০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বেইলি ব্রিজ ভেঙে দুর্ভোগে চার লাখ মানুষ

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে পাটাতনে আটকে পড়ে অতিরিক্ত ইটবোঝাই একটি ট্রাক। উপজেলা সদরের মরিচ্চাপ নদী পার হতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে জেলা সদরের সঙ্গে সব ধরনের যান চলাচল। চরম দুর্ভোগে পড়েছে আশাশুনি, শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার তিন থেকে চার লাখ মানুষ।

এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইটবোঝাই ট্রাকের বেইলি ব্রিজে ওঠায় ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সেতু কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজে ১০ টনের বেশি মালামাল বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ইটভাটার ট্রাকচালকরা সেটা মানেন না। গতকাল সকালে উপজেলা সদরের শ্রীকলস গ্রামের আব্দুস সামাদের এমএমবি ইটভাটা থেকে প্রায় ১৮ টন ওজনের ইটবোঝাই তিনটি ট্রাক ব্রিজ পার হয়ে সাতক্ষীরার দিকে যেতে চাইলে কর্তৃপক্ষ নিষেধ করে। প্রথমে একটি ট্রাকের চালক কোনো কথা না শুনে চলে যায়। দ্বিতীয় ট্রাকটি ব্রিজ পার হওয়ার সময় মাঝামাঝি গিয়ে পাটাতন ভেঙে আটকে যায়। এর পর থেকে ওই ব্রিজে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

সাতক্ষীরা সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, আশাশুনি উপজেলা সদরের মরিচ্চাপ নদীর ওপর বেইলি ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য ওই ব্রিজে ১০ টনের বেশি পণ্য বোঝাই কোনো যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু গতকাল সকালে নিষেধ উপেক্ষা করে অতিরিক্ত ইটবোঝাই ট্রাক পার করার সময় ব্রিজটি ভেঙে যায়। এরই মধ্যে যে ইটভাটা থেকে ওই ট্রাক পার করা হয়েছে সেই ভাটা মালিক ও ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি সংস্কার করতে আরো অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

ট্রাকের চালক সাতক্ষীরা সদরের ইটাগাছার নাইমুর রহমান বলেন, আমার ট্রাকে প্রায় ১৩ টন ইট ছিল। অতিরিক্ত ইটবোঝাই করে ব্রিজ পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। এ রকম মালামাল নিয়ে আমরা নিয়মিত যাওয়াত করে থাকি কোনো সমস্যা হয় না। যত দ্রুত সম্ভব ট্রাকটি সরানোর চেষ্টা চলছে।

ট্যাগ :

সাবেক মার্কিন বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

বেইলি ব্রিজ ভেঙে দুর্ভোগে চার লাখ মানুষ

প্রকাশিত : ১২:০১:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে পাটাতনে আটকে পড়ে অতিরিক্ত ইটবোঝাই একটি ট্রাক। উপজেলা সদরের মরিচ্চাপ নদী পার হতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে জেলা সদরের সঙ্গে সব ধরনের যান চলাচল। চরম দুর্ভোগে পড়েছে আশাশুনি, শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার তিন থেকে চার লাখ মানুষ।

এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইটবোঝাই ট্রাকের বেইলি ব্রিজে ওঠায় ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সেতু কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজে ১০ টনের বেশি মালামাল বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ইটভাটার ট্রাকচালকরা সেটা মানেন না। গতকাল সকালে উপজেলা সদরের শ্রীকলস গ্রামের আব্দুস সামাদের এমএমবি ইটভাটা থেকে প্রায় ১৮ টন ওজনের ইটবোঝাই তিনটি ট্রাক ব্রিজ পার হয়ে সাতক্ষীরার দিকে যেতে চাইলে কর্তৃপক্ষ নিষেধ করে। প্রথমে একটি ট্রাকের চালক কোনো কথা না শুনে চলে যায়। দ্বিতীয় ট্রাকটি ব্রিজ পার হওয়ার সময় মাঝামাঝি গিয়ে পাটাতন ভেঙে আটকে যায়। এর পর থেকে ওই ব্রিজে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

সাতক্ষীরা সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, আশাশুনি উপজেলা সদরের মরিচ্চাপ নদীর ওপর বেইলি ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য ওই ব্রিজে ১০ টনের বেশি পণ্য বোঝাই কোনো যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু গতকাল সকালে নিষেধ উপেক্ষা করে অতিরিক্ত ইটবোঝাই ট্রাক পার করার সময় ব্রিজটি ভেঙে যায়। এরই মধ্যে যে ইটভাটা থেকে ওই ট্রাক পার করা হয়েছে সেই ভাটা মালিক ও ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি সংস্কার করতে আরো অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

ট্রাকের চালক সাতক্ষীরা সদরের ইটাগাছার নাইমুর রহমান বলেন, আমার ট্রাকে প্রায় ১৩ টন ইট ছিল। অতিরিক্ত ইটবোঝাই করে ব্রিজ পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। এ রকম মালামাল নিয়ে আমরা নিয়মিত যাওয়াত করে থাকি কোনো সমস্যা হয় না। যত দ্রুত সম্ভব ট্রাকটি সরানোর চেষ্টা চলছে।