০২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত নাজিব রাজাক

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের (ওয়ানএমডিবি) অর্থ কেলেঙ্কারির প্রথম মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সে দেশের সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার জানিয়েছে, মঙ্গলবার নাজিবের বিরুদ্ধে আনা ৭ অভিযোগের প্রত্যেকটিতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।

২০০৯ সালে মালয়েশিয়ায় নতুন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য ওয়ান মালয়েশিয়া ডেপেলপমেন্ট বেরহাদ (ওয়ানএমডিবি) তহবিলটি গঠন করা হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৫ সালে ব্যাংক ও শেয়ারোহোল্ডারদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থতার এই তহবিলের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের অভিযোগ করে এই তহবিল থেকে প্রায় চারে চারশ’ কোটি মার্কিন ডলার অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে আর ব্যক্তিগত হিসাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব অর্থ বিলাসবহুল বাড়ি, বিমান, দামী চিত্রকর্ম কেনাসহ নানা বিলাসী কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হয়েছে।

কুয়ালা লামপুর হাই কোর্টের বিচারক মোহাম্মদ নাজিম মোহাম্মদ গাজ্জালি মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রথম মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, , “এ মামলার সমস্ত তথ্যপ্রমাণ বিচার করে দেখা গেছে, প্রসিকিউশন তাদের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।”
এই মামলায় বিশ্বাসভঙ্গ, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ সাত ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে। দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি মামলার শুনানিতে নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেছিলেন। তবে বিচারক তার রায়ে সবগুলো ধারাতেই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নাজিব রাজাক ও তার জোটের ঐতিহাসিক পরাজয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা রাখে ওয়ানএমবিডি আর্থিক কেলেঙ্কারি। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন দেশটির আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র দুই মাসের মধ্যে নাজিবের বিরুদ্ধে প্রতারণার তিনটি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি অভিযোগ আনা হয়। সব মিলে তার বিরুদ্ধে মোট ৪২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর বেশিরভাগই ওয়ানএমবিডি তহবিল সংক্রান্ত।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত নাজিব রাজাক

প্রকাশিত : ১২:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের (ওয়ানএমডিবি) অর্থ কেলেঙ্কারির প্রথম মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সে দেশের সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার জানিয়েছে, মঙ্গলবার নাজিবের বিরুদ্ধে আনা ৭ অভিযোগের প্রত্যেকটিতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।

২০০৯ সালে মালয়েশিয়ায় নতুন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য ওয়ান মালয়েশিয়া ডেপেলপমেন্ট বেরহাদ (ওয়ানএমডিবি) তহবিলটি গঠন করা হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৫ সালে ব্যাংক ও শেয়ারোহোল্ডারদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থতার এই তহবিলের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের অভিযোগ করে এই তহবিল থেকে প্রায় চারে চারশ’ কোটি মার্কিন ডলার অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে আর ব্যক্তিগত হিসাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব অর্থ বিলাসবহুল বাড়ি, বিমান, দামী চিত্রকর্ম কেনাসহ নানা বিলাসী কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হয়েছে।

কুয়ালা লামপুর হাই কোর্টের বিচারক মোহাম্মদ নাজিম মোহাম্মদ গাজ্জালি মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রথম মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, , “এ মামলার সমস্ত তথ্যপ্রমাণ বিচার করে দেখা গেছে, প্রসিকিউশন তাদের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।”
এই মামলায় বিশ্বাসভঙ্গ, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ সাত ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে। দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি মামলার শুনানিতে নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেছিলেন। তবে বিচারক তার রায়ে সবগুলো ধারাতেই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নাজিব রাজাক ও তার জোটের ঐতিহাসিক পরাজয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা রাখে ওয়ানএমবিডি আর্থিক কেলেঙ্কারি। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন দেশটির আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র দুই মাসের মধ্যে নাজিবের বিরুদ্ধে প্রতারণার তিনটি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি অভিযোগ আনা হয়। সব মিলে তার বিরুদ্ধে মোট ৪২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর বেশিরভাগই ওয়ানএমবিডি তহবিল সংক্রান্ত।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