১২:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

দেশের রিজার্ভ দাঁড়ালো ৩৭ বিলিয়ন ডলারে

ফািইল ছবি

আমদানি দায় পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ নেমে এসেছে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। এর মধ্য দিয়ে গত এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার।

বুধবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় হিসেবে জুলাই-আগস্টের আমদানির জন্য ১.৭৪ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে যায় পৌনে ২ বিলিয়ন ডলার। আর একই দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে। সব মিলে রিজার্ভ কমে ৩৭.২০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নীতি অনুযায়ী দুই মাস পর পর আকুর সদস্যভুক্ত ৯টি দেশের (ভুটান, ভারত, ইরান, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ) আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক আকুর আমদানি বিল পরিশোধের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করায় সাধারণত বুধবার মধ্যরাতের পরেই বিলের অর্থ কেটে নেয়া হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক পরদিন সেটা রিজার্ভ থেকে বাদ দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বুধবার সরকারি প্রকল্প ও নিত্যপণ্যের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে। এতে রিজার্ভের পরিমাণ নেমে আসে ৩৮.৯৪ বিলিয়ন। আর সেখান থেকে ১.৭৪ বিলিয়ন ডলারের আকু পেমেন্টের জন্য বিল পরিশোধ করা হয়। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আকু বিল মধ্যরাতে রাতে কেটে নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮.৬০ বিলিয়ন। আর বুধবার আকু পেমেন্টের পরে দাঁড়িয়েছে ৩৭.২০ বিলিয়ন।

সেই হিসাবে ১ বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১১.৪০ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাধারণত কোনো দেশের ৩ মাসের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য রিজার্ভ থাকলে তা আদর্শ ধরা হয়। আমাদের বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ৫ মাসের বেশি আমদানি বিল পরিশোধ করা সম্ভব। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এ ছাড়া সরকার আমদানিতে কড়া করি ও কৃচ্ছ্রসাধন নীতি ঘোষণা করছে। এতে আমদানি কমতে শুরু করেছে। আবার রপ্তানি আয় বাড়ছে। পাশাপাশি সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর করোনার পরে গত দেড় বছরে জনসংখ্যা রপ্তানি বেড়েছে। যার ফলে রেমিট্যান্স সংগ্রহ আরও বেড়ে যাবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

দেশের রিজার্ভ দাঁড়ালো ৩৭ বিলিয়ন ডলারে

প্রকাশিত : ১২:১৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

আমদানি দায় পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ নেমে এসেছে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। এর মধ্য দিয়ে গত এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার।

বুধবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় হিসেবে জুলাই-আগস্টের আমদানির জন্য ১.৭৪ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে যায় পৌনে ২ বিলিয়ন ডলার। আর একই দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে। সব মিলে রিজার্ভ কমে ৩৭.২০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নীতি অনুযায়ী দুই মাস পর পর আকুর সদস্যভুক্ত ৯টি দেশের (ভুটান, ভারত, ইরান, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ) আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক আকুর আমদানি বিল পরিশোধের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করায় সাধারণত বুধবার মধ্যরাতের পরেই বিলের অর্থ কেটে নেয়া হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক পরদিন সেটা রিজার্ভ থেকে বাদ দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বুধবার সরকারি প্রকল্প ও নিত্যপণ্যের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে। এতে রিজার্ভের পরিমাণ নেমে আসে ৩৮.৯৪ বিলিয়ন। আর সেখান থেকে ১.৭৪ বিলিয়ন ডলারের আকু পেমেন্টের জন্য বিল পরিশোধ করা হয়। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আকু বিল মধ্যরাতে রাতে কেটে নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮.৬০ বিলিয়ন। আর বুধবার আকু পেমেন্টের পরে দাঁড়িয়েছে ৩৭.২০ বিলিয়ন।

সেই হিসাবে ১ বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১১.৪০ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাধারণত কোনো দেশের ৩ মাসের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য রিজার্ভ থাকলে তা আদর্শ ধরা হয়। আমাদের বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ৫ মাসের বেশি আমদানি বিল পরিশোধ করা সম্ভব। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এ ছাড়া সরকার আমদানিতে কড়া করি ও কৃচ্ছ্রসাধন নীতি ঘোষণা করছে। এতে আমদানি কমতে শুরু করেছে। আবার রপ্তানি আয় বাড়ছে। পাশাপাশি সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর করোনার পরে গত দেড় বছরে জনসংখ্যা রপ্তানি বেড়েছে। যার ফলে রেমিট্যান্স সংগ্রহ আরও বেড়ে যাবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব