তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তি খাতে দেশের রফতানি আয় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। প্রযুক্তি খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সমৃদ্ধির জানান দিচ্ছে। সোমবার দুপুরে সিংড়া উপজেলার শেরকোল এলাকায় নির্মাণাধীন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইউকিউবেশন সেন্টার ভবনে হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্প, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পের চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণের সেবক হিসেবে সততা, দূরদর্শিতা আর সাহস দিয়ে স্বল্পোন্নত বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় চারটি স্তম্ভের ওপরে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন। এরফলে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। ২০১টি নাগরিক সেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রদান করা হচ্ছে।
প্রত্যেক ইউনিয়নে দ্রুতগতির অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেওয়ায় গ্রামে বসে সাধারণ জনগণ ২৫০ প্রকার নাগরিক সেবা পাচ্ছেন। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে সংযুক্ত থেকেছে।’পলক আরও বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে দফতর বন্ধ থাকলেও দাফতরিক কার্যক্রম বন্ধ হয়নি, বন্ধ হয়নি উন্নয়ন কার্যক্রম। ২০১৬ সাল থেকে এক কোটি ৭০ লাখ ফাইল ই-নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। বর্তমানে ১১ হাজার দফতরে লক্ষাধিক কর্মকর্তা ই-নথি ব্যবহার করছেন।
এরফলে লালফিতার দৌরাত্মমুক্ত হয়েছে সরকারি দফতর।’প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মোট ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিংড়ার শেরকোল এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইউকিউবেশন সেন্টার, হাই-টেক পার্ক, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন বঞ্চিত সন্ত্রাসের জনপদ চলনবিল এখন আর পিছিয়ে নেই। সিংড়াকে ডিজিটাল সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।