০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্বেতী রোগীর চিকিৎসায় হোমিওসমাধান

শ্বেতী রোগের প্রকৃত কারণ সম্বন্ধে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না তবে পারদ ও উপদংশ রোগ এবং স্নায়বিক কারনে এই রোগ উৎপন্ন হয় বলে অনেকে মনে করে,শ্বেতী বা ধবল রোগ খুবই অস্বস্তিকর একটি রোগ। এ রোগের কারণে সমাজে অনেক বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। আমরা সকলেই জানি আমাদের ত্বকের নিচে আছে মেলানিন নামের এক প্রকার হরমোন ।

যা আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ করে থাকে।এই হরমোনের তারতম্যের কারণেই গায়ের রং ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যদি ত্বকের কোন স্থানে এই মেলানিন রোগাক্রান্ত হয় বা যদি এর উৎপাদন কমে যায় বা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ত্বকের ঐ স্থানটি সাদা বা কালো হয়ে যায়।

যখন ত্বকের স্বাভাবিক রং থাকে না বা ত্বকের একটি অস্বাভাবিক রং দেখতে পাওয়া যায়। তখন তাকে শ্বেতী বা ধবল রোগ বলা হয়। ইংরেজিতে একে ভিটিলিগো বলা হয়।অনেকেই শ্বেতী রোগকে কুষ্ঠ রোগ মনে করেন।কিন্তু একদমই ভুল।শ্বেতী এবং কুষ্ঠ রোগ সম্পূর্ণ আলাদা দুটি রোগ।

বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত যে কোনও বয়সেই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে৷ তবে ১০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়। এটা সাদা, কালো এবং বাদামী সব বর্ণের লোকদের মধ্যেই হতে দেখা যায় এবং বংশগত ভাবেও এ রোগ হতে পারে। তবে এটি মোটেই ভয়াবহ রোগ নয়! এটির সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেতীতে আক্রান্ত রোগীকে দেখলে আঁতকে ওঠেন অনেকে। শ্বেতীতে আক্রান্ত রোগীরা বেশির ভাগই মানসিক অবসাদে ভোগেন।

★শ্বেতী রোগ কি?
ত্বকের মধ্যের মেলানোসাইট কোষে থাকে মেলানিন, যা ত্বকের স্বাভাবিক রঙের ভারসাম্য রক্ষা করে। মেলানিনের ক্রিয়াকলাপে বাধা সৃষ্টি হলে বা ভারসাম্য নষ্ট হলেই দেখা দেয় শ্বেতী। শ্বেতী বংশগতভাবেও হয়।

আজ শ্বেতী রোগ নিয়ে কলাম লিখেছেন,বাংলাদেশের বিশিষ্ট হোমিও গবেষক,ডা.এম এ মাজেদ তিনি তার কলামে লিখেন…কথায় আছে ‘‌পহলে দর্শনধারী ফির গুণবিচারী’‌। সুন্দর মুখের অধিকারী সকলেই হতে চায়। কিন্তু মাঝে মাঝেই মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় শ্বেতী। ত্বকের এই সমস্যায় অনেকেই ভোগেন।

কি ছেলে কি মেয়ে, এই সমস্যা অনেকেরই রয়েছে, প্রতি ১০০ জন শ্বেতী রোগীর মধ্যে ৩০ জনের ক্ষেত্রেই শ্বেতী হয় বংশগত ধারায়, মাতৃকুল বা পিতৃকুলের কারও না কারও থেকে জিনের প্রভাবে। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে শ্বেতী সাদা দাগ ছড়াতে থাকে নিজস্ব কারণে, যার মূলে রয়েছে মেলানিনের কারসাজি! বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ শ্বেতীতে আক্রান্ত। প্রয়াত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনও এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

শরীরের কোন অংশে দেখা দেয় শ্বেতী?

সাধারণত মুখমণ্ডল, কনুই, বুকেই প্রথমে শ্বেতী হতে শুরু করে। কখনও কখনও শ্বেতী চোখের পাশ দিয়ে, নাকের দুপাশে বা ঠোঁটের কোণ বা উপর দিয়েও শুরু হয়। কিছু ক্ষেত্রে শ্বেতী খুব একটা ছড়ায় না, একটা বিশেষ জায়গাতেই থাকে। আবার কখনও এমন ভাবে মুখে, বুকে, হাতে, পায়ে ছড়িয়ে পড়ে যে বোঝাই না এক সময় গায়ের রং আসলে কী ছিল! দ্বিতীয় ধরনের শ্বেতীর দাগই মানুষকে শ্রীহীন করে তোলে। ৫০ শতাংশ শ্বেতী ধরা পড়ে বয়স বছর দশেক হওয়ার পর।

★শ্বেতী রোগীর বৈশিষ্ট্যঃ-

একজন মানুষের জন্মের পর কোনো জ্ঞাত কারণ ছাড়াই তার শরীরের বিভিন্ন স্থানের চামড়া সাদা হয়ে যাওয়াকেই শ্বেতী রোগ বলা হয়। শ্বেতী রোগের সাথে লিউকোডামার পার্থক্য রয়েছে। কারণ লিউকোডার্মার চিকিৎসা পর্যায়ে এটি শতকরা একশ ভাগ নিরাময়যোগ্য। এখানে উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, কারো শরীরের কোনো অংশ পুড়ে গেলে ঘা শুকানোর এক পর্যায়ে স্থানটি সাদা হয়ে যায়। এটাকে বলা হয় লিউকোডার্মা যা খুব সহজে নিরাময়যোগ্য। এই রোগের কারণ জানা থাকায় সহজেই এর চিকিৎসা করা যায়।

★শ্বেতী রোগের তথ্যঃ-

শ্বেতী রোগের প্রকৃত তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয়ে থাকে যে, একাধিক কারণে এই রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত প্রবণতাও এ রোগের সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে ধারণা করা হয়।বহু টাকা খরচ করেও এই শ্বেতীর হাত থেকে মুক্তি পাননি এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়।

তবে নতুন সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ওষুধের বিকল্প হিসাবে ‘‌সাপের তেল’‌ ব্যবহার করে প্রায় ১৪ জন ত্বকের এই মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এখন সাপের তেল কোথায় পাবেন বা কোথায় কিনবেন এত জটিল প্রশ্নে না গিয়ে হোমিওপ্যাথিতেও যে এই শ্বেতী নিরাময় হয় তা কি জানতেন?

শ্বেতীর চিকিৎসায় সাপের বিষ সহ ২৫টি চিকিৎসা রয়েছে। মডেল উইনি হারলো এবং প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসন এই শ্বেতী নিয়েই তাঁর ফ্যানেদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।

শ্বেতীর চিকিৎসায় ২০০ জনের মধ্যে একজনের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্প্রতি তা অসম্ভব। ‌যদিও ভারতীয় গবেষকদের গবেষণায় শ্বেতী রোগ মুক্তির অন্য এক দিক উঠে এসেছে।

বাংলাদেশের মতোই সারাবিশ্বে শ্বেতী – বড় অদ্ভুত একটি রোগ, তবে ভয়াবহ নয় মোটেও! শুধুমাত্র রোগটি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেতী রোগীকে দেখলে ভয়ে আঁতকে ওঠেন অনেকেই।বেঙ্গালুরুর ক্লাসিকহোমিওপ্যাথির গবেষকদের দাবি, অন্য কোনও ওষুধ নয়, একমাত্র হোমিওপ্যাথিই শ্বেতী থেকে মুক্তি দিতে পারে।

গোটা বিশ্বে ২০০ লক্ষ মানুষ শ্বেতীর জন্য হোমিওপ্যাথিকে বন্ধু বানাচ্ছেন। হোমিওপ্যাথি ওষুধের ফলে ১৩ জন মহিলা ও ১ জন পুরুষের শ্বেতী সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে গিয়েছে। রোগিরা গত ৫৮ মাস ধরে হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করার পর ত্বকের এই রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

দুবাইয়ে এই শ্বেতী নিরাময়ের অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু সেই চিকিৎসার পরও যে শ্বেতী থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া যাবে সেই নিশ্চয়তা নেই। হোমিওপ্যাথি এ দেশে গত ১০০ বছর ধরে শুধু শ্বেতীর ক্ষেত্রেই নয়, বিভিন্ন রোগ নিরাময়েই যথেষ্ট কার্যকর।

★শ্বেতী রোগের বিভিন্ন নামঃ-

*ফোকাল শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতী রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত শরীরের এক বা দুটি স্থানের চামড়া সাদা হয়ে যায়। মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ এ ধরনের রোগী পাওয়া যায়। এ ধরনের রোগীর ২৫ শতাংশের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, রোগটি আপনাআপনিই সেরে যায়। এ ধরনের শ্বেতীর চিকিৎসার ফল খুবই ভালো। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় এবং

৬০ ভাগ রোগীই সম্পূর্ণ নিরাময় লাভ করে। এমনকি আমাদের দেশীয় একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সংখ্যা ৮০ ভাগ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য কয়েক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। স্কিন গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমেও এর চিকিৎসা করা যেতে পারে।

* সেগমেন্টাল শ্বেতী : সাধারণত : এ ধরনের শ্বেতী শরীরের একটি অংশে দেখা যায়। আমাদের দেশে মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে ৩ শতাংশ এই শ্রেণীর রোগী পাওয়া যায়। প্রকৃতিগতভাবে এটি স্থিতিশীল কিন্তু আপনাআপনিই সেরে যাওয়ার কোনো প্রবণতা এ ধরনের শ্বেতী রোগের মধ্যে দেখা যায় না।

আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৬৫ শতাংশের মধ্যে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার ৪০ ভাগ। আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বয়ের মাধ্যমে এ ধরনের শ্বেতী রোগের নিরাময়ের হার ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। রোগ নিরাময়ে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। স্কিন গ্লাফটিংয়ের জন্য এ ধরনের রোগী বিশেষ উপযুক্ত।

*এক্রোফেসিয়াল শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতী রোগীর হাত-পায়ের উপরে নিচে দু’দিকে, আঙ্গুলের ডগা, কব্জি, কনুই, অ্যাংকেল, হাঁটু, ঠোঁট, চোখের চার পাশে, মুখ ও যৌনাঙ্গে সাদা দাগের সৃষ্টি হয়। মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত এ ধরনের রোগী দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে এটি স্থিতিশীল ধরনের হলেও অনেক সময় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এটা শরীরের ব্যাপক অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

আমাদের চিকিৎসায় এ ধরনের রোগীর প্রতি ওষুধ প্রয়োগের পর কাক্সিক্ষত ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় খুবই ধীরে। এই হার ৫০ শতাংশ এবং রোগ নিরাময়ের হার মাত্র ৩০ শতাংশ। তবে বিরাজমান বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বিতভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাময়ের হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এই শ্রেণীর শ্বেতী নিরাময়ে কয়েক বছর চিকিৎসা লেগে যেতে পারে। অবে অনেক ক্ষেত্রে শরীরের অল্প কিছু স্থানে এটি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে বিধায় স্কিন গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমেও এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা করা যায়। তবে এটা করতে হবে অত্যন্ত দক্ষ সার্জনের মাধ্যমে।

*ভালগারিস শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতীতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বুক, পেট, পিঠ, ঘাড়, মাথা ইত্যাদি স্থানে ব্যাপকভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়ে এবং এটা অস্থিতিশীল প্রকৃতির। কোনো রকম চিকিৎসা ছাড়াই রোগের উন্নতি বা অবনতি ঘটতে পারে। শ্বেতী রোগে আক্রান্ত মোট রোগীর ৬০ শতাংশই এ ধরনের রোগী। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার ৫০ শতাংশ। তবে আমাদের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয়ে নিরাময়ের হার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। রোগ নিরাময়ে কয়েক বছর সময় লাগে। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে স্কিন গ্রাফটিং প্রযোজ্য নয়।

*ইউনিভার্সালিজ শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতীতে আক্রান্তদের সাড়া শরীর (মাথা থেকে পা পর্যন্ত) এমনকি শরীরের লোম পর্যন্ত সাদা হয়ে যায়। তবে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা খুবই কম। যা মোট শ্বেতী রোগীর ২ শতাংশের বেশি হবে না। এটা স্থিতিশীল প্রকৃতির হলেও কখনো কখনো রোগীর মুখমণ্ডল, অঙ্গ-প্রতঙ্গ, কনুই ও হাঁটুতে রোগের কিছুটা ভালো হওয়ার আভাস দেখা যায়। এ ধরনের রোগীরা থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা আজ পর্যন্ত এ ধরনের শ্বেতী রোগের নিরাময়ের কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে পারেননি।

★হোমিওপ্রতিবিধানঃ

আমাদের দেশে বর্তমানকালে হোমিওপ্যাথির গতি আছে,কিন্ত গন্তব্য নেই,গন্তব্যন বিহীন গতি যদি টানে আর সংকট থেকে মুক্তির একটা উপায় আমাদের খুঁজতে হবে,একটু পিছনে ফিরে তাকালে আমরা দেখতে পাই হোমিওপ্যাথি আবিষ্কারেে রুগ্নন মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলে ও প্রকৃত হোমিওপ্যাথির নাভিশ্বাস উঠেছে,কিন্তু স্বার্থন্বেষী মহল মিশ্র হোমিওপ্যাথি,পেটেন্ট,টনিক, মলম দিয়ে শ্বেতী রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে থাকে,যারা হানেমানের ভাষায় সংকর,তারা বিজ্ঞানকে বিজ্ঞাপনে কোনঠাসা করেছে,চিকিৎসা পদ্ধতি,তাই শ্বেতী রোগের চিকিৎসা নিতে হবে অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক থেকে যেই চিকিৎসক সব সময় রোগ সমন্ধে গবেষণা করে এবং অর্গাননের নিয়ম মেনে চিকিৎসা দেয় সেই সমস্ত

চিকিৎসক দ্বারা শ্বেতী রোগীর চিকিৎসা নিলে আল্লাহর রহমতে হোমিওতে আরোগ্য পাওয়া সম্ভব।

লেখক,
ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজে
স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা,হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি
কো-চেয়ারম্যান,হোমিওবিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
ই-মেইলঃ[email protected]
মোবাঃ০১৮২২৮৬৯৩৮৯

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

শ্বেতী রোগীর চিকিৎসায় হোমিওসমাধান

প্রকাশিত : ১২:২৩:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

শ্বেতী রোগের প্রকৃত কারণ সম্বন্ধে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না তবে পারদ ও উপদংশ রোগ এবং স্নায়বিক কারনে এই রোগ উৎপন্ন হয় বলে অনেকে মনে করে,শ্বেতী বা ধবল রোগ খুবই অস্বস্তিকর একটি রোগ। এ রোগের কারণে সমাজে অনেক বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। আমরা সকলেই জানি আমাদের ত্বকের নিচে আছে মেলানিন নামের এক প্রকার হরমোন ।

যা আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ করে থাকে।এই হরমোনের তারতম্যের কারণেই গায়ের রং ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যদি ত্বকের কোন স্থানে এই মেলানিন রোগাক্রান্ত হয় বা যদি এর উৎপাদন কমে যায় বা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ত্বকের ঐ স্থানটি সাদা বা কালো হয়ে যায়।

যখন ত্বকের স্বাভাবিক রং থাকে না বা ত্বকের একটি অস্বাভাবিক রং দেখতে পাওয়া যায়। তখন তাকে শ্বেতী বা ধবল রোগ বলা হয়। ইংরেজিতে একে ভিটিলিগো বলা হয়।অনেকেই শ্বেতী রোগকে কুষ্ঠ রোগ মনে করেন।কিন্তু একদমই ভুল।শ্বেতী এবং কুষ্ঠ রোগ সম্পূর্ণ আলাদা দুটি রোগ।

বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত যে কোনও বয়সেই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে৷ তবে ১০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়। এটা সাদা, কালো এবং বাদামী সব বর্ণের লোকদের মধ্যেই হতে দেখা যায় এবং বংশগত ভাবেও এ রোগ হতে পারে। তবে এটি মোটেই ভয়াবহ রোগ নয়! এটির সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেতীতে আক্রান্ত রোগীকে দেখলে আঁতকে ওঠেন অনেকে। শ্বেতীতে আক্রান্ত রোগীরা বেশির ভাগই মানসিক অবসাদে ভোগেন।

★শ্বেতী রোগ কি?
ত্বকের মধ্যের মেলানোসাইট কোষে থাকে মেলানিন, যা ত্বকের স্বাভাবিক রঙের ভারসাম্য রক্ষা করে। মেলানিনের ক্রিয়াকলাপে বাধা সৃষ্টি হলে বা ভারসাম্য নষ্ট হলেই দেখা দেয় শ্বেতী। শ্বেতী বংশগতভাবেও হয়।

আজ শ্বেতী রোগ নিয়ে কলাম লিখেছেন,বাংলাদেশের বিশিষ্ট হোমিও গবেষক,ডা.এম এ মাজেদ তিনি তার কলামে লিখেন…কথায় আছে ‘‌পহলে দর্শনধারী ফির গুণবিচারী’‌। সুন্দর মুখের অধিকারী সকলেই হতে চায়। কিন্তু মাঝে মাঝেই মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় শ্বেতী। ত্বকের এই সমস্যায় অনেকেই ভোগেন।

কি ছেলে কি মেয়ে, এই সমস্যা অনেকেরই রয়েছে, প্রতি ১০০ জন শ্বেতী রোগীর মধ্যে ৩০ জনের ক্ষেত্রেই শ্বেতী হয় বংশগত ধারায়, মাতৃকুল বা পিতৃকুলের কারও না কারও থেকে জিনের প্রভাবে। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে শ্বেতী সাদা দাগ ছড়াতে থাকে নিজস্ব কারণে, যার মূলে রয়েছে মেলানিনের কারসাজি! বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ শ্বেতীতে আক্রান্ত। প্রয়াত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনও এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

শরীরের কোন অংশে দেখা দেয় শ্বেতী?

সাধারণত মুখমণ্ডল, কনুই, বুকেই প্রথমে শ্বেতী হতে শুরু করে। কখনও কখনও শ্বেতী চোখের পাশ দিয়ে, নাকের দুপাশে বা ঠোঁটের কোণ বা উপর দিয়েও শুরু হয়। কিছু ক্ষেত্রে শ্বেতী খুব একটা ছড়ায় না, একটা বিশেষ জায়গাতেই থাকে। আবার কখনও এমন ভাবে মুখে, বুকে, হাতে, পায়ে ছড়িয়ে পড়ে যে বোঝাই না এক সময় গায়ের রং আসলে কী ছিল! দ্বিতীয় ধরনের শ্বেতীর দাগই মানুষকে শ্রীহীন করে তোলে। ৫০ শতাংশ শ্বেতী ধরা পড়ে বয়স বছর দশেক হওয়ার পর।

★শ্বেতী রোগীর বৈশিষ্ট্যঃ-

একজন মানুষের জন্মের পর কোনো জ্ঞাত কারণ ছাড়াই তার শরীরের বিভিন্ন স্থানের চামড়া সাদা হয়ে যাওয়াকেই শ্বেতী রোগ বলা হয়। শ্বেতী রোগের সাথে লিউকোডামার পার্থক্য রয়েছে। কারণ লিউকোডার্মার চিকিৎসা পর্যায়ে এটি শতকরা একশ ভাগ নিরাময়যোগ্য। এখানে উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, কারো শরীরের কোনো অংশ পুড়ে গেলে ঘা শুকানোর এক পর্যায়ে স্থানটি সাদা হয়ে যায়। এটাকে বলা হয় লিউকোডার্মা যা খুব সহজে নিরাময়যোগ্য। এই রোগের কারণ জানা থাকায় সহজেই এর চিকিৎসা করা যায়।

★শ্বেতী রোগের তথ্যঃ-

শ্বেতী রোগের প্রকৃত তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয়ে থাকে যে, একাধিক কারণে এই রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত প্রবণতাও এ রোগের সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে ধারণা করা হয়।বহু টাকা খরচ করেও এই শ্বেতীর হাত থেকে মুক্তি পাননি এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়।

তবে নতুন সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ওষুধের বিকল্প হিসাবে ‘‌সাপের তেল’‌ ব্যবহার করে প্রায় ১৪ জন ত্বকের এই মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এখন সাপের তেল কোথায় পাবেন বা কোথায় কিনবেন এত জটিল প্রশ্নে না গিয়ে হোমিওপ্যাথিতেও যে এই শ্বেতী নিরাময় হয় তা কি জানতেন?

