১০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

পোপ লিও’র প্রথম ভাষণে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান

নবনির্বাচিত ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ লিও প্রথম রোববারের ভাষণে বিশ্ব নেতাদের প্রতি শান্তির বার্তা ছড়ানোর আহ্বান জানান। বলেন, পৃথিবীতে আর কোনো যুদ্ধ নয়। ভ্যাটিকানে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে হাজারও মানুষের সামনে দেওয়া এই ভাষণে তিনি ইউক্রেন, গাজা এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে বার্তা দেন। খবর বিবিসি‘র।

পোপ বলেন, ‘আমি বিশ্বের ক্ষমতাধরদের উদ্দেশে আবারও বলতে চাই—আর কোনো যুদ্ধ নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান হয়েছে ৮০ বছর আগে। অথচ আমরা এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের টুকরো টুকরো ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করছি।’

ইউক্রেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি প্রিয় ইউক্রেনীয় জনগণের যন্ত্রণা হৃদয়ে বহন করছি। যেন খুব দ্রুত একটি সত্যিকারের, খাঁটি ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হোক, শিশুরা যেন তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারে।’

গাজা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গাজা উপত্যকার ঘটনা দেখে গভীরভাবে মর্মাহত। অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক, বেসামরিক জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হোক এবং সকল জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হোক।’

পোপ লিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি হয়েছে। আমি আশা করি, আসন্ন আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।’

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর দুই দিনের গোপন কনক্লেভ শেষে পোপ লিও চতুর্দশ ক্যাথলিক চার্চের নতুন নেতা নির্বাচিত হন। আগামী ১৮ মে, সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এক বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অভিষিক্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, তিন বছর আগে রবার্ট প্রেভোস্ট নামে পরিচিত থাকা অবস্থায় পোপ লিও রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনকে ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের নিন্দা জানিয়েছিলেন।

 

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

পোপ লিও’র প্রথম ভাষণে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান

প্রকাশিত : ০৩:৫৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

নবনির্বাচিত ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ লিও প্রথম রোববারের ভাষণে বিশ্ব নেতাদের প্রতি শান্তির বার্তা ছড়ানোর আহ্বান জানান। বলেন, পৃথিবীতে আর কোনো যুদ্ধ নয়। ভ্যাটিকানে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে হাজারও মানুষের সামনে দেওয়া এই ভাষণে তিনি ইউক্রেন, গাজা এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে বার্তা দেন। খবর বিবিসি‘র।

পোপ বলেন, ‘আমি বিশ্বের ক্ষমতাধরদের উদ্দেশে আবারও বলতে চাই—আর কোনো যুদ্ধ নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান হয়েছে ৮০ বছর আগে। অথচ আমরা এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের টুকরো টুকরো ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করছি।’

ইউক্রেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি প্রিয় ইউক্রেনীয় জনগণের যন্ত্রণা হৃদয়ে বহন করছি। যেন খুব দ্রুত একটি সত্যিকারের, খাঁটি ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হোক, শিশুরা যেন তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারে।’

গাজা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গাজা উপত্যকার ঘটনা দেখে গভীরভাবে মর্মাহত। অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক, বেসামরিক জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হোক এবং সকল জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হোক।’

পোপ লিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি হয়েছে। আমি আশা করি, আসন্ন আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।’

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর দুই দিনের গোপন কনক্লেভ শেষে পোপ লিও চতুর্দশ ক্যাথলিক চার্চের নতুন নেতা নির্বাচিত হন। আগামী ১৮ মে, সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এক বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অভিষিক্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, তিন বছর আগে রবার্ট প্রেভোস্ট নামে পরিচিত থাকা অবস্থায় পোপ লিও রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনকে ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের নিন্দা জানিয়েছিলেন।

 

ডিএস./