০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

দেশীয় প্রযুক্তিতে ইলিশের কৌটাজাতকরণ

পৃথিবীজুড়েই বর্তমানে রেডি-টু-ইট এবং রেডি-টু-কুক খাদ্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বাইরে কৌটাজাত মাছ পণ্যের ব্যাপক বাজার ও চাহিদা থাকলেও দেশে তেমন বাজার গড়ে উঠেনি। তাই কৌটাজাত ইলিশ পণ্যের সহজলভ্যতার জন্য ইলিশের কৌটাজাত প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন শেকৃবির একদল গবেষক। এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন ফিশারিজ, একোয়াকাচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব এবং গবেষণা সহযোগী হিসেবে ছিলেন উক্ত অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাসুদ রানা। প্রযুক্তি পরিচালনার জন্য গবেষণায় অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনস্থ সাস্টেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প।

শেকৃবিতে গবেষিত এই প্রযুক্তিতে কৌটাজাতকৃত ইলিশের বিশেষত্ব হচ্ছে এই ইলিশের কাটা নরম হয়ে মাংসের সাথে এমনভাবে মিশে যায় এতে কাটা বেছে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। উপরন্তু নরম কাটা দেহে ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে কাজ করবে।

অধ্যাপক আহসান হাবীব বলেন, প্রযুক্তিটি স্বল্প ব্যয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই প্রযুক্তি গ্রহনের মাধ্যমে আয় বাড়াতে পারেন। সহযোগী গবেষক মোঃ মাসুদ রানা জানিয়েছেন, শেকৃবি এর ফিশ নিউট্রিশনাল বায়োলজি ল্যাবরেটরিতে উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছের স্বাদ, মান, নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধির জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে এবং সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদিত ইলিশের দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই ইলিশ যদি কৌটাজাত করে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে রপ্তানি করা যায় তবে এখাত থেকে আরো বেশি টাকা আয় করা সম্ভব যার সুফল পাবে প্রান্তিক জেলেরাও।

গবেষকরা জানান, বাংলাদেশে টুনা মাছ ততটা জনপ্রিয় নয়। এই দেশের উপকূলীয় সামুদ্রিক এলাকায় প্রচুর টুনা ধরা পড়ে যা বাজারে খুব কম দামে বিক্রয় হয়। অনেক সময় ক্রেতার অভাবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অথচ কৌটাজাতকৃত টুনা মাছ বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়। জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ কৌটাজাতকৃত টুনা ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ নিজের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে। এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের দেশের এই টুনাও কৌটাজাত করণের একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে গবেষকরা আশা করছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

দেশীয় প্রযুক্তিতে ইলিশের কৌটাজাতকরণ

প্রকাশিত : ১১:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

পৃথিবীজুড়েই বর্তমানে রেডি-টু-ইট এবং রেডি-টু-কুক খাদ্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বাইরে কৌটাজাত মাছ পণ্যের ব্যাপক বাজার ও চাহিদা থাকলেও দেশে তেমন বাজার গড়ে উঠেনি। তাই কৌটাজাত ইলিশ পণ্যের সহজলভ্যতার জন্য ইলিশের কৌটাজাত প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন শেকৃবির একদল গবেষক। এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন ফিশারিজ, একোয়াকাচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব এবং গবেষণা সহযোগী হিসেবে ছিলেন উক্ত অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাসুদ রানা। প্রযুক্তি পরিচালনার জন্য গবেষণায় অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনস্থ সাস্টেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প।

শেকৃবিতে গবেষিত এই প্রযুক্তিতে কৌটাজাতকৃত ইলিশের বিশেষত্ব হচ্ছে এই ইলিশের কাটা নরম হয়ে মাংসের সাথে এমনভাবে মিশে যায় এতে কাটা বেছে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। উপরন্তু নরম কাটা দেহে ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে কাজ করবে।

অধ্যাপক আহসান হাবীব বলেন, প্রযুক্তিটি স্বল্প ব্যয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই প্রযুক্তি গ্রহনের মাধ্যমে আয় বাড়াতে পারেন। সহযোগী গবেষক মোঃ মাসুদ রানা জানিয়েছেন, শেকৃবি এর ফিশ নিউট্রিশনাল বায়োলজি ল্যাবরেটরিতে উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছের স্বাদ, মান, নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধির জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে এবং সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদিত ইলিশের দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই ইলিশ যদি কৌটাজাত করে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে রপ্তানি করা যায় তবে এখাত থেকে আরো বেশি টাকা আয় করা সম্ভব যার সুফল পাবে প্রান্তিক জেলেরাও।

গবেষকরা জানান, বাংলাদেশে টুনা মাছ ততটা জনপ্রিয় নয়। এই দেশের উপকূলীয় সামুদ্রিক এলাকায় প্রচুর টুনা ধরা পড়ে যা বাজারে খুব কম দামে বিক্রয় হয়। অনেক সময় ক্রেতার অভাবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অথচ কৌটাজাতকৃত টুনা মাছ বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়। জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ কৌটাজাতকৃত টুনা ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ নিজের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে। এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের দেশের এই টুনাও কৌটাজাত করণের একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে গবেষকরা আশা করছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব