০৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ব্যাংক খাতে ১১ হাজার কোটি টাকার অডিট আপত্তি

দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ২০২০ সালের হিসাবে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা অডিট আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা সিএজি। প্রতিষ্ঠানটির হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি অর্থের অনিয়মের ৫২ দশমিক ১৮ শতাংশ হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে।
সিএজি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে ৩১ হাজার কোটি টাকার। এই সময়ে সরকারি সকল খাত মিলিয়ে অডিট আপত্তির পরিমাণ ৫৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান ও ঋণ শোধের যোগ্যতাহীন প্রতিষ্ঠানকে ভুয়া বন্ধকি নিয়ে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভুয়া জমি, সরকারি খাসজমি মর্টগেজ রেখে গ্রাহককে ঋণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত জামানত ছাড়া ঋণ বিতরণ, শ্রেণিকৃত দায় থাকার পরও ত্রুটিপূর্ণ সহায়ক জামানতের বিপরীতে এবং গ্রাহকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ঋণ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সিএজির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ঋণ ইস্যু ও নিয়ন্ত্রণহীন এলাকার বাইরে তড়িঘড়ি করে ঋণ মঞ্জুর, শাখার আপত্তি উপেক্ষা ও বন্ধকি সম্পত্তি মূল্যায়ন ছাড়া ঋণ ইস্যু, মঞ্জুরি শর্ত অমান্য করে অনিয়মিতভাবে ওডি ঋণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অধিকাংশ অনিয়মের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ঋণ বিতরণ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন, আর্থিক বিধিবিধান ও সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ের আদেশও অমান্য করা হয়েছে।
সিএজির রিপোর্টের তথ্য মতে, ২০২১ সালে ব্যাংক খাতের অনিয়মের পরিমাণ ১০ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের রিপোর্টে চিহ্নিত করা হয়েছিল ৫ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে অনিয়ম চিহ্নিত করা হয়েছিল ৮ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।

ট্যাগ :

দুদকের ২ উপপরিচালক বরখাস্ত

ব্যাংক খাতে ১১ হাজার কোটি টাকার অডিট আপত্তি

প্রকাশিত : ১২:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১

দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ২০২০ সালের হিসাবে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা অডিট আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা সিএজি। প্রতিষ্ঠানটির হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি অর্থের অনিয়মের ৫২ দশমিক ১৮ শতাংশ হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে।
সিএজি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে ৩১ হাজার কোটি টাকার। এই সময়ে সরকারি সকল খাত মিলিয়ে অডিট আপত্তির পরিমাণ ৫৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান ও ঋণ শোধের যোগ্যতাহীন প্রতিষ্ঠানকে ভুয়া বন্ধকি নিয়ে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভুয়া জমি, সরকারি খাসজমি মর্টগেজ রেখে গ্রাহককে ঋণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত জামানত ছাড়া ঋণ বিতরণ, শ্রেণিকৃত দায় থাকার পরও ত্রুটিপূর্ণ সহায়ক জামানতের বিপরীতে এবং গ্রাহকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ঋণ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সিএজির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ঋণ ইস্যু ও নিয়ন্ত্রণহীন এলাকার বাইরে তড়িঘড়ি করে ঋণ মঞ্জুর, শাখার আপত্তি উপেক্ষা ও বন্ধকি সম্পত্তি মূল্যায়ন ছাড়া ঋণ ইস্যু, মঞ্জুরি শর্ত অমান্য করে অনিয়মিতভাবে ওডি ঋণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অধিকাংশ অনিয়মের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ঋণ বিতরণ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন, আর্থিক বিধিবিধান ও সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ের আদেশও অমান্য করা হয়েছে।
সিএজির রিপোর্টের তথ্য মতে, ২০২১ সালে ব্যাংক খাতের অনিয়মের পরিমাণ ১০ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের রিপোর্টে চিহ্নিত করা হয়েছিল ৫ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে অনিয়ম চিহ্নিত করা হয়েছিল ৮ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।