০৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মেলার আড়তে বিক্রি ১৪ কোটি টাকার মাছ

মাছের জন্য বিখ্যাত বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পোড়াদহ মেলায় গড়ে উঠেছে অস্থায়ী পাইকারি মাছের আড়ত। প্রতিবছরের মতো মেলা শুরুর একদিন আগে বসানো এসব আড়তে এরইমধ্যে বিকিকিনি হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকার মাছ। মেলা প্রাঙ্গণের পশ্চিমপ্রান্ত রাস্তা ঘেঁষে খাজা বাবা, ছয়তারা, বিসমিল্লাহ, মায়ের দোয়া, ভাই ভাইসহ ১০টির মতো বড় আড়ত বসেছে। ভোর ৪টা থেকে মেলায় আসা বিভিন্ন এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী এসব আড়ত থেকে মাছ কেনা শুরু করেন। এরপর তারা মেলায় বসানো দোকানে সেসব মাছ ওঠান। পরে বিক্রি করেন ক্রেতা সাধারণের কাছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত এসব আড়তে পাইকারি দর হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির মাঝারি ও বড় আকারের প্রায় ১৪ কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়েছে। এ বছর মেলায় সর্বোচ্চ মাছ আমদানি করেছেন বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে বাঘাইড়, গাঙচিল, চিতল, বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, হাঙড়ি, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড, কালিবাউশ, পাঙ্গাস মাছ অন্যতম। বদিউজ্জামান, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল জলিলসহ বেশ কয়েকজন আড়তদার বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ মেলা শুরুর প্রায় দুই সপ্তাহ আগ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ মেলাকে সামনে রেখে মাছ কেনা শুরু করেন। এসব মাছ তারা সংরক্ষণ করেন ছোট ছোট পুকুরে। মেলা শুরুর একদিন আগে এসব পাইকারি ব্যবসায়ী ছোট-বড় ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মেলায় মাছ নিয়ে আসেন। স্থানীয় আড়তদারের মাধ্যমে তা মেলায় আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। খাজা বাবা মাছ আড়তের মালিক জয়নাল আবেদীন টুকু জানান, তিনিসহ অন্য আড়তদাররা ভোর ৪টা থেকে পাইকারি মাছ বিক্রি শুরু করেন। সকাল ৫টার মধ্যে তিনি মাঝারি ও বড় আকারের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। এরমধ্যে ৫-১৫ কেজি ওজনের মাছ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বলেও জানান তিনি। আড়তদার আব্দুল জলিল বলেন, তিনি প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা মাছের মধ্যে রুই, মৃগেল, সিলভার, বিগহেড, কাতলা অন্যতম। এসব আড়তদাররা বলেন, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে ব্যবসায়ীরা এ মেলায় পাইকারি মাছ বিক্রি করতে আসেন। এ মেলায় ৬ থেকে ৮শ’র মতো খুচরা মাছ ব্যবসায়ী দোকান বসিয়েছেন। তারা নিজেরাও বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি প্রত্যেক খুচরা বিক্রেতা ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে আড়ত থেকেও মাছ কিনেছেন। তবে, খুচরা ব্যবসায়ীদের মাছ বিক্রির হিসাব জানতে মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান এসব আড়তদার।

ট্যাগ :

৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে 

মেলার আড়তে বিক্রি ১৪ কোটি টাকার মাছ

প্রকাশিত : ১২:০১:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মাছের জন্য বিখ্যাত বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পোড়াদহ মেলায় গড়ে উঠেছে অস্থায়ী পাইকারি মাছের আড়ত। প্রতিবছরের মতো মেলা শুরুর একদিন আগে বসানো এসব আড়তে এরইমধ্যে বিকিকিনি হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকার মাছ। মেলা প্রাঙ্গণের পশ্চিমপ্রান্ত রাস্তা ঘেঁষে খাজা বাবা, ছয়তারা, বিসমিল্লাহ, মায়ের দোয়া, ভাই ভাইসহ ১০টির মতো বড় আড়ত বসেছে। ভোর ৪টা থেকে মেলায় আসা বিভিন্ন এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী এসব আড়ত থেকে মাছ কেনা শুরু করেন। এরপর তারা মেলায় বসানো দোকানে সেসব মাছ ওঠান। পরে বিক্রি করেন ক্রেতা সাধারণের কাছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত এসব আড়তে পাইকারি দর হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির মাঝারি ও বড় আকারের প্রায় ১৪ কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়েছে। এ বছর মেলায় সর্বোচ্চ মাছ আমদানি করেছেন বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে বাঘাইড়, গাঙচিল, চিতল, বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, হাঙড়ি, গ্রাস কার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড, কালিবাউশ, পাঙ্গাস মাছ অন্যতম। বদিউজ্জামান, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল জলিলসহ বেশ কয়েকজন আড়তদার বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ মেলা শুরুর প্রায় দুই সপ্তাহ আগ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এ মেলাকে সামনে রেখে মাছ কেনা শুরু করেন। এসব মাছ তারা সংরক্ষণ করেন ছোট ছোট পুকুরে। মেলা শুরুর একদিন আগে এসব পাইকারি ব্যবসায়ী ছোট-বড় ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মেলায় মাছ নিয়ে আসেন। স্থানীয় আড়তদারের মাধ্যমে তা মেলায় আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। খাজা বাবা মাছ আড়তের মালিক জয়নাল আবেদীন টুকু জানান, তিনিসহ অন্য আড়তদাররা ভোর ৪টা থেকে পাইকারি মাছ বিক্রি শুরু করেন। সকাল ৫টার মধ্যে তিনি মাঝারি ও বড় আকারের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। এরমধ্যে ৫-১৫ কেজি ওজনের মাছ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বলেও জানান তিনি। আড়তদার আব্দুল জলিল বলেন, তিনি প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা মাছের মধ্যে রুই, মৃগেল, সিলভার, বিগহেড, কাতলা অন্যতম। এসব আড়তদাররা বলেন, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে ব্যবসায়ীরা এ মেলায় পাইকারি মাছ বিক্রি করতে আসেন। এ মেলায় ৬ থেকে ৮শ’র মতো খুচরা মাছ ব্যবসায়ী দোকান বসিয়েছেন। তারা নিজেরাও বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি প্রত্যেক খুচরা বিক্রেতা ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে আড়ত থেকেও মাছ কিনেছেন। তবে, খুচরা ব্যবসায়ীদের মাছ বিক্রির হিসাব জানতে মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান এসব আড়তদার।