১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঘরে বসেই হোক অনলাইন ব্যবসা

  • এইচ বি আরিফ
  • প্রকাশিত : ০৪:৫৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
  • 40

অনলাইন!!! সে তো কিছুদিন আগেও বাঙালীর কাছে অপরিচিত ছিলো। কিছু ধরে অনলাইনের জনপ্রিয়তাটা বেশ বেড়েছে। বন্ধু-বান্ধবের অনেকেই জমিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন রকম ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। অনলাইন শব্দটার সাথে আমার পরিচিতি বেশ আগে থেকেই।

২০১৩ সালে গুগল ম্যাপিং এ ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে অনলাইনের জগতে কার্যক্রম শুরু। তারপর থেকে অনলাইনের ওয়েবসাইট তৈরির কাজ করার সুবাদে অনলাইন বা অনলাইনে ব্যবসা এই শব্দগুলোর সাথে বেশ পরিচিতি। এ পরিচিতি থেকেই আজ অনলাইনে ব্যবসা শুরু করা বা প্রয়োজনীয় বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করব।

বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে। এতে ভালো ব্যবসাও করছেন অনেকে। কিন্তু ব্যবসা শুরুর আগে কিছু ব্যাপারে জেনেবুঝে ও সচেতন হয়ে তবেই ব্যবসা শুরু করতে হবে। কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিৎ তা একবার দেখে নিন-

প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভেবে নিন

বর্তমানে সব ধরনের পণ্যই বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। তাই আপনি যেই পণ্যটি নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন সেটি নিয়ে প্রথমেই ভালো করে ভাবুন। পণ্যটি কীভাবে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করবে, কতটুকু চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে- এই বিষয়গুলো ভাবুন।

পনার পণ্যটি আদৌ অন্যদের চেয়ে আলাদা হবে কিনা, তাতে আপনি কী নতুনত্ব আনতে পারবেন তা নিয়েও ভাবতে হবে। যেকোনো পণ্যের ভালো-খারাপ দুটো দিক বিবেচনা করেই তারপর সঠিক বিষয়টি বেছে নিতে হবে আপনাকে।

ভালো মানের প্ল্যাটফর্ম তৈরী করুন

ব্যবসা শুরু করার পূর্বে নিজের বাজেট অনুযায়ী একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরী করতে হবে। যাকে কেন্দ্র করে আপনি ক্রেতা তৈরী করতে পারেন। সেটা হতে পারে একটি ওয়েবসাইট, হতে পারে ফেসবুক পেইজ বা একটি এন্ডরয়েড এ্যাপস। ভালো মানের একটি ওয়েবসাইট তৈরী করাই উত্তম।

যাতে আপনার পণ্যসমূহের বিবরণসমূহ ভালোভাবে উল্লেখ করতে পারবেন। এছাড়া ফেসবুক পেইজ বা এ্যাপসের মাধ্যমেও আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। ব্যবসা শুরু করার জন্যে ভালো ওয়েবসাইট ও এ্যাপস তৈরীর জন্যে এ্যাপল্যাব ডট কম (Applav.com) নামক সাইটে পরিপূর্ণ তথ্য পাবেন।

যেকোন টাইপের ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়েবসাইট এবং মোবাইল এপ্লিকেশন তৈরি করার জন্য আদর্শ কোম্পানি হচ্ছে applav.com তারা খুবই সাস্রয়ী বাজেটে আপনার ওয়েবসাইট ও মোবাইল এপ্লিকেশন’সহ একসাথে ফুল পেকেজ তৈরি করে দেবে স্বল্প বাজেটে।

খরচের পরিমাণটা ঠিক করে গুছিয়ে নিন

পণ্য বাছাইয়ের পর আপনাকে বসতে হবে খরচের বিষয়টি নিয়ে। ওয়েবসাইট বানানো বা মার্কেটিং করা ইত্যাদি বিষয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলেই সহজেই খরচের একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। হিসাব করে ভেবে দেখুন যে আপনার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ পুঁজি রয়েছে কিনা।

আপনি কতটা বিনিয়োগ করতে পারবেন সেটাও দেখুন। আপনি যা ইনভেস্ট করবেন তা যথেষ্ট কিনা তাও যাচাই করে নিন। আগামী দুই-তিনবছরে কি পরিমাণ অর্থ আপনার ব্যবসার জন্য প্রয়োজন হবে সেটার একটা খসড়া হিসাব করুন। কারণ ব্যবসা শুরুর পর আর্থিক সংকটে পড়লে সেটা অবশ্যই অপ্রীতিকর হবে।

ব্যক্তিগত জীবন আর ব্যবসা আলাদা রাখুন

বাসায় বসে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সবসময় খেয়াল রাখবেন যাতে আপনি নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে ব্যবসাকে মিলিয়ে মিশিয়ে না ফেলেন। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় সাংসারিক খরচের সঙ্গে অনেকেই ব্যবসার খরচ গুলিয়ে ফেলেন। এতে আপনারই বিপদ।

এতে আপনি লাভ বা ক্ষতির হিসাব রাখা আপনার জন্য বেশ কঠিন হয়ে যাবে। ব্যবসার টাকার হিসাব সবসময় সংসারের টাকার হিসাব থেকে আলাদা করে রাখবেন। কোনো সিরিয়াস প্রয়োজনেও এক করতে যাবেন না।

পণ্য কখনই কম মূল্যে বিক্রি করে বসবেন না

অনেক সময় দেখা যায়, যারা নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন তারা পণ্যের সঠিক দাম জানেন না। তাই পণ্য কম দামে বিক্রি করেন। এটি ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর।

নিজের পণ্য বিক্রির আগে তাই পণ্যটির দাম সম্পর্কে ভালো করে অন্যান্য জায়গায় খোঁজখবর নিন। পণ্য তৈরির খরচ ছাড়াও উপরি খরচ ও লাভের অংশ যোগ করে পণ্য বাজারজাত করা উচিত।

কখনো আবার হাল ছেড়ে দেবেন না 

ব্যবসা শুরু করেই যে আপনি সফল হবেন সেটা ভাবতে যাবেন না। প্রথমদিকে ক্ষতি বা আশানুরূপ লাভ না হলে হতাশ হয়ে পড়া যাবে না। হতাশা আপনার ব্যবসাকে কখনোই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। চেষ্টা করুন আপনার পণ্যটি সার্বিকভাবে সবার কাছে তুলে ধরা।

আপনার আশপাশের মানুষের সাহায্য নিন, সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করুন। আপনার পণ্য এবং আপনার সেবা ভালো হলে ধীরে ধীরে আপনি সফল হবেন। আর বিশ্বস্ত লোকদের সঙ্গে রাখবেন।

লেখক – প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, এ্যাপল্যাব।

জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

ঘরে বসেই হোক অনলাইন ব্যবসা

প্রকাশিত : ০৪:৫৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০

অনলাইন!!! সে তো কিছুদিন আগেও বাঙালীর কাছে অপরিচিত ছিলো। কিছু ধরে অনলাইনের জনপ্রিয়তাটা বেশ বেড়েছে। বন্ধু-বান্ধবের অনেকেই জমিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন রকম ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। অনলাইন শব্দটার সাথে আমার পরিচিতি বেশ আগে থেকেই।

২০১৩ সালে গুগল ম্যাপিং এ ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে অনলাইনের জগতে কার্যক্রম শুরু। তারপর থেকে অনলাইনের ওয়েবসাইট তৈরির কাজ করার সুবাদে অনলাইন বা অনলাইনে ব্যবসা এই শব্দগুলোর সাথে বেশ পরিচিতি। এ পরিচিতি থেকেই আজ অনলাইনে ব্যবসা শুরু করা বা প্রয়োজনীয় বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করব।

বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে। এতে ভালো ব্যবসাও করছেন অনেকে। কিন্তু ব্যবসা শুরুর আগে কিছু ব্যাপারে জেনেবুঝে ও সচেতন হয়ে তবেই ব্যবসা শুরু করতে হবে। কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিৎ তা একবার দেখে নিন-

প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভেবে নিন

বর্তমানে সব ধরনের পণ্যই বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। তাই আপনি যেই পণ্যটি নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন সেটি নিয়ে প্রথমেই ভালো করে ভাবুন। পণ্যটি কীভাবে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করবে, কতটুকু চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে- এই বিষয়গুলো ভাবুন।

পনার পণ্যটি আদৌ অন্যদের চেয়ে আলাদা হবে কিনা, তাতে আপনি কী নতুনত্ব আনতে পারবেন তা নিয়েও ভাবতে হবে। যেকোনো পণ্যের ভালো-খারাপ দুটো দিক বিবেচনা করেই তারপর সঠিক বিষয়টি বেছে নিতে হবে আপনাকে।

