০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেননি শাহরুখ: সৌরভ

আপাত দৃষ্টিতে কিং খান ও সৌরভের মধ্যে সম্পর্ক মন্দ নয়। যদিও কেকেআরে দুই তারকা থাকাকালীন তাদের মধ্যে যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা সকলেই জানে। তবে ঠিক কী হয়েছিল দলের মালিক ও অধিনায়কের মধ্যে? অবশেষে তা নিয়ে মুখ খুললেন খোদ সাবেক ভারত অধিনায়ক সৌরভ। জানালেন, বলিউড বাদশা যা মুখে বলেছিলেন, তা আসলে কাজে প্রকাশ পায়নি। ২০০৮ অর্থাৎ টুর্নামেন্টের মৌসুমে নাইটদের নেতা ছিলেন সৌরভ। তবে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে ২০০৯-এ নেতৃত্ব থেকে সরানো হয় দাদাকে।

২০১০-এ আবার দলের দায়িত্ব কাঁধে নেন তিনি। দল সামলানোর বিষয়ে সৌরভ শাহরুখকে বলেছিলেন, পুরো বিষয়টা যেন তার উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বুঝে নেবেন। কিন্তু দিনের শেষে তেমনটা হয়নি। বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলছেন, একটা সাক্ষাৎকারে দেখেছিলাম চতুর্থ বছর শাহরুখ গৌতম গম্ভীরকে বলছে, ‘এটা তোমার দল। আমি নাক গলাব না।’ এটাই প্রথম মৌসুমে আমি শাহরুখকে বলেছিলাম, যে ব্যাপারটা আমার উপর ছেড়ে দাও। কিন্তু তেমনটা হয়নি।

সৌরভের মতে, যে দলগুলোতে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা বা ম্যানেজমেন্ট দল সামলানোর জন্য ক্রিকেটারদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে, তারাই উন্নতি করেছে। যেমন সিএসকে পরিচালনায় ধোনি কিংবা মুম্বাইয়ে রোহিত শর্মা। এককথায়, দাদা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, নেতার আসনে তিনি থাকলেও দড়ির রাশ ছিল অন্য কারও হাতে। তাই স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ পাননি কখনই।

দিন কয়েক আগে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া ব্যাখ্যা করেছিলেন, কীভাবে সৌরভকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কোচ জন বুকানন। উদ্দেশ্য সফলও হয়েছিল। সৌরভের পরিবর্ত কেকেআরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম। যদিও তার নেতৃত্বের মেয়াদ দীর্ঘ হয়নি। নেতার ভূমিকায় ফিরেছিলেন সৌরভই। তবে ২০১১ থেকে দলের অধিনায়ক হন গৌতম গম্ভীর।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেননি শাহরুখ: সৌরভ

প্রকাশিত : ০৮:২১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

আপাত দৃষ্টিতে কিং খান ও সৌরভের মধ্যে সম্পর্ক মন্দ নয়। যদিও কেকেআরে দুই তারকা থাকাকালীন তাদের মধ্যে যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা সকলেই জানে। তবে ঠিক কী হয়েছিল দলের মালিক ও অধিনায়কের মধ্যে? অবশেষে তা নিয়ে মুখ খুললেন খোদ সাবেক ভারত অধিনায়ক সৌরভ। জানালেন, বলিউড বাদশা যা মুখে বলেছিলেন, তা আসলে কাজে প্রকাশ পায়নি। ২০০৮ অর্থাৎ টুর্নামেন্টের মৌসুমে নাইটদের নেতা ছিলেন সৌরভ। তবে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে ২০০৯-এ নেতৃত্ব থেকে সরানো হয় দাদাকে।

২০১০-এ আবার দলের দায়িত্ব কাঁধে নেন তিনি। দল সামলানোর বিষয়ে সৌরভ শাহরুখকে বলেছিলেন, পুরো বিষয়টা যেন তার উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বুঝে নেবেন। কিন্তু দিনের শেষে তেমনটা হয়নি। বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলছেন, একটা সাক্ষাৎকারে দেখেছিলাম চতুর্থ বছর শাহরুখ গৌতম গম্ভীরকে বলছে, ‘এটা তোমার দল। আমি নাক গলাব না।’ এটাই প্রথম মৌসুমে আমি শাহরুখকে বলেছিলাম, যে ব্যাপারটা আমার উপর ছেড়ে দাও। কিন্তু তেমনটা হয়নি।

সৌরভের মতে, যে দলগুলোতে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা বা ম্যানেজমেন্ট দল সামলানোর জন্য ক্রিকেটারদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে, তারাই উন্নতি করেছে। যেমন সিএসকে পরিচালনায় ধোনি কিংবা মুম্বাইয়ে রোহিত শর্মা। এককথায়, দাদা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, নেতার আসনে তিনি থাকলেও দড়ির রাশ ছিল অন্য কারও হাতে। তাই স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ পাননি কখনই।

দিন কয়েক আগে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া ব্যাখ্যা করেছিলেন, কীভাবে সৌরভকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কোচ জন বুকানন। উদ্দেশ্য সফলও হয়েছিল। সৌরভের পরিবর্ত কেকেআরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম। যদিও তার নেতৃত্বের মেয়াদ দীর্ঘ হয়নি। নেতার ভূমিকায় ফিরেছিলেন সৌরভই। তবে ২০১১ থেকে দলের অধিনায়ক হন গৌতম গম্ভীর।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর