ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগ সংলগ্ন মর্গের সামনে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে বিলাপ করে কাদছিলেন‘আমার নিরীহ পোলাডারে কেডা মাইরা ফালাইলো গো, আমার নাতিডারে এতিম বানাইলো কোন অপরাধে, ও আমার বাজানগো’বৃদ্ধা বানেছা বেগম। পাশেই একটি চেয়ারে মূর্তির মতো বসে আছেন বৃদ্ধার পুত্রবধূ। টপটপ করে চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রু। স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে হতবিহ্বল হয়ে এদিক-সেদিক তাকাচ্ছেন তিনি।
আজ সকালে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন হতদরিদ্র রিকশাচালক সুমন (২৫)। মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে সুমনের স্ত্রী শান্তা জানান, ২০১১ সালে তাদের বিয়ে হয়।
সংসারে শেফায়েত ও শাহাদাত নামে চার ও পাঁচ বছরের দু’টি শিশু রয়েছে। সুমনই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। মাত্র তিন হাজার টাকায় বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতেন তারা। এখন দু’টি শিশুকে নিয়ে কোথায় দাঁড়াবেন তা জানেন না তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরেকটি স্টাফ বাস ও প্রাইভেটকারে ধাক্কা দিলে দুইজন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে একজন রিকশাচালক সুমন। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মরদেহ ঢামেকের মর্গে আছে।
এ ঘটনায় আহত নূর আলম (৩০) ও শরীফ (২০) ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন
বিবি/রেআ
























