০৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল শুরু

দীর্ঘ ৪৬ দিন পর সোমবার থেকে আবারও চালু হচ্ছে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটসহ সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল। রোববার সরকারি ঘোষণার পরপরই বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করে রাখা যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ধোয়ামোছা শুরু হয়।ছুটিতে থাকা কর্মীচারীদের দ্রুত কর্মস্থলে ফিরতে বলা হয়। লঞ্চ চালুর খবরে আনন্দের বন্যা বইছে নৌযান শ্রমিকদের মধ্যে। তবে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বরিশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। লঞ্চ মালিক-শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের পরামর্শ দিয়েছে সুশীল সমাজ।

করোনা সংক্রামণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরদিন ৬ এপ্রিল থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লঞ্চ বন্ধ থাকায় মালিকরা বেশিরভাগ কর্মচারীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় কোনো ধরণের বেতন-ভাতা ছাড়াই। দুই একজন কর্মচারী লঞ্চ পাহারা দেয়ার জন্য রাখলেও তাদের বেতন-ভাতা, এমনকি পর্যাপ্ত অর্থনেতিক সহায়তাও করতো না মালিকরা। এতে নৌযান শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিল। লঞ্চ চালুর দাবিতে তারা বরিশাল এবং চাঁদপুর নদীবন্দরে বিক্ষোভ করে। লঞ্চ মালিকরাও শনিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে লঞ্চ চালুর দাবি জানান।

মালিক-শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার সোমবার থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চালুর ঘোষণা দেয়। রোববার দেয়া সরকারি ঘোষণার পরপরই বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া শ্রমিকদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। লঞ্চ চালু হলে শ্রমিকরা কোনমতে খেয়েপরে বাঁচতে পারবে বলে জানান নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।র নৌযান শ্রমিক।

ট্যাগ :

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আপিল বিভাগের রায় ৪ সেপ্টেম্বর

সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল শুরু

প্রকাশিত : ১২:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

দীর্ঘ ৪৬ দিন পর সোমবার থেকে আবারও চালু হচ্ছে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটসহ সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল। রোববার সরকারি ঘোষণার পরপরই বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করে রাখা যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ধোয়ামোছা শুরু হয়।ছুটিতে থাকা কর্মীচারীদের দ্রুত কর্মস্থলে ফিরতে বলা হয়। লঞ্চ চালুর খবরে আনন্দের বন্যা বইছে নৌযান শ্রমিকদের মধ্যে। তবে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বরিশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। লঞ্চ মালিক-শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের পরামর্শ দিয়েছে সুশীল সমাজ।

করোনা সংক্রামণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরদিন ৬ এপ্রিল থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লঞ্চ বন্ধ থাকায় মালিকরা বেশিরভাগ কর্মচারীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় কোনো ধরণের বেতন-ভাতা ছাড়াই। দুই একজন কর্মচারী লঞ্চ পাহারা দেয়ার জন্য রাখলেও তাদের বেতন-ভাতা, এমনকি পর্যাপ্ত অর্থনেতিক সহায়তাও করতো না মালিকরা। এতে নৌযান শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিল। লঞ্চ চালুর দাবিতে তারা বরিশাল এবং চাঁদপুর নদীবন্দরে বিক্ষোভ করে। লঞ্চ মালিকরাও শনিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে লঞ্চ চালুর দাবি জানান।

মালিক-শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার সোমবার থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চালুর ঘোষণা দেয়। রোববার দেয়া সরকারি ঘোষণার পরপরই বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া শ্রমিকদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। লঞ্চ চালু হলে শ্রমিকরা কোনমতে খেয়েপরে বাঁচতে পারবে বলে জানান নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।র নৌযান শ্রমিক।