১১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

সন্ত্রাসী ক্যাডরদের হুমকি, অবৈধ দখল থেকে পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং সহযোগীতা কামনায় নওগাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম। মঙ্গলবার বেলা দুপূরে জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য নজরুল ইসলাম বলেন, নওগাঁয় পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। তিনি বর্তমানে নওগাঁ শহরস্থ শাহী মসজিদ এলাকায় বসবাস করছেন। তার বাবা আব্দুর রহমান পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার গুলবনিয়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দীন আহম্মেদের ছেলে।

তিনি ১৯৭২ সালের পর নওগাঁয় এসে ব্যবসা বানিজ্য শুরু করে। ইতো পুর্বে তার ১ম স্ত্রীর ২ ছেলে ও ৩ কন্যা থাকা অবস্থায় আব্দুর রহমান ১৯৮৪ সালে ২য় বিয়ে করলে ঐ স্ত্রীর গর্ভে ২ মেয়ে ও ১ সন্তান জন্ম লাভ করে। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান নওগাঁ বালুডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডে চকপাথুরীয়া এলাকায় .০৯৯২ শতাংশ জমি ক্রয় করে সুফি সজিব নামে সুপার মার্কেট নির্মান করেন। গত ১৩ জুন ২০১৩ ইং সালে আব্দুর রহমান মৃত্যু বরন করলে তার ২য় স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ১ম স্ত্রী ও তার সন্তানদের সুকৌশলে নাম বাদ দিয়ে নওগাঁ পৌরসভা থেকে তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলের নামে মোট ৪ জনের ওয়ারিশান সনদপত্র গ্রহন করেন।

বিষয়টি জানতে পেরে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে নওগাঁ পৌরসভায় অভিযোগ করলে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ১৩ই মার্চ ১৪ সালে ২য় স্ত্রীকে দেওয়া ওয়ারিশান সনদপত্র বাতিল করে ১১ জনকে ওয়ারিশ করে সনদপত্র প্রদান করেন। কিন্তু ২য় পক্ষের ছেলে সজীব পৌরসভার সনদপত্র না মেনে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সনদপত্র বাতিল করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে আদালতে নাম মাত্র মামলা করে দীর্ঘদিন থেকে কালক্ষেন করছে।

অপরদিকে উক্ত সম্পত্তির দাবিদার নজরুল ইসলাম গং ওই সম্পত্তি বার বার বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেও ২য় পক্ষগন বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করে দেয় ফলে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ নিয়ে স্থানীয় ও প্রশাসনের নিকট বার বার আবেদন নিবেদন করেও কোন সুবিচার পায়নি বলে জানান ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম। এ বিষয়ে ২য় স্ত্রী রেবেকা সুলতানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত : ০৪:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০

সন্ত্রাসী ক্যাডরদের হুমকি, অবৈধ দখল থেকে পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং সহযোগীতা কামনায় নওগাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম। মঙ্গলবার বেলা দুপূরে জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য নজরুল ইসলাম বলেন, নওগাঁয় পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। তিনি বর্তমানে নওগাঁ শহরস্থ শাহী মসজিদ এলাকায় বসবাস করছেন। তার বাবা আব্দুর রহমান পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার গুলবনিয়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দীন আহম্মেদের ছেলে।

তিনি ১৯৭২ সালের পর নওগাঁয় এসে ব্যবসা বানিজ্য শুরু করে। ইতো পুর্বে তার ১ম স্ত্রীর ২ ছেলে ও ৩ কন্যা থাকা অবস্থায় আব্দুর রহমান ১৯৮৪ সালে ২য় বিয়ে করলে ঐ স্ত্রীর গর্ভে ২ মেয়ে ও ১ সন্তান জন্ম লাভ করে। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান নওগাঁ বালুডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডে চকপাথুরীয়া এলাকায় .০৯৯২ শতাংশ জমি ক্রয় করে সুফি সজিব নামে সুপার মার্কেট নির্মান করেন। গত ১৩ জুন ২০১৩ ইং সালে আব্দুর রহমান মৃত্যু বরন করলে তার ২য় স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ১ম স্ত্রী ও তার সন্তানদের সুকৌশলে নাম বাদ দিয়ে নওগাঁ পৌরসভা থেকে তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলের নামে মোট ৪ জনের ওয়ারিশান সনদপত্র গ্রহন করেন।

বিষয়টি জানতে পেরে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে নওগাঁ পৌরসভায় অভিযোগ করলে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ১৩ই মার্চ ১৪ সালে ২য় স্ত্রীকে দেওয়া ওয়ারিশান সনদপত্র বাতিল করে ১১ জনকে ওয়ারিশ করে সনদপত্র প্রদান করেন। কিন্তু ২য় পক্ষের ছেলে সজীব পৌরসভার সনদপত্র না মেনে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সনদপত্র বাতিল করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে আদালতে নাম মাত্র মামলা করে দীর্ঘদিন থেকে কালক্ষেন করছে।

অপরদিকে উক্ত সম্পত্তির দাবিদার নজরুল ইসলাম গং ওই সম্পত্তি বার বার বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেও ২য় পক্ষগন বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করে দেয় ফলে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ নিয়ে স্থানীয় ও প্রশাসনের নিকট বার বার আবেদন নিবেদন করেও কোন সুবিচার পায়নি বলে জানান ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম। এ বিষয়ে ২য় স্ত্রী রেবেকা সুলতানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