ভালো মানের প্ল্যাটফর্ম তৈরী করুন

ব্যবসা শুরু করার পূর্বে নিজের বাজেট অনুযায়ী একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরী করতে হবে। যাকে কেন্দ্র করে আপনি ক্রেতা তৈরী করতে পারেন। সেটা হতে পারে একটি ওয়েবসাইট, হতে পারে ফেসবুক পেইজ বা একটি এন্ডরয়েড এ্যাপস। ভালো মানের একটি ওয়েবসাইট তৈরী করাই উত্তম।

যাতে আপনার পণ্যসমূহের বিবরণসমূহ ভালোভাবে উল্লেখ করতে পারবেন। এছাড়া ফেসবুক পেইজ বা এ্যাপসের মাধ্যমেও আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। ব্যবসা শুরু করার জন্যে ভালো ওয়েবসাইট ও এ্যাপস তৈরীর জন্যে এ্যাপল্যাব ডট কম (Applav.com) নামক সাইটে পরিপূর্ণ তথ্য পাবেন।

যেকোন টাইপের ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়েবসাইট এবং মোবাইল এপ্লিকেশন তৈরি করার জন্য আদর্শ কোম্পানি হচ্ছে applav.com তারা খুবই সাস্রয়ী বাজেটে আপনার ওয়েবসাইট ও মোবাইল এপ্লিকেশন’সহ একসাথে ফুল পেকেজ তৈরি করে দেবে স্বল্প বাজেটে।

খরচের পরিমাণটা ঠিক করে গুছিয়ে নিন

পণ্য বাছাইয়ের পর আপনাকে বসতে হবে খরচের বিষয়টি নিয়ে। ওয়েবসাইট বানানো বা মার্কেটিং করা ইত্যাদি বিষয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলেই সহজেই খরচের একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। হিসাব করে ভেবে দেখুন যে আপনার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ পুঁজি রয়েছে কিনা।

আপনি কতটা বিনিয়োগ করতে পারবেন সেটাও দেখুন। আপনি যা ইনভেস্ট করবেন তা যথেষ্ট কিনা তাও যাচাই করে নিন। আগামী দুই-তিনবছরে কি পরিমাণ অর্থ আপনার ব্যবসার জন্য প্রয়োজন হবে সেটার একটা খসড়া হিসাব করুন। কারণ ব্যবসা শুরুর পর আর্থিক সংকটে পড়লে সেটা অবশ্যই অপ্রীতিকর হবে।

ব্যক্তিগত জীবন আর ব্যবসা আলাদা রাখুন

বাসায় বসে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সবসময় খেয়াল রাখবেন যাতে আপনি নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে ব্যবসাকে মিলিয়ে মিশিয়ে না ফেলেন। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় সাংসারিক খরচের সঙ্গে অনেকেই ব্যবসার খরচ গুলিয়ে ফেলেন। এতে আপনারই বিপদ।

এতে আপনি লাভ বা ক্ষতির হিসাব রাখা আপনার জন্য বেশ কঠিন হয়ে যাবে। ব্যবসার টাকার হিসাব সবসময় সংসারের টাকার হিসাব থেকে আলাদা করে রাখবেন। কোনো সিরিয়াস প্রয়োজনেও এক করতে যাবেন না।

পণ্য কখনই কম মূল্যে বিক্রি করে বসবেন না

অনেক সময় দেখা যায়, যারা নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন তারা পণ্যের সঠিক দাম জানেন না। তাই পণ্য কম দামে বিক্রি করেন। এটি ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর।

নিজের পণ্য বিক্রির আগে তাই পণ্যটির দাম সম্পর্কে ভালো করে অন্যান্য জায়গায় খোঁজখবর নিন। পণ্য তৈরির খরচ ছাড়াও উপরি খরচ ও লাভের অংশ যোগ করে পণ্য বাজারজাত করা উচিত।

কখনো আবার হাল ছেড়ে দেবেন না 

ব্যবসা শুরু করেই যে আপনি সফল হবেন সেটা ভাবতে যাবেন না। প্রথমদিকে ক্ষতি বা আশানুরূপ লাভ না হলে হতাশ হয়ে পড়া যাবে না। হতাশা আপনার ব্যবসাকে কখনোই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। চেষ্টা করুন আপনার পণ্যটি সার্বিকভাবে সবার কাছে তুলে ধরা।

আপনার আশপাশের মানুষের সাহায্য নিন, সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করুন। আপনার পণ্য এবং আপনার সেবা ভালো হলে ধীরে ধীরে আপনি সফল হবেন। আর বিশ্বস্ত লোকদের সঙ্গে রাখবেন।

লেখক – প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, এ্যাপল্যাব।