০১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ঋণ ও অনুদানে নির্ভরতা কমেছে

দেশের সম্পদের পরিমাণ বাড়ার ফলে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের ওপর নির্ভরতা কমেছে। গত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দিয়েছি। রবিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি সম্মেলন কক্ষে আইএমইডি আয়োজিত ৭ মার্চের আলোচনা সভায় বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এসব কথা বলেন। আইএমইডির অতিরিক্ত সচিব ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বর্তমানে আমলাতন্ত্রে টিকে থাকতে হলে ২০৪১ সালের বিষয়ে আমাদের বেশি বেশি করে জানতে হবে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে জানতে হবে। বদ্বীপ ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নিয়েও আমাদের জানতে হবে। নীতি ও নৈতিকতা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশ। বহুত্যাগের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ। তিনি বলেন, পরিকল্পনা কমিশন দেশের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) ও এসডিজিতে (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) আমরা অনেক ভালো করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা রূপকল্প ২০৪১। ৭ মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরে সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের বক্তব্য ছিল সাদামাটা। বঙ্গবন্ধুর ভেতর থেটে উঠে আসা তেজোদ্দীপ্ত হৃদয় নিংড়ানো কথা। বঙ্গবন্ধু সবসময়ে মেহনতি মানুষের কথা বলতেন। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠের এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল। ১৮ মিনিট স্থায়ী এই ভাষণে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। উনার দিক নির্দেশনাও ছিল কী চলবে, কী চলবে না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি বলে দিতে চাই, আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিস যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।

ট্যাগ :

ঋণ ও অনুদানে নির্ভরতা কমেছে

প্রকাশিত : ১২:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১

দেশের সম্পদের পরিমাণ বাড়ার ফলে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের ওপর নির্ভরতা কমেছে। গত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দিয়েছি। রবিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি সম্মেলন কক্ষে আইএমইডি আয়োজিত ৭ মার্চের আলোচনা সভায় বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এসব কথা বলেন। আইএমইডির অতিরিক্ত সচিব ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বর্তমানে আমলাতন্ত্রে টিকে থাকতে হলে ২০৪১ সালের বিষয়ে আমাদের বেশি বেশি করে জানতে হবে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে জানতে হবে। বদ্বীপ ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নিয়েও আমাদের জানতে হবে। নীতি ও নৈতিকতা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশ। বহুত্যাগের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ। তিনি বলেন, পরিকল্পনা কমিশন দেশের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) ও এসডিজিতে (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) আমরা অনেক ভালো করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা রূপকল্প ২০৪১। ৭ মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরে সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের বক্তব্য ছিল সাদামাটা। বঙ্গবন্ধুর ভেতর থেটে উঠে আসা তেজোদ্দীপ্ত হৃদয় নিংড়ানো কথা। বঙ্গবন্ধু সবসময়ে মেহনতি মানুষের কথা বলতেন। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠের এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল। ১৮ মিনিট স্থায়ী এই ভাষণে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। উনার দিক নির্দেশনাও ছিল কী চলবে, কী চলবে না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি বলে দিতে চাই, আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিস যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।