০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

সেচের আওতায় আসছে ৬ হাজার হেক্টর জমি

ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন ব্যারেজ, বুড়ি বাঁধ ও ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পসমূহ পুনর্বাসন, নদীতীর সংরক্ষণ ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণে একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এটা বাস্তবায়িত হলে সেচ প্রকল্পগুলো পুনর্বাসন ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নির্মাণ করে ৬ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা যাবে। ফসলের নিবিড়তা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা এবং বাৎসরিক প্রায় ১৫ হাজার ৭১৭ মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্য শস্য উৎপাদন করা যাবে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা ও জীববৈচিত্র রক্ষাসহ সার্বিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদ্য সাবেক পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদ্য সাবেক সদস্য (সাবেক সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, সেচ খাল গুলো নির্মাণ ও পুনর্বাসন এবং সেচ কাঠামো নির্মাণ করে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচের পানি সরবরাহ করে সেচযোগ্য এলাকা বৃদ্ধি ও ফসলের নিবিড়তাসহ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুর্নগঠন করা হয়েছে। ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) যেকোন সভায় উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সেচ খালগুলো সংস্কার করা হলে সেচ দেওয়া এলাকা ৩ হাজার হেক্টর হতে প্রায় ৭ হাজার হেক্টরে উন্নীত হবে। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে টাঙ্গন ব্রিজের দক্ষিণে সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধাসহ মাছের অভয়ারণ্য হবে। শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

ট্যাগ :

দুদকের ২ উপপরিচালক বরখাস্ত

সেচের আওতায় আসছে ৬ হাজার হেক্টর জমি

প্রকাশিত : ১২:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন ব্যারেজ, বুড়ি বাঁধ ও ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পসমূহ পুনর্বাসন, নদীতীর সংরক্ষণ ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণে একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এটা বাস্তবায়িত হলে সেচ প্রকল্পগুলো পুনর্বাসন ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নির্মাণ করে ৬ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা যাবে। ফসলের নিবিড়তা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা এবং বাৎসরিক প্রায় ১৫ হাজার ৭১৭ মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্য শস্য উৎপাদন করা যাবে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা ও জীববৈচিত্র রক্ষাসহ সার্বিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদ্য সাবেক পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদ্য সাবেক সদস্য (সাবেক সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, সেচ খাল গুলো নির্মাণ ও পুনর্বাসন এবং সেচ কাঠামো নির্মাণ করে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচের পানি সরবরাহ করে সেচযোগ্য এলাকা বৃদ্ধি ও ফসলের নিবিড়তাসহ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুর্নগঠন করা হয়েছে। ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) যেকোন সভায় উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সেচ খালগুলো সংস্কার করা হলে সেচ দেওয়া এলাকা ৩ হাজার হেক্টর হতে প্রায় ৭ হাজার হেক্টরে উন্নীত হবে। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে টাঙ্গন ব্রিজের দক্ষিণে সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধাসহ মাছের অভয়ারণ্য হবে। শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।