০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

পিপিপির আওতায় চলবে শাহজালাল বিমানবন্দর

নতুন টার্মিনাল চালু হলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (এমএলআইটি), মিতসুবিশি করপোরেশন ও পিপিপি অথরিটির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণমূলক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ প্রস্তাবটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বেবিচক সূত্র বলছে, নির্মাণাধীন থার্ড টার্মিনাল চালু হলে পুরো বিমানবন্দরের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে থাকবে পুলিশ। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সের দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তিভুক্ত কোম্পানি এক ও দুই নম্বর টার্মিনাল এবং তিন নম্বর টার্মিনালের আশপাশের উন্নয়নের দায়িত্বে থাকবে। যার মধ্যে বর্ধিতকরণ, পরিচালনা ও বিমানবন্দরের সুবিধা বিদ্যমান। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ল্যান্ডিং চার্জ, যাত্রী সুবিধা চার্জ, ডিউটি ফি আয়, কমিশন, হোটেল, অফিস, বিজ্ঞাপন বাবদ ফি ও কারপার্কিং থেকে আয় বাংলাদেশ সরকার ও কোম্পানির মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ভাগ হবে। আয়ের একটি অংশ বিমানবন্দর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্য অংশ সেবা খাতে ব্যয় হবে। এমএলআইটির এয়ারপোর্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের পরিচালক মোরি পাঠানো প্রস্তাবে বলেন, মিতসুবিশির ১০টি বিমানবন্দর উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভিজ্ঞতা আছে। মিতসুবিশি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়নের কাজেও যুক্ত। তাই নতুন টার্মিনাল চালু হওয়ার পর মিতসুবিশি রক্ষণাবেক্ষণে থাকতে চায়। শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, জাপানের মিতসুবিশি কোম্পানি একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। এখন আলোচনা হবে। এর পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী চার বছরের মধ্যে এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

সাবেক মার্কিন বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

পিপিপির আওতায় চলবে শাহজালাল বিমানবন্দর

প্রকাশিত : ১২:০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নতুন টার্মিনাল চালু হলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (এমএলআইটি), মিতসুবিশি করপোরেশন ও পিপিপি অথরিটির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণমূলক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ প্রস্তাবটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বেবিচক সূত্র বলছে, নির্মাণাধীন থার্ড টার্মিনাল চালু হলে পুরো বিমানবন্দরের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে থাকবে পুলিশ। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সের দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তিভুক্ত কোম্পানি এক ও দুই নম্বর টার্মিনাল এবং তিন নম্বর টার্মিনালের আশপাশের উন্নয়নের দায়িত্বে থাকবে। যার মধ্যে বর্ধিতকরণ, পরিচালনা ও বিমানবন্দরের সুবিধা বিদ্যমান। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ল্যান্ডিং চার্জ, যাত্রী সুবিধা চার্জ, ডিউটি ফি আয়, কমিশন, হোটেল, অফিস, বিজ্ঞাপন বাবদ ফি ও কারপার্কিং থেকে আয় বাংলাদেশ সরকার ও কোম্পানির মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ভাগ হবে। আয়ের একটি অংশ বিমানবন্দর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্য অংশ সেবা খাতে ব্যয় হবে। এমএলআইটির এয়ারপোর্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের পরিচালক মোরি পাঠানো প্রস্তাবে বলেন, মিতসুবিশির ১০টি বিমানবন্দর উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভিজ্ঞতা আছে। মিতসুবিশি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়নের কাজেও যুক্ত। তাই নতুন টার্মিনাল চালু হওয়ার পর মিতসুবিশি রক্ষণাবেক্ষণে থাকতে চায়। শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, জাপানের মিতসুবিশি কোম্পানি একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। এখন আলোচনা হবে। এর পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী চার বছরের মধ্যে এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।