১১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা

নড়াইলের কালিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের অফিস দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কালিয়া পৌরসভার মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন ও যুগ্ন আহ্বায়ক জামান হোসেন জন এর মধ্যে দ্বন্দের জেরে জামান হোসেনের দখলে থাকা অফিসটির দখল নেয়ার জন্য ২৫/৩০ জন সমর্থক নিয়ে পৌর মেয়র গত ১২ জুন বিকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গেলে পুলিশ মেয়র সমর্থক উপজেলার বেন্দারচর গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মাহামুদ হাসানকে (২৮) ২৯টি রামদা সহ আটক করে।

ওই ঘটনায় কালিয়া থানার এস আই রনজিত সেন বাদি হয়ে মাহামুদ হাসানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় নেতা কর্মীরা জানিয়েছেন।

যুগ্ম আহবায়ক জামান হোসেন জন জানান, কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু কৃষ্ণপদ ঘোষ ও মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান নিজে ২০১৫সালে স্বেচ্ছাসেবকলীগের ওই অফিস উদ্ধোধন করেন।

সেই থেকে আমি এই অফিসে নেতাকর্মী নিয়ে বসি ও দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করি। গত শুক্রবার ১৩জুন হঠাৎ মেয়র লোকজন ও অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অফিসে এসে আমার নামে অশ্লীল কথাবার্তা ও হুমকি দিয়ে গেছে। আমি সেখানে উপস্থিত না থাকায় প্রানে বেচে গেছি।

কালিয়ার পৌর মেয়র ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন জানান,আমি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক, সুতরাং অফিস দখলের প্রশ্নই ওঠে না।

ওখানে জামান হোসেন জন এর নেতৃত্বে কিছু লোক টেম্পু স্ট্যান্ডে চাদা তোলে। আমার পৌর এলাকায় আমি কোন চাদা তুলতে দিবো না, তাই আমি সেটা বন্ধ করতে গিয়েছিলাম।

কালিয়া থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন,এ ঘটনায় একটি অস্ত্র মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতার করে চালান দেয়া হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক

জনপ্রিয়

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা

প্রকাশিত : ০৫:১২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০

নড়াইলের কালিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের অফিস দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কালিয়া পৌরসভার মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন ও যুগ্ন আহ্বায়ক জামান হোসেন জন এর মধ্যে দ্বন্দের জেরে জামান হোসেনের দখলে থাকা অফিসটির দখল নেয়ার জন্য ২৫/৩০ জন সমর্থক নিয়ে পৌর মেয়র গত ১২ জুন বিকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গেলে পুলিশ মেয়র সমর্থক উপজেলার বেন্দারচর গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মাহামুদ হাসানকে (২৮) ২৯টি রামদা সহ আটক করে।

ওই ঘটনায় কালিয়া থানার এস আই রনজিত সেন বাদি হয়ে মাহামুদ হাসানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় নেতা কর্মীরা জানিয়েছেন।

যুগ্ম আহবায়ক জামান হোসেন জন জানান, কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু কৃষ্ণপদ ঘোষ ও মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান নিজে ২০১৫সালে স্বেচ্ছাসেবকলীগের ওই অফিস উদ্ধোধন করেন।

সেই থেকে আমি এই অফিসে নেতাকর্মী নিয়ে বসি ও দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করি। গত শুক্রবার ১৩জুন হঠাৎ মেয়র লোকজন ও অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অফিসে এসে আমার নামে অশ্লীল কথাবার্তা ও হুমকি দিয়ে গেছে। আমি সেখানে উপস্থিত না থাকায় প্রানে বেচে গেছি।

কালিয়ার পৌর মেয়র ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন জানান,আমি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক, সুতরাং অফিস দখলের প্রশ্নই ওঠে না।

ওখানে জামান হোসেন জন এর নেতৃত্বে কিছু লোক টেম্পু স্ট্যান্ডে চাদা তোলে। আমার পৌর এলাকায় আমি কোন চাদা তুলতে দিবো না, তাই আমি সেটা বন্ধ করতে গিয়েছিলাম।

কালিয়া থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন,এ ঘটনায় একটি অস্ত্র মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতার করে চালান দেয়া হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক