ইমরান খান। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। বর্তমানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী। সেই ইমরান খান নাকি খেলোয়াড়ী জীবনে ব্যাপক পরিমাণে ড্রাগ গ্রহণ করতেন। গাঁজা খাওয়া ছিল তার নৈমত্তিক ব্যাপার। ড্রাগের তালিকায় ছিল কোকেন, চরস ইত্যাদি! ইমরানের একসময়ের সতীর্থ সাবেক পেস তারকা সরফরাজ নেওয়াজ এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন! সরফরাজের একটি সাক্ষাতকারের ভিডিও হুট করে ভাইরাল হয়ে গেছে। সেই ভিডিওতে তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেছেন ইমরানকে!

১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে রীতিমতো দেশটির অবিসংবাদিত নায়কে পরিণত হয়েছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার ইমরান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সরফরাজ নেওয়াজ দাবি করেছেন, একবার ইংল্যান্ড সফরে ভাল করতে পারছিলেন না ইমরান। তাই পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য তিনি ড্রাগ নিয়েছিলেন। এছাড়া ইমরান যখন ইসলামাবাদে নিজ বাড়িতে থাকতেন, তখন প্রতি বেলায় খাবারের পর চারস (একপ্রকার গাঁজা) সেবন করতেন।

সরফরাজের ভাষ্য, ‘গাঁজা সেবন ছিল ইমরানের নিয়মিত ব্যাপার। যা সে লন্ডনেও করত। এমনকি আমার বাড়িতেও করেছে। ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচে সে ভাল করতে পারেনি। একবার সে মহসিন খান, আব্দুল কাদির ও সেলিম মালিককে নিয়ে আমার ইসলামাবাদের বাড়িতে খেতে আসে। খাবারের পর সে চারাস সেবন করেছিল। এছাড়া সে নাক দিয়ে একজাতীয় দ্রব সেবন করত। এমনকি নিয়মিত কোকেন গ্রহণ করত। লন্ডনে সে কিছু একটা দিয়ে রোল বানাত এবং নাক দিয়ে ভেতরে নিয়ে নিত।’

ভিডিওর এই পর্যায়ে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন যে, এটার কোনো প্রমাণ বা সাক্ষী আছে কিনা? জবাবে সরফরাজ বলেন, ‘ইমরানকে আমার সামনে আনুন। দেখি সে কীভাবে এটি অস্বীকার করতে পারে। আমিই শুধু চাক্ষুষ প্রমাণ নই। কিম কুমার, যে এখন রাদারফোর্ডে থাকে সেও এটার সাক্ষী। লন্ডনে আরও অনেককেই পাওয়া যাবে, যারা তাকে ড্রাগ সেবন করতে দেখেছে। এটা ছিল ওপেন সিক্রেট। যদি সে (ইমরান) এটা অস্বীকার করে, তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক।’

শুধু পাকিস্তান ক্রিকেটই নয়; বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা নাম ইমরান খান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫৫০ উইকেট নেওয়া এই ক্রিকেটার সুদর্শন চেহারার জন্য সুন্দরীদের কাছে ছিলেন জনপ্রিয়তম। অধিনায়ক হিসেবে তার দুনিয়াজোড়া খ্যাতি ছিল। যে কারণে এখনও পাকিস্তান ক্রিকেটে ইমরান খানের প্রভাব অনেক বেশি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের তুমুল জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের সবশেষ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। সরফরাজ নেওয়াজের এই অভিযোগের ব্যাপারে ইমরান কিছু বলেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত