লালমনিরহাটে দুদকের গণশুনানীতে ১০৬ নং অভিযোগ ধামাচাপা দিয়ে শুনানী এড়িয়ে যাওয়ায় জনস্বার্থে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে শহরের মুন স্টার রেস্টুরেন্টে জাবেদ আলী নামে সাবেক এক সেনা সার্জেন্ট ও কলামিস্ট ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি বলেন, অভিযোগের পটভূমি: (১) অন্য ৭৯/৮৭ নং মোকদ্দমায় বিগত ২/৬/১৯৮৮ খ্রিঃ তারিখে দেওয়ানি মামলায় চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রি থাকা সত্ত্বেও প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ৩০৫১/৮৪-৮৫ নং নামজারি কেস বাতিল করে বৈধ সম্পত্তি বিতর্কিত করে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ না করে উক্ত সম্পত্তিকে সরকারি সম্পত্তি দেখিয়ে দখলের পাঁয়তারা শুরু করে এবং আমাকে (২) অন্য আপিল ৯৪/১৯৮৮ (৩) ২য় কোর্ট অব সেটেলমেন্ট কেস নং-১১৬৬/১৯৯২ (৪) অন্য ২৩/২০০৫ (৫) অন্য আপিল ৭২/২০০৮ (৬) অন্য ১৯০/২০০৮ (৭) রীট পিটিশন ৮৩৭/২০১২ (৮) সিভিল রুল নং ৭১ (কন) অব ২০১২ (৯) অন্য ৭৮/২০২০ মামলায় ক্ষতিগ্রন্থের মানসে জড়ানো হয়। আমি ১ম ও ২য় মামলা ২ টি উকিল মাধ্যমে পরিচালনা পরবর্তী স্বয়ং এই মামলাগুলো পরিচালনা করে প্রতিটি মামলায় আমার পক্ষে রায় প্রাপ্ত হই এবং বিআরএস রেকর্ডেও উক্ত সম্পত্তি আমার নামে রেকর্ড ভূক্ত হয়। তবুও রহস্যজনকভাবে খাজনা গ্রহণ বন্ধ রেখে উক্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ সম্পতির সঙ্গে একীভূত সরকারি পুকুর যাহা ১৯৯৩ সালে আমার নামে লিজ প্রদত্ত ছিল তা প্রতারনা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বাতিল করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে উক্ত পুকুর নিলাম গ্রহিতা জনৈক মাসুম এর নিকট পুকুরটি হস্তান্তরিত হয়। এ কারনে অন্য ১৯০/০৮ নং মোকদ্দমায় আইনি লড়াই চালিয়ে আমি বিগত ১০/০৯/২০১৩ তারিখে লিজ আদেশ বহালের রায় প্রাপ্ত হই। কিন্তু ওই রায় অগ্রাহ্য করে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন সরকারকে বড় অঙ্কের রাজস্ব হতে বঞ্চিতের পাশাপাশি পরিবেশ দূষনে জন জীবন অতিষ্ট করে লীজ আদেশ পূর্ণবহাল করেন নাই। প্রমাণ উপস্থাপন: উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার (সদর), লালমনিরহাট এর স্মারক নং- ১২১৬ তারিখঃ ১৭/১০/২০২৪ খ্রিঃ বলে সরেজমিন ও সেরেস্তাগত যাচাই সাপেক্ষে তাহার প্রনীত প্রতিবেদনে এই অনিয়ম ও প্রতারণার বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। আমি এই ভিত্তিতে গত ১৫ ও ২০ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে অভিযোগ দাখিল পরবর্তী গত ২১এপ্রিল উপস্থিত হয়ে অভিযোগ নং- ১০৬ শুনানীর জন্য আসন গ্রহন করলে অপর পক্ষের আসীন অভিযুক্ত জেলা প্রশাসক আসন নিয়ে আমার বক্তব্য উপস্থাপন এর পূর্বে আমার অভিযোগ ও দালিলিক প্রমান খন্ডনে বক্তব্য শুরু করেন। এ কারনে তিনি আমার তীব্র বাধার সম্মুখিন হলে, অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে, দুদক চেয়ারম্যান অভিযোগ শোনার পরিবর্তে আমাকে প্রশ্ন করেন, “সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করেছেন?” এরপরে অভিযোগটি আর শুনানি হয় নাই। অতঃপর ঘোষনা ছাড়াই গণশুনানির পরি সমাপ্তি হয়। এটি নাগরিক অধিকারে চরম আঘাত।
আমার দাবি, আমার নামে বৈধভাবে পুকুর লিজ পুনর্বহালের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। ভূমি অফিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। জনস্বার্থে এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার স্বার্থে গণশুনানির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হোক। তিনি বলেন,
আমি একজন সাবেক সেনা সদস্য হিসেবে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ন্যায়বিচারের জন্য লড়ছি। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাট কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএস./