০৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জেকবসন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জেকবসন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ও ইউএসএইডের বৈশ্বিক কার্যক্রম স্থগিতের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা, রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তারা।

অধ্যাপক ইউনূস তার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা তুলে ধরে জানান, তিনি একটি সম্মত কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এর আওতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন।

‘একবার সংস্কার নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে এবং এগুলো বাস্তবায়ন করবে,’ বলেন অধ্যাপক ইউনূস।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জেকবসন জোর দিয়ে বলেন, নতুন সরকারের জন্য নির্বাচন অবশ্যই স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। তিনি সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক চালু করা অপারেশন ডেভিলস হান্ট সম্পর্কেও জানতে চান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বাংলাদেশে সমঝোতার ডাক দিয়েছেন এবং জনগণকে প্রতিশোধের চক্র থেকে বেরিয়ে এসে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করতে বলেছেন।

‘আমরা সবাই এই দেশের সন্তান। প্রতিশোধের কোনো স্থান থাকা উচিত নয়,’ বলেন তিনি। তিনি আরও জানান, তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যেকোনো পরিস্থিতিতে মানবাধিকার রক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন। ‘রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ,’ বলেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএইড স্থগিতের ফলে বাংলাদেশের অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি’র জীবন রক্ষাকারী কার্যক্রমের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে জানান।

তিনি বলেন, আইসিডিডিআর’বি ডায়রিয়া ও কলেরায় মৃত্যুহার প্রায় শূন্যে নামিয়ে এনেছে—বাংলাদেশসহ হাইতির মতো দেশেও।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ইউএসএইডের ভবিষ্যৎ যা-ই হোক, বাংলাদেশের সংস্কার ও পুনর্গঠনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অপরিহার্য। এটি বন্ধ করার সময় নয়।

ডিএস../

জনপ্রিয়

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা

প্রকাশিত : ০৫:২৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জেকবসন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ও ইউএসএইডের বৈশ্বিক কার্যক্রম স্থগিতের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা, রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তারা।

অধ্যাপক ইউনূস তার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা তুলে ধরে জানান, তিনি একটি সম্মত কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এর আওতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন।

‘একবার সংস্কার নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে এবং এগুলো বাস্তবায়ন করবে,’ বলেন অধ্যাপক ইউনূস।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জেকবসন জোর দিয়ে বলেন, নতুন সরকারের জন্য নির্বাচন অবশ্যই স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। তিনি সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক চালু করা অপারেশন ডেভিলস হান্ট সম্পর্কেও জানতে চান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বাংলাদেশে সমঝোতার ডাক দিয়েছেন এবং জনগণকে প্রতিশোধের চক্র থেকে বেরিয়ে এসে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করতে বলেছেন।

‘আমরা সবাই এই দেশের সন্তান। প্রতিশোধের কোনো স্থান থাকা উচিত নয়,’ বলেন তিনি। তিনি আরও জানান, তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যেকোনো পরিস্থিতিতে মানবাধিকার রক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন। ‘রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ,’ বলেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএইড স্থগিতের ফলে বাংলাদেশের অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি’র জীবন রক্ষাকারী কার্যক্রমের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে জানান।

তিনি বলেন, আইসিডিডিআর’বি ডায়রিয়া ও কলেরায় মৃত্যুহার প্রায় শূন্যে নামিয়ে এনেছে—বাংলাদেশসহ হাইতির মতো দেশেও।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ইউএসএইডের ভবিষ্যৎ যা-ই হোক, বাংলাদেশের সংস্কার ও পুনর্গঠনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অপরিহার্য। এটি বন্ধ করার সময় নয়।

ডিএস../