১০:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ভোলার বেতুয়া লঞ্চ টার্মিনাল চালু হলে সুবিধা পাবে ৬ লক্ষাধিক মানুষ

ভোলা বেতুয়া বন্দরে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার একমাত্র দৃষ্টিনন্দন লঞ্চ টার্মিনাল। ভোলার সর্ব দক্ষিণের উপজেলা চরফ্যাশনে তিনতলা বিশিষ্ট এই টার্মিনারের নির্মাণকাজ শেষ।যেকোন সময়ে উদ্বোধন হবে।

১ হাজার ১০৬ দশমিক ৩১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে বেতুয়া লঞ্চঘাটে এই টার্মনাল করা হয়েছে। জেলা সদর ভোলা থেকে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরফ্যাশনের দূরুত্ব দেড়শ’ কিলোমিটার। চরফ্যাশনের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের মোকাম রাজধানীর সাথে।ঢাকার সাথে তাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ।

চরফ্যাশন থেকে ঢাকাগামী লঞ্চঘাট ৪টি লঞ্চঘাট রয়েছে। তারমধ্যে বেতুয়া লঞ্চঘাট যাত্রীবহুল। বিগত সরকার আমলে বেতুয়া বন্দর ঘোষণার পরে অবকাঠামো উন্নয়নে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে টার্মিনালের কাজ শুরু হয়।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই টার্মিনালের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।অন্তর্বতীকালীন সরকারের নৌ উপদেষ্টা (অব:) ব্রিগেডিয়ার এম শাখাওয়াত হোসেন টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন।

২০২৫ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরে নৌ মন্ত্রণালয়ের কাছে কাজ বুঝিয়ে দেয় সংশ্লিস্ট ঠিকাদার।

আসলামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে ৮ শতাংশ জমির উপর সাড়ে ৩ হাজার স্কয়ার ফিটের ৩ তলা বিশিষ্ট আধুনিক বেতুয়া লঞ্চ টার্মিনাল। উন্নত প্রযুক্তি ও অবকাঠামো নির্মাণ শৈলী রয়েছে টার্মিনাল ভবনে। এছাড়াও যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য আরামদায়ক ভিআইপি ওয়েটিংরুম, বিশ্রামাগার, সহজ প্রবেশাধিকার এবং রেস্টুরেন্ট, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও যাত্রী নিরাপত্তার আনসার ও মনিটরিং ব্যবস্থাপনা রয়েছে। পাশাপাশি টার্মিনাল থেকে নিরাপদে পন্টুন ও লঞ্চে ওঠানামার জন্য রয়েছে নির্মিত হয়েছে আধুনিকমানের গ্যাংওয়ে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র বরিশাল বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল আলম বলেন, ৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিতে সংস্থার প্রকল্পে এই ভবনটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আধুনিক এ ভবনে উন্নত পন্টুন ও গ্যাংওয়ে নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সহজ ও নিরাপদ এবং আরামদায়ক করা হয়েছে। জুন মাসে টার্মিনালের কাজ শেষ সম্পন্ন হয়েছে।

অক্টোবরের শেষে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগে: অব: শাখাওয়াত হোসেন টার্মিনাল উদ্ভোধন করার সম্ভবনা রয়েছে।

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর অভিযানে কান্দাহারে নিহত ৪০

ভোলার বেতুয়া লঞ্চ টার্মিনাল চালু হলে সুবিধা পাবে ৬ লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত : ০৪:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

ভোলা বেতুয়া বন্দরে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার একমাত্র দৃষ্টিনন্দন লঞ্চ টার্মিনাল। ভোলার সর্ব দক্ষিণের উপজেলা চরফ্যাশনে তিনতলা বিশিষ্ট এই টার্মিনারের নির্মাণকাজ শেষ।যেকোন সময়ে উদ্বোধন হবে।

১ হাজার ১০৬ দশমিক ৩১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে বেতুয়া লঞ্চঘাটে এই টার্মনাল করা হয়েছে। জেলা সদর ভোলা থেকে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরফ্যাশনের দূরুত্ব দেড়শ’ কিলোমিটার। চরফ্যাশনের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের মোকাম রাজধানীর সাথে।ঢাকার সাথে তাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ।

চরফ্যাশন থেকে ঢাকাগামী লঞ্চঘাট ৪টি লঞ্চঘাট রয়েছে। তারমধ্যে বেতুয়া লঞ্চঘাট যাত্রীবহুল। বিগত সরকার আমলে বেতুয়া বন্দর ঘোষণার পরে অবকাঠামো উন্নয়নে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে টার্মিনালের কাজ শুরু হয়।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই টার্মিনালের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।অন্তর্বতীকালীন সরকারের নৌ উপদেষ্টা (অব:) ব্রিগেডিয়ার এম শাখাওয়াত হোসেন টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন।

২০২৫ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরে নৌ মন্ত্রণালয়ের কাছে কাজ বুঝিয়ে দেয় সংশ্লিস্ট ঠিকাদার।

আসলামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে ৮ শতাংশ জমির উপর সাড়ে ৩ হাজার স্কয়ার ফিটের ৩ তলা বিশিষ্ট আধুনিক বেতুয়া লঞ্চ টার্মিনাল। উন্নত প্রযুক্তি ও অবকাঠামো নির্মাণ শৈলী রয়েছে টার্মিনাল ভবনে। এছাড়াও যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য আরামদায়ক ভিআইপি ওয়েটিংরুম, বিশ্রামাগার, সহজ প্রবেশাধিকার এবং রেস্টুরেন্ট, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও যাত্রী নিরাপত্তার আনসার ও মনিটরিং ব্যবস্থাপনা রয়েছে। পাশাপাশি টার্মিনাল থেকে নিরাপদে পন্টুন ও লঞ্চে ওঠানামার জন্য রয়েছে নির্মিত হয়েছে আধুনিকমানের গ্যাংওয়ে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র বরিশাল বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল আলম বলেন, ৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিতে সংস্থার প্রকল্পে এই ভবনটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আধুনিক এ ভবনে উন্নত পন্টুন ও গ্যাংওয়ে নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সহজ ও নিরাপদ এবং আরামদায়ক করা হয়েছে। জুন মাসে টার্মিনালের কাজ শেষ সম্পন্ন হয়েছে।

অক্টোবরের শেষে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগে: অব: শাখাওয়াত হোসেন টার্মিনাল উদ্ভোধন করার সম্ভবনা রয়েছে।

ডিএস./