শ্বেতীর চিকিৎসায় সাপের বিষ সহ ২৫টি চিকিৎসা রয়েছে। মডেল উইনি হারলো এবং প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসন এই শ্বেতী নিয়েই তাঁর ফ্যানেদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।

শ্বেতীর চিকিৎসায় ২০০ জনের মধ্যে একজনের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্প্রতি তা অসম্ভব। ‌যদিও ভারতীয় গবেষকদের গবেষণায় শ্বেতী রোগ মুক্তির অন্য এক দিক উঠে এসেছে।

বাংলাদেশের মতোই সারাবিশ্বে শ্বেতী – বড় অদ্ভুত একটি রোগ, তবে ভয়াবহ নয় মোটেও! শুধুমাত্র রোগটি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেতী রোগীকে দেখলে ভয়ে আঁতকে ওঠেন অনেকেই।বেঙ্গালুরুর ক্লাসিকহোমিওপ্যাথির গবেষকদের দাবি, অন্য কোনও ওষুধ নয়, একমাত্র হোমিওপ্যাথিই শ্বেতী থেকে মুক্তি দিতে পারে।

গোটা বিশ্বে ২০০ লক্ষ মানুষ শ্বেতীর জন্য হোমিওপ্যাথিকে বন্ধু বানাচ্ছেন। হোমিওপ্যাথি ওষুধের ফলে ১৩ জন মহিলা ও ১ জন পুরুষের শ্বেতী সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে গিয়েছে। রোগিরা গত ৫৮ মাস ধরে হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করার পর ত্বকের এই রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

দুবাইয়ে এই শ্বেতী নিরাময়ের অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু সেই চিকিৎসার পরও যে শ্বেতী থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া যাবে সেই নিশ্চয়তা নেই। হোমিওপ্যাথি এ দেশে গত ১০০ বছর ধরে শুধু শ্বেতীর ক্ষেত্রেই নয়, বিভিন্ন রোগ নিরাময়েই যথেষ্ট কার্যকর।

★শ্বেতী রোগের বিভিন্ন নামঃ-

*ফোকাল শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতী রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত শরীরের এক বা দুটি স্থানের চামড়া সাদা হয়ে যায়। মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ এ ধরনের রোগী পাওয়া যায়। এ ধরনের রোগীর ২৫ শতাংশের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, রোগটি আপনাআপনিই সেরে যায়। এ ধরনের শ্বেতীর চিকিৎসার ফল খুবই ভালো। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় এবং

৬০ ভাগ রোগীই সম্পূর্ণ নিরাময় লাভ করে। এমনকি আমাদের দেশীয় একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সংখ্যা ৮০ ভাগ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য কয়েক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। স্কিন গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমেও এর চিকিৎসা করা যেতে পারে।

* সেগমেন্টাল শ্বেতী : সাধারণত : এ ধরনের শ্বেতী শরীরের একটি অংশে দেখা যায়। আমাদের দেশে মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে ৩ শতাংশ এই শ্রেণীর রোগী পাওয়া যায়। প্রকৃতিগতভাবে এটি স্থিতিশীল কিন্তু আপনাআপনিই সেরে যাওয়ার কোনো প্রবণতা এ ধরনের শ্বেতী রোগের মধ্যে দেখা যায় না।

আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৬৫ শতাংশের মধ্যে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার ৪০ ভাগ। আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বয়ের মাধ্যমে এ ধরনের শ্বেতী রোগের নিরাময়ের হার ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। রোগ নিরাময়ে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। স্কিন গ্লাফটিংয়ের জন্য এ ধরনের রোগী বিশেষ উপযুক্ত।

*এক্রোফেসিয়াল শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতী রোগীর হাত-পায়ের উপরে নিচে দু’দিকে, আঙ্গুলের ডগা, কব্জি, কনুই, অ্যাংকেল, হাঁটু, ঠোঁট, চোখের চার পাশে, মুখ ও যৌনাঙ্গে সাদা দাগের সৃষ্টি হয়। মোট শ্বেতী রোগীর মধ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত এ ধরনের রোগী দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে এটি স্থিতিশীল ধরনের হলেও অনেক সময় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এটা শরীরের ব্যাপক অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

আমাদের চিকিৎসায় এ ধরনের রোগীর প্রতি ওষুধ প্রয়োগের পর কাক্সিক্ষত ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় খুবই ধীরে। এই হার ৫০ শতাংশ এবং রোগ নিরাময়ের হার মাত্র ৩০ শতাংশ। তবে বিরাজমান বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বিতভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাময়ের হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এই শ্রেণীর শ্বেতী নিরাময়ে কয়েক বছর চিকিৎসা লেগে যেতে পারে। অবে অনেক ক্ষেত্রে শরীরের অল্প কিছু স্থানে এটি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে বিধায় স্কিন গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমেও এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা করা যায়। তবে এটা করতে হবে অত্যন্ত দক্ষ সার্জনের মাধ্যমে।

*ভালগারিস শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতীতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বুক, পেট, পিঠ, ঘাড়, মাথা ইত্যাদি স্থানে ব্যাপকভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়ে এবং এটা অস্থিতিশীল প্রকৃতির। কোনো রকম চিকিৎসা ছাড়াই রোগের উন্নতি বা অবনতি ঘটতে পারে। শ্বেতী রোগে আক্রান্ত মোট রোগীর ৬০ শতাংশই এ ধরনের রোগী। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার ৫০ শতাংশ। তবে আমাদের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয়ে নিরাময়ের হার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। রোগ নিরাময়ে কয়েক বছর সময় লাগে। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে স্কিন গ্রাফটিং প্রযোজ্য নয়।

*ইউনিভার্সালিজ শ্বেতী : এ ধরনের শ্বেতীতে আক্রান্তদের সাড়া শরীর (মাথা থেকে পা পর্যন্ত) এমনকি শরীরের লোম পর্যন্ত সাদা হয়ে যায়। তবে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা খুবই কম। যা মোট শ্বেতী রোগীর ২ শতাংশের বেশি হবে না। এটা স্থিতিশীল প্রকৃতির হলেও কখনো কখনো রোগীর মুখমণ্ডল, অঙ্গ-প্রতঙ্গ, কনুই ও হাঁটুতে রোগের কিছুটা ভালো হওয়ার আভাস দেখা যায়। এ ধরনের রোগীরা থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা আজ পর্যন্ত এ ধরনের শ্বেতী রোগের নিরাময়ের কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে পারেননি।

★হোমিওপ্রতিবিধানঃ

আমাদের দেশে বর্তমানকালে হোমিওপ্যাথির গতি আছে,কিন্ত গন্তব্য নেই,গন্তব্যন বিহীন গতি যদি টানে আর সংকট থেকে মুক্তির একটা উপায় আমাদের খুঁজতে হবে,একটু পিছনে ফিরে তাকালে আমরা দেখতে পাই হোমিওপ্যাথি আবিষ্কারেে রুগ্নন মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলে ও প্রকৃত হোমিওপ্যাথির নাভিশ্বাস উঠেছে,কিন্তু স্বার্থন্বেষী মহল মিশ্র হোমিওপ্যাথি,পেটেন্ট,টনিক, মলম দিয়ে শ্বেতী রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে থাকে,যারা হানেমানের ভাষায় সংকর,তারা বিজ্ঞানকে বিজ্ঞাপনে কোনঠাসা করেছে,চিকিৎসা পদ্ধতি,তাই শ্বেতী রোগের চিকিৎসা নিতে হবে অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক থেকে যেই চিকিৎসক সব সময় রোগ সমন্ধে গবেষণা করে এবং অর্গাননের নিয়ম মেনে চিকিৎসা দেয় সেই সমস্ত

চিকিৎসক দ্বারা শ্বেতী রোগীর চিকিৎসা নিলে আল্লাহর রহমতে হোমিওতে আরোগ্য পাওয়া সম্ভব।

লেখক,
ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজে
স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা,হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি
কো-চেয়ারম্যান,হোমিওবিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
ই-মেইলঃ[email protected]
মোবাঃ০১৮২২৮৬৯৩৮৯

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান