১০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

হত্যার রাজনীতিই বিএনপির মূল প্রতিপাদ্য: তথ্যমন্ত্রী

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতার আসনে বসেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘হত্যার রাজনীতিটাই হচ্ছে বিএনপির মূল প্রতিপাদ্য। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য সেনাবাহিনীর শত শত, হাজার হাজার জোয়ানকে হত্যা করেছে।

বেগম খালেদা জিয়াও একই পথ অনুসরণ করেছেন। খালেদা জিয়া তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য এবং দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার আয়েশে ও খায়েশে শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্ট হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই দায় খালেদা জিয়ারও, তারেক রহমানের একার নয়। তাই কানাডার আদালত বিএনপিকে রায় দিয়েছে, এটি একটি সন্ত্রাসী দল। সুতরাং আন্তর্জাতিকভাবেও বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে স্বীকৃত।’

শনিবার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দ্রুত বিচারের দাবি’তে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল ছিল ২১ আগস্ট, বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক একটি দিন। যেদিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দিবালোকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা।’

খালেদা জিয়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গ্রেনেড হামলার দায় এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রেনেড হামলার বিচার হয়েছে, তবে এখনও কার্যকর হয়নি। এই মামলার যদি বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা না হয়, তাহলে অনেকেই মনে করে না এই বিচার সঠিক হয়েছে এবং আমিও তাদের সঙ্গে একমত।

আমি গ্রেনেড হামলা মামলার একজন সাক্ষী। সুতরাং সাক্ষী হিসেবে বলবো, এই বিচার পরিপূর্ণ করার জন্য খালেদা জিয়াকেও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল বিএনপির নেতারা নানা কথা বলেছেন। যখন এই কথাগুলো আলোচিত হচ্ছে, তখন ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না— তাদের বক্তব্যগুলো এমন। ওরা সবাই বিএনপি নেতা। যেটি একটি খুনিদের দল। যাদের রাজনীতি খুনের ওপর প্রতিষ্ঠিত।

তাই আমি আজ মনে করি, বাংলাদেশ থেকে এমন খুনের রাজনীতি চিরতরে বিদায় করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি আরও মনে করি, বিএনপির উচিত সব কিছুর দায় স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। তারপর তারা নতুনভাবে রাজনীতি করলে জনগণের কাছে যেতে পারবে।

অন্যথায় যেভাবে তারা জনগণ থেকে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বসবাস করছে, সেই বিচ্ছিন্ন দ্বীপেই তাদের থাকতে হবে। জনগণের কাছে আসতে পারবে না।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত

নরসিংদীতে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন রোগীদের মাঝে কোটি টাকার চেক বিতরণ

হত্যার রাজনীতিই বিএনপির মূল প্রতিপাদ্য: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪:৪০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০২০

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতার আসনে বসেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘হত্যার রাজনীতিটাই হচ্ছে বিএনপির মূল প্রতিপাদ্য। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য সেনাবাহিনীর শত শত, হাজার হাজার জোয়ানকে হত্যা করেছে।

বেগম খালেদা জিয়াও একই পথ অনুসরণ করেছেন। খালেদা জিয়া তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য এবং দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার আয়েশে ও খায়েশে শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্ট হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই দায় খালেদা জিয়ারও, তারেক রহমানের একার নয়। তাই কানাডার আদালত বিএনপিকে রায় দিয়েছে, এটি একটি সন্ত্রাসী দল। সুতরাং আন্তর্জাতিকভাবেও বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে স্বীকৃত।’

শনিবার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দ্রুত বিচারের দাবি’তে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল ছিল ২১ আগস্ট, বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক একটি দিন। যেদিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দিবালোকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা।’

খালেদা জিয়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গ্রেনেড হামলার দায় এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রেনেড হামলার বিচার হয়েছে, তবে এখনও কার্যকর হয়নি। এই মামলার যদি বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা না হয়, তাহলে অনেকেই মনে করে না এই বিচার সঠিক হয়েছে এবং আমিও তাদের সঙ্গে একমত।

আমি গ্রেনেড হামলা মামলার একজন সাক্ষী। সুতরাং সাক্ষী হিসেবে বলবো, এই বিচার পরিপূর্ণ করার জন্য খালেদা জিয়াকেও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল বিএনপির নেতারা নানা কথা বলেছেন। যখন এই কথাগুলো আলোচিত হচ্ছে, তখন ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না— তাদের বক্তব্যগুলো এমন। ওরা সবাই বিএনপি নেতা। যেটি একটি খুনিদের দল। যাদের রাজনীতি খুনের ওপর প্রতিষ্ঠিত।

তাই আমি আজ মনে করি, বাংলাদেশ থেকে এমন খুনের রাজনীতি চিরতরে বিদায় করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি আরও মনে করি, বিএনপির উচিত সব কিছুর দায় স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। তারপর তারা নতুনভাবে রাজনীতি করলে জনগণের কাছে যেতে পারবে।

অন্যথায় যেভাবে তারা জনগণ থেকে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বসবাস করছে, সেই বিচ্ছিন্ন দ্বীপেই তাদের থাকতে হবে। জনগণের কাছে আসতে পারবে না।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত