লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণ করা শরীয়তপুরের উত্তম দাস নামে এক যুবকের মরদেহ পৌঁছেছে পরিবারের কাছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ চাকধ আনা হয় মরদেহটি। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকে কাতর মা-বাবা, ভাইসহ আত্মীয়-স্বজন। নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত উত্তম দাস (২৫) উপজেলার ভূমখাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকধ গ্রামের গৌতম দাসের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে উত্তমই বড়।
তিনি স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে গত বছর স্থানীয় আক্কাছ দালালের মাধ্যমে লিবিয়া যায়। সেখান থেকে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে তার মৃত্যু হয়। উত্তমের মা কল্পনা রানী দাস ছেলের শোকে চিৎকার করে কান্না করে বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। উত্তমের বাবা গৌতম দাস বলেন, ছেলের লাশ পাওয়া গেছে এমন খবর প্রশাসন থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল। আমরা প্রথমে বিশ্বাস করিনি। শেষবারের মতো ছেলের মুখটা দেখতে পেলাম। যারা আমার ছেলেকে প্রলোভন দেখিয়ে ইতালি পাঠানোর নাম করে নৌকায় তুলেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণ করে উত্তম দাস। তার মৃত্যুর বিষয়ে পরিবারকে জানানো হয়েছিল। ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক। জেলা প্রশাসন নিহতের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেবে।
বিজনেস বাংলাদেশ-/ ইএম




















