০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

চলনবিলের আড়তে দিনে কোটি টাকার লিচু বিক্রি

সিরাজগঞ্জের চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় এ বছর লিচুর ফলন কম হলেও খুচরা ও পাইকারি বাজারে ভালো দাম থাকায় বেচাকেনা জমে উঠেছে। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে কোটি টাকার লিচু। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম এখানকার লিচুর আড়তগুলো।
কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়া, পাবনার চাটমোহর ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার লিচুর আড়তে গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার লিচু বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় সিংড়া, উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর বটতলা, মামুদপুর, নাজিরপুর, মশিন্দা, তাড়াশের নাদোসৈয়দপুর, ধামাইচ হাট এলাকা।

তাড়াশের কৃষক জয়নাল আবেদীন জানান, এ বছর বেশি গরম থাকায় অনেকের বাগানের লিচু নষ্ট হয়ে গেছে। এরপরও বোম্বাই, চায়না-৩ এবং মোজাফ্ফর জাতের লিচুর ফলন ভালো হয়েছে।

বেড়গঙ্গারামপুর লিচু ব্যবসায়ী আড়তদার সমিতির সভাপতি হাজী সাকায়াত হোসেন মোল্লা জানান, এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৭৫ ট্রাক লিচু রাজধানী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঈাইল, চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এসব জেলার পাইকাররা চলনবিলের আড়ত থেকে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, চলনবিলের আড়তগুলোতে বর্তমানে আকার, রঙ ও মানভেদে প্রতি হাজার লিচু বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৯০০ টাকায়। বড় লিচুর চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশি।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হারুনর রশীদ বলেন, চলনবিলে গত এক দশকে লিচুর আবাদ প্রসারিত হয়েছে। চলতি বছর তাপমাত্রা বেশি থাকায় লিচুর ফলন ভালো হয়নি। তবে বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে ।

ট্যাগ :

সাবেক মার্কিন বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

চলনবিলের আড়তে দিনে কোটি টাকার লিচু বিক্রি

প্রকাশিত : ১২:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১

সিরাজগঞ্জের চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় এ বছর লিচুর ফলন কম হলেও খুচরা ও পাইকারি বাজারে ভালো দাম থাকায় বেচাকেনা জমে উঠেছে। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে কোটি টাকার লিচু। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম এখানকার লিচুর আড়তগুলো।
কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়া, পাবনার চাটমোহর ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার লিচুর আড়তে গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার লিচু বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় সিংড়া, উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর বটতলা, মামুদপুর, নাজিরপুর, মশিন্দা, তাড়াশের নাদোসৈয়দপুর, ধামাইচ হাট এলাকা।

তাড়াশের কৃষক জয়নাল আবেদীন জানান, এ বছর বেশি গরম থাকায় অনেকের বাগানের লিচু নষ্ট হয়ে গেছে। এরপরও বোম্বাই, চায়না-৩ এবং মোজাফ্ফর জাতের লিচুর ফলন ভালো হয়েছে।

বেড়গঙ্গারামপুর লিচু ব্যবসায়ী আড়তদার সমিতির সভাপতি হাজী সাকায়াত হোসেন মোল্লা জানান, এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৭৫ ট্রাক লিচু রাজধানী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঈাইল, চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এসব জেলার পাইকাররা চলনবিলের আড়ত থেকে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, চলনবিলের আড়তগুলোতে বর্তমানে আকার, রঙ ও মানভেদে প্রতি হাজার লিচু বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৯০০ টাকায়। বড় লিচুর চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশি।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হারুনর রশীদ বলেন, চলনবিলে গত এক দশকে লিচুর আবাদ প্রসারিত হয়েছে। চলতি বছর তাপমাত্রা বেশি থাকায় লিচুর ফলন ভালো হয়নি। তবে বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে ।