঁচবিবি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া সজিমেক হাসপাতালে রেফার করেন৷ এর পর আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় সেখানেই আবু হোসাইনের মৃত্যু হয়৷

এরপর গত (৩ এপ্রিল)২০১০ সালে পাঁচবিবি থানায় আবু হোসাইনের বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত আজ (সোমবার) এ রায় দেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।

জনপ্রিয়

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত

প্রকাশিত : ০৩:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জয়পুরহাটের পাঁচবিতে ২০১০ সালের চাঞ্চল্যকর আবু হোসাইয়েন হত্যা মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১এর বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৪আসামি উপস্থিত ছিলেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: কোকতারা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মোঃ রাব্বানী একই গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোঃ মোজাফফর হোসেন ও মৃত রুস্তম আলীর স্ত্রী সহীদা বেগম৷ দরগাপাড়া গ্রামের আবু রাহানের ছেলে রাফিউল একই গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা বেগম৷ আমিনা বেগম পলাতক রয়েছেন৷

উল্লেখিত আসামীদের প্রত্যেকের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার নির্দেশ দেন৷

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সঙ্গে বাদির দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে ২৫ শে মার্চ ২০১০ সাকল ৯ ঘটিকার সময় বাদীর বাড়ির উত্তর পার্শ্বে পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে খরের পালায়৷ আবু তাহেরখড় খুলতে থাকলে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলো পাথরি মারপিট করে আবু তাহেরের পুত্র আবু হোসেইয়েন আগায়া আসলে আসামিরা তাকেও বেধরক মারপিট করে ভিকটিম আবু হোসাইয়েন গুরুতর জখম হলে স্থানীয়রা পাঁচবিবি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া সজিমেক হাসপাতালে রেফার করেন৷ এর পর আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় সেখানেই আবু হোসাইনের মৃত্যু হয়৷

এরপর গত (৩ এপ্রিল)২০১০ সালে পাঁচবিবি থানায় আবু হোসাইনের বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত আজ (সোমবার) এ রায় দেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS