১২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বস্তি ও ভাড়াটিয়া উচ্ছেদে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন ধরে থাকা অবৈধ বস্তি উচ্ছেদের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৯ আগস্ট) শিক্ষার্থীরা বস্তি গুলো প্রদক্ষিণ করে অবৈধ বাসিন্দাদের ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম প্রদান করে।

আল্টিমেটামে শিক্ষার্থীরা বলেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী ব্যতীত যারা ভাড়ার মাধ্যমে অথবা অবৈধ উপায়ে বসতি স্থাপন করে আছে, তারা যেন আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়। উক্ত সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে না গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও জানায় তারা।

রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ৮৭ একর। এর মধ্যে প্রায় ২০ একর জায়গা দখল করে আছে এসব অবৈধ স্থাপনা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর আবাসনের জন্য করা ভবনগুলোতেও ভাড়ার মাধ্যমে অবস্থান করছে অনেক বহিরাগত। বস্তিগুলোতে বহিরাগতদের অবস্থানের কারণে বিগত বছরগুলোতে নিরাপত্তা জনিত সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়েছে। বস্তিকে ঘিরেই মাদক কারবারের বিরাট সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া ইভটিজিং, জুয়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথেও তাদের সংযোগ আছে বলে জানা যায়। বস্তির লোকজনের উগ্র আচরণের জন্য দীর্ঘদিন থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমরা বস্তি উচ্ছেদের কার্যক্রম গ্রহণ করলেও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মদদে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য যথেষ্ট জায়গা না থাকলেও বিগত কোনো প্রশাসনই বস্তি উচ্ছেদ করে গবেষণা প্লট তৈরির কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

তারা আরও বলেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি বিদ্যাপীঠ। টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় গবেষণার জন্য এখানে প্রচুর জায়গা প্রয়োজন। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে দীর্ঘদিন থেকে এখানে অবৈধ স্থাপনা করে লোকজন বসবাস করছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ লাইন নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তাদেরকে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলা গেল। তারা যদি না মানে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

বস্তি ও ভাড়াটিয়া উচ্ছেদে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

প্রকাশিত : ০৮:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন ধরে থাকা অবৈধ বস্তি উচ্ছেদের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৯ আগস্ট) শিক্ষার্থীরা বস্তি গুলো প্রদক্ষিণ করে অবৈধ বাসিন্দাদের ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম প্রদান করে।

আল্টিমেটামে শিক্ষার্থীরা বলেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী ব্যতীত যারা ভাড়ার মাধ্যমে অথবা অবৈধ উপায়ে বসতি স্থাপন করে আছে, তারা যেন আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়। উক্ত সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে না গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও জানায় তারা।

রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ৮৭ একর। এর মধ্যে প্রায় ২০ একর জায়গা দখল করে আছে এসব অবৈধ স্থাপনা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর আবাসনের জন্য করা ভবনগুলোতেও ভাড়ার মাধ্যমে অবস্থান করছে অনেক বহিরাগত। বস্তিগুলোতে বহিরাগতদের অবস্থানের কারণে বিগত বছরগুলোতে নিরাপত্তা জনিত সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়েছে। বস্তিকে ঘিরেই মাদক কারবারের বিরাট সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া ইভটিজিং, জুয়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথেও তাদের সংযোগ আছে বলে জানা যায়। বস্তির লোকজনের উগ্র আচরণের জন্য দীর্ঘদিন থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমরা বস্তি উচ্ছেদের কার্যক্রম গ্রহণ করলেও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মদদে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য যথেষ্ট জায়গা না থাকলেও বিগত কোনো প্রশাসনই বস্তি উচ্ছেদ করে গবেষণা প্লট তৈরির কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

তারা আরও বলেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি বিদ্যাপীঠ। টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় গবেষণার জন্য এখানে প্রচুর জায়গা প্রয়োজন। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে দীর্ঘদিন থেকে এখানে অবৈধ স্থাপনা করে লোকজন বসবাস করছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ লাইন নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তাদেরকে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলা গেল। তারা যদি না মানে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।