১১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বিরূপ অভিজ্ঞতায় নগদ লভ্যাংশে জোর

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার পরিশোধিত মূলধন বাড়ালেও এমন বহু কোম্পানি আছে যারা পুনর্বিনিয়োগ করে কোম্পানির স্বাস্থ্য বাড়াতে পারে না। বরং গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে কোনো বছরে শতভাগ বা তার চেয়ে বেশি বোনাস ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শেয়ারের দর আকাশচুম্বি হয়ে যায়। কিন্তু পরে বিনিয়োগকারীরা ঠকে থাকে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার কোম্পানিকে শর্ত দেয়া হয়েছে, লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারধারীদেরকে পাঁচ বছর বোনাস শেয়ার দেয়া যাবে না। চলতি বছর তালিকাভুক্ত হওয়া ই জেনারেশনকেও চার বছর লভ্যাংশ দিতে হবে নগদে কেবল বোনাসে লভ্যাংশ দিলে তাদেরকে দিতে হবে বাড়তি কর- এটা ঠিক করে দিয়েছে সরকার। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার পরিশোধিত মূলধন বাড়ালেও এমন বহু কোম্পানি আছে যারা পুনর্বিনিয়োগ করে কোম্পানির স্বাস্থ্য বাড়াতে পারে না। বরং গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে কোনো বছরে শতভাগ বা তার চেয়ে বেশি বোনাস ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শেয়ারের দর আকাশচুম্বি হয়ে যায়। কিন্তু পরে বিনিয়োগকারীরা ঠকে থাকে। এই বাস্তবতায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও নগদ লভ্যাংশ নিয়ে আগ্রহ যে বাড়তে শুরু করেছে, সেটাও স্পষ্ট। পুঁজিবাজারকেন্দ্রীক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে নানা পোস্টেও নগদ লভ্যাংশের পক্ষে লিখে থাকেন তারা। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বা বিএসইসিও এখন নগদ লভ্যাংশে জোর দিচ্ছে। বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার বিপরীতে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ টাকা নিজের কাছে রেখে দিচ্ছে তা দিয়ে যে কোনো উন্নয়ন হচ্ছে তা বছর শেষে কোম্পানিগুলোর শেয়ার প্রতি আয় ও মুনাফা দেখেই অনুমেয়। আবার বোনাস লভ্যাংশ দিলে বিনিয়োগকারীদেরও খুব একটা লাভ হয় এমন না। কারণ, যে পরিমাণ শেয়ার যোগ হয়, দামও তার সঙ্গে সমন্বয় হয়। অর্থাৎ ১০০ টাকা দামের কোনো কোম্পানি যদি ১০ শতাংশ বোনাস দেয়, তাহলে রেকর্ড ডেটের পর সে কোম্পানির শেয়ারের দামও ১০ শতাংশ কমবে। কিন্তু নগদ লভ্যাংশ দিলে শেয়ার দরে তা সমন্বয় হয় না। এমন অবস্থায় বিএসইসি সম্প্রতি পাবলিক ইস্যু বিধিমালার সংশোধনীনের যে উদ্যোগ নিয়েছে সেখানেও নতুন তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথম দুই বছর বোনাস লভ্যাংশ দিতে পারবে না এমন শর্ত দেয়া হয়েছে। সদ্য যেসব কোম্পানি অর্থবছর শেষে বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করছে তার কারণও এখন ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে ডিএসই ওয়েবসাইটে। সমাধানে বিএসইসি: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পাবলিক ইস্যু বিধিমালার সংশোধনীর উদ্যোগ নিয়েছে। যা বর্তমানে খসড়া আকারে মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত মতামত প্রদান করা যাবে এই খসড়ায়। যেখানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েই বিনিয়োগকারীদের প্রলোভন দেখিয়ে বড় অংকের বোনাস লভ্যাংশে দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির পথ বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, নতুন তালিকাভুক্ত হওয়ার শুরুর দুই বছর কোনো বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো যাবে না। বিএসইসির পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও নতুন তালিকাভুক্ত হতে চাওয়া কোম্পানিগুলোকে বোনাস শেয়ার দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করা হচ্ছে কি না প্রশ্নে কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম ি বলেন, ‘আমাদের উদ্যোগ নেয়ার কিছু নেই। লভ্যাংশ দেয়ার বিষয়ে আয়কর পরিপত্রে বলা আছে। আমরা সেটিকে অনুসরণ করছি। তবে কোম্পানির উন্নয়নের উদ্দেশ্য ছাড়া যারা বোনাস লভ্যাংশ দিতে চায় তাদের নজরদারি করা হচ্ছে।’

ট্যাগ :

দুদকের ২ উপপরিচালক বরখাস্ত

বিরূপ অভিজ্ঞতায় নগদ লভ্যাংশে জোর

প্রকাশিত : ১২:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার পরিশোধিত মূলধন বাড়ালেও এমন বহু কোম্পানি আছে যারা পুনর্বিনিয়োগ করে কোম্পানির স্বাস্থ্য বাড়াতে পারে না। বরং গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে কোনো বছরে শতভাগ বা তার চেয়ে বেশি বোনাস ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শেয়ারের দর আকাশচুম্বি হয়ে যায়। কিন্তু পরে বিনিয়োগকারীরা ঠকে থাকে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার কোম্পানিকে শর্ত দেয়া হয়েছে, লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারধারীদেরকে পাঁচ বছর বোনাস শেয়ার দেয়া যাবে না। চলতি বছর তালিকাভুক্ত হওয়া ই জেনারেশনকেও চার বছর লভ্যাংশ দিতে হবে নগদে কেবল বোনাসে লভ্যাংশ দিলে তাদেরকে দিতে হবে বাড়তি কর- এটা ঠিক করে দিয়েছে সরকার। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে লভ্যাংশ হিসেবে বোনাস শেয়ার পরিশোধিত মূলধন বাড়ালেও এমন বহু কোম্পানি আছে যারা পুনর্বিনিয়োগ করে কোম্পানির স্বাস্থ্য বাড়াতে পারে না। বরং গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে কোনো বছরে শতভাগ বা তার চেয়ে বেশি বোনাস ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শেয়ারের দর আকাশচুম্বি হয়ে যায়। কিন্তু পরে বিনিয়োগকারীরা ঠকে থাকে। এই বাস্তবতায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও নগদ লভ্যাংশ নিয়ে আগ্রহ যে বাড়তে শুরু করেছে, সেটাও স্পষ্ট। পুঁজিবাজারকেন্দ্রীক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে নানা পোস্টেও নগদ লভ্যাংশের পক্ষে লিখে থাকেন তারা। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বা বিএসইসিও এখন নগদ লভ্যাংশে জোর দিচ্ছে। বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার বিপরীতে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ টাকা নিজের কাছে রেখে দিচ্ছে তা দিয়ে যে কোনো উন্নয়ন হচ্ছে তা বছর শেষে কোম্পানিগুলোর শেয়ার প্রতি আয় ও মুনাফা দেখেই অনুমেয়। আবার বোনাস লভ্যাংশ দিলে বিনিয়োগকারীদেরও খুব একটা লাভ হয় এমন না। কারণ, যে পরিমাণ শেয়ার যোগ হয়, দামও তার সঙ্গে সমন্বয় হয়। অর্থাৎ ১০০ টাকা দামের কোনো কোম্পানি যদি ১০ শতাংশ বোনাস দেয়, তাহলে রেকর্ড ডেটের পর সে কোম্পানির শেয়ারের দামও ১০ শতাংশ কমবে। কিন্তু নগদ লভ্যাংশ দিলে শেয়ার দরে তা সমন্বয় হয় না। এমন অবস্থায় বিএসইসি সম্প্রতি পাবলিক ইস্যু বিধিমালার সংশোধনীনের যে উদ্যোগ নিয়েছে সেখানেও নতুন তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথম দুই বছর বোনাস লভ্যাংশ দিতে পারবে না এমন শর্ত দেয়া হয়েছে। সদ্য যেসব কোম্পানি অর্থবছর শেষে বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করছে তার কারণও এখন ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে ডিএসই ওয়েবসাইটে। সমাধানে বিএসইসি: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পাবলিক ইস্যু বিধিমালার সংশোধনীর উদ্যোগ নিয়েছে। যা বর্তমানে খসড়া আকারে মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত মতামত প্রদান করা যাবে এই খসড়ায়। যেখানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েই বিনিয়োগকারীদের প্রলোভন দেখিয়ে বড় অংকের বোনাস লভ্যাংশে দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির পথ বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, নতুন তালিকাভুক্ত হওয়ার শুরুর দুই বছর কোনো বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো যাবে না। বিএসইসির পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও নতুন তালিকাভুক্ত হতে চাওয়া কোম্পানিগুলোকে বোনাস শেয়ার দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করা হচ্ছে কি না প্রশ্নে কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম ি বলেন, ‘আমাদের উদ্যোগ নেয়ার কিছু নেই। লভ্যাংশ দেয়ার বিষয়ে আয়কর পরিপত্রে বলা আছে। আমরা সেটিকে অনুসরণ করছি। তবে কোম্পানির উন্নয়নের উদ্দেশ্য ছাড়া যারা বোনাস লভ্যাংশ দিতে চায় তাদের নজরদারি করা হচ্ছে।’