নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা দুই রোহিঙ্গা কিশোরীকে সুবর্ণচরে আটক করেছে স্থানীয়রা। বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মেঘনা মার্কেট সংলগ্ন বেড়ি বাঁধের পাশ থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকার আরও দুই রোহিঙ্গা পালিয়ে যান।
আটকরা হলো- ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২নং ক্লাষ্টারের ৩/৪ নং কক্ষের মো.ইয়াছিনের মেয়ে খুরশীদা আক্তার (১৬) ও তার বোন জান্নাত আরা বেগম (১২)। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মেঘনা মার্কেট সংলগ্ন বেড়ি বাঁধের পাশে ওই দুই বোনকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায়।
৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মাছ ধরার নৌকায় করে চার রোহিঙ্গা নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর মোজাম্মেল গ্রামে পালিয়ে আসে।
আটক দুই রোহিঙ্গার বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান আরো জানান, সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর মোজাম্মেল গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে আবদুল বাতেন, আবদুল বাতেনের ছেলে সেলিম উদ্দিন কালু, একই ইউনিয়নের চর আলাউদ্দিনের ইব্রাহিম মাঝির ছেলে জাহাঙ্গীর মাঝি ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাদেরকে সুবর্ণচর উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে নিয়ে আসে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাদেরকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে সোপর্দ করে। এ সময় আরো দুই জন রোহিঙ্গা পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক রোহিঙ্গা কিশোরীরা মানব পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়েছিল কিনা জানতে পুলিশ কাজ করছে। দুপুরে উদ্ধার হওয়া ২ বোনকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।