ভোলার মনপুরায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে জোয়ারের পানির তোড়ে প্রায় ৬ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নি¤œাঞ্চলসহ বেড়িবাঁধের বাইরের ৭ গ্রাম ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই এলাকার ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন চরকলাতলী ও চরনিজামের নি¤œাঞ্চল ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপকের নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে মেরামত করতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হয়ে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের বাউল বাড়ি সংলগ্ন ৬ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এছাড়াও জোয়ারের পানিতে সোনারচর, চরযতিন, দাসেরহাট, চরজ্ঞান, কাউয়ারটেক, কূলাগাজী তালুক, নায়বের হাট ও আলমনগর গ্রাম প্লাবিত হয়।সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, নায়বেরহাট, সোনারচর, চরযতিন, চরজ্ঞান গ্রাম, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমনগর ও মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক ও কূলাগাজী তালুক গ্রামের বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকা ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এছাড়াও হাজিরহাট ইউনিয়নের জোয়ারের পানিতে দাসেরহাট জামে মসজিদ ও চরযতিন পুরাতন থানা মসজিদ ও শত শত ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়। ঘরের মধ্যে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি হয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছে না হাজার হাজার মানুষ। অনেকে নৌকায় করে ঘর থেকে বের হতে দেখা গেছে।
এছাড়াও উপজেলা সদরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর জোয়ারের পানি প্লাবিত হয়। অন্যদিকে উপজেলার রামনেওয়াজ এলাকার লঞ্চঘাট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা জানান, জোয়ারে নি¤œাঞ্চল ৪-৫ ফুট প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভেঙে যাওয়া ৬ মিটার বেড়িবাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ড উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।এই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, জোয়ারের তোড়ে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হওয়ায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।