আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা পূর্বাচলের নতুন ভেন্যুতে চোদ্দ দিন পার করেছে । তবে এখনো জমে ওঠেনি মেলার বেচাকেনা। গত চোদ্দ দিনে দেখা গেছে, পণ্য কেনার চেয়ে ঘুরে দেখাতেই বেশি সময় পার করছেন আগত ব্যক্তিরা। তবে যা বিক্রি হচ্ছে, তার মধ্যে পোশাক ও গৃহস্থালি পণ্যের প্রতি আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের।
সকালে তেমন উপস্থিতি না থাকলেও বিকেলে কিছুটা বাড়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা। তবে সে সংখ্যাও আশানুরূপ নয়। গতকাল শুক্রবার মেলায় মোট উপস্থিতি ছিল ১০ হাজারের কম। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার (সেলস) ফারুক ইসলাম রাজা বলেন, বিক্রির অবস্থা খুবই খারাপ। আশপাশের লোকেরা তেমন একটা জিনিসপত্র কিনছেন না। আর দূরে হওয়ায় ঢাকা থেকে ক্রেতাদের আসার পরিমাণ কম। সব মিলিয়ে বিক্রির অবস্থা একদমই খারাপ।
তবে পোশাক, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও গৃহস্থালি পণ্যের স্টলে ভিড় করছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। মেলায় অন্তত ২৫টি স্টল আছে কাশ্মীরি পোশাকের। এসব স্টল থেকে শীতের পোশাক, চাদর, বিছানার চাদর, ম্যাট, কুশন ইত্যাদি কিনছেন ক্রেতারা। অনেকে আবার কেবল নেড়েচেড়ে দেখে চলে যাচ্ছেন অন্য স্টলে। এ ছাড়া আমানত শাহ লুঙ্গি ও ড্রেস লাইন বিডির স্টলেও ভিড় করছেন ক্রেতারা।
কাশ্মীরি পোশাকের এক স্টলের বিক্রয়কর্মী আবদুর রহমান বলেন,শুরু থেকে বিক্রির পরিমাণ ছিল কম ছুটির দিনের আজ বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। স্টলে ভিড়ও বাড়ছে। আশা করছি, শুক্রবারের পর বিক্রি আশানুরূপ পর্যায়ে যাবে।
অন্যদিকে গৃহস্থালি পণ্যের মধ্যে প্লাস্টিক সামগ্রী, রান্নার সামগ্রী, মসলাপাতি ও ব্লেন্ডারের মতো পণ্য বিক্রির স্টলে বেশি ভিড় করছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। তবে মেলা উপলক্ষে এসব পণ্যের অধিকাংশে ছাড় দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।
ঢাকা থেকে বান্ধবীকে নিয়ে মেলায় কেনাকাটা করতে এসেছেন ইশরাত জাহান তিনি বলেন, অনেক দূর থেকে এখানে এলাম পছন্দের কিছু কেনার জন্য একটা বিছানার চাদর কিনেছি কিন্তু অন্যান্য পণ্যে ছাড় দেখিনি মেলায় স্টলের পরিমাণ কম মজুতও কম অবস্থার পরিবর্তন না হলে এবার আর মেলায় আসা হবে না।
মেলার অধিকাংশ স্টলে পণ্য উঠলেও এখনো বেশ কিছু স্টলের কাজ শেষ হয়নি। মেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সপ্তাহের শেষ নাগাদ সব স্টল তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

























