০৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

পাহাড়ে জেঁকে বসেছে শীত, সঙ্গে হিমেল হাওয়াও

সারা দেশে মত পাহাড়েও জেঁকে বসেছে শীত, সঙ্গে হিমেল হাওয়াও। এতে বিপর্যস্ত হচ্ছে জন জীবন। কষ্টে রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বেশ ঠান্ডা লাগায় গায়ে চাদর ও ভারী পোশাক ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। পড়ছে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি ও।

বাংলাদেশে জায়গা ও স্থানভেদে শীত অনুভুত হয়। শীতকালে হিমালয়ের কাছে বাংলাদেশে উত্তরবঙ্গে পঞ্চগড়ে শীত বেশী অনুভূত হলেও পার্বত্য এলাকাতেও শীতের দাপট কোন অংশে কম নয়। অনেকে এটা হিম বলে থাকেন। সকালে ঘর থেকে পা বাড়ালে হাটে – পায়ে এমনভাবে আঁকরে ধরে যা বরফ ধরার মত শিরশির করে।

বেশ কয়েকদিন যাবৎ শীত পড়লেওআজ ১৪ জানুয়ারি শুক্রবার সারাদিন সূর্য দেখা যায়নি। সকালে দেখা যায় নি দূরে পাহাড় গুলোও। বয়ে যাচ্ছে শীতের হিমেল হাওয়া। তীব্র শীতে সকালে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ-যান ও নৌকা চলাচলে যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে। তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি পর্যন্ত ভোর সকালে হয়ে থাকে।আরো কমতে পারে। শীতে ঠাণ্ডায় ভোগান্তিতে রয়েছেন প্রায় সব শ্রেনী-পেশার মানুষ। বেশিরভাগ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ক্ষেতে কাজ করা, কাজ করে খাওয়া ও মাছ ধরা জেলে থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষরা।

পার্বত্য এলাকায় সব জায়গায় তীব্র শীত বা ঠাণ্ডা পড়লেও, তীব্র শীত পড়েছে বিলাইছড়ি উপজেলাতেও। দূর্গম এই এলাকায় সু- উচ্চ পাহাড়ে ঢালে এবং নদীর পারে বসবাস করা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তারা জানান-

গীষ্ম কালে যেমনি তীব্র গরমে পানি সংকট হয় তেমনি শীত কালে তীব্র শীত অনূভুতি হয়। পাহাড়ের আমরা যারা বসবাস করছি এখানে শীত কালে সকাল ১১ টা বাজে সূর্য দেখা যায় এবং বিকাল ৩ টা বাজে সূর্য দেখা মিলে না, এজন্য এখানে বেশি শীত পড়ে।যারা এইসব জায়গায় বসবাস করেন না তারা হয়তো এই বিষয়ে বলতে পারবেন না। যারা বসবাস করছে তারাই জানবেন।

সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে স্ব- শরীরে উপস্থিত থেকে গো- ছড়া, ফু- ছড়া, রোয়াপাড়া ছড়া মালুম্যা, তক্তালালা সহ উপজেলার বেশকিছু এলাকায় যাচাই-বাছাই করে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।এছাড়াও একইভাবে এই উপজেলায়- জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৬ বীর পক্ষ হতে শীতবস্ত্র ও নানান খাদ্য সামগ্রিক বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

অন্যদিকে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন বিভিন্ন এলাকা হতে ভুক্ত ভোগী জানান,শীত বস্ত্র পরিবার ভিত্তিক ১ টা করে কম্বল দিলেও তীব্র শীতে তা পর্যাপ্ত নয় বলেও তারা জানান। কমপক্ষে পরিবার ভিত্তিক ২- ৩ টা প্রয়োজন। প্রয়োজন কম্বলের পাশাপাশি গরম বা ওল কাপড়ের শার্ট-প্যান্ট এবং চাদর। তাছাড়া যত পরিবারকে দেওয়া হয়েছে তার চেয়ে আরো বেশি পরিবারকে দেওয়া দরকার।

তারা আরো জানান, বর্তমানে করোনা কালে আয়- রোজগার কমে যাওয়ায় এবং তীব্র শীতে কাজ করা যাচ্ছে না আগের মত ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

ছয়ঋতু বাংলাদেশ হলেও শীতকাল আসে পৌষ- মাঘ এই দুই মাস শীত বহন করে।ইংরেজিতে ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাসে, কখনো কখনো নভেম্বর শেষ থেকে ফেব্রুয়ারী মধ্যে ভাগ পর্যন্ত দীর্ঘ হয় শীতের অবস্থান।

বেশির ভাগ মানুষের প্রিয় ঋতু শীত কাল।এজন্য শীতকালে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে চলে আসায় শীতকাল ভালো হলেও, তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ফলে তাদের মাঝে চলে আসে চরম দূর্ভোগ।

তাই শীতকালে শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকার, দাতা গোষ্ঠীর পাশাপাশি সচেতন মহল ও বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিতে সকলের সু- দৃষ্টি কামনা করছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :

পাহাড়ে জেঁকে বসেছে শীত, সঙ্গে হিমেল হাওয়াও

প্রকাশিত : ০৪:০৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

সারা দেশে মত পাহাড়েও জেঁকে বসেছে শীত, সঙ্গে হিমেল হাওয়াও। এতে বিপর্যস্ত হচ্ছে জন জীবন। কষ্টে রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বেশ ঠান্ডা লাগায় গায়ে চাদর ও ভারী পোশাক ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। পড়ছে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি ও।

বাংলাদেশে জায়গা ও স্থানভেদে শীত অনুভুত হয়। শীতকালে হিমালয়ের কাছে বাংলাদেশে উত্তরবঙ্গে পঞ্চগড়ে শীত বেশী অনুভূত হলেও পার্বত্য এলাকাতেও শীতের দাপট কোন অংশে কম নয়। অনেকে এটা হিম বলে থাকেন। সকালে ঘর থেকে পা বাড়ালে হাটে – পায়ে এমনভাবে আঁকরে ধরে যা বরফ ধরার মত শিরশির করে।

বেশ কয়েকদিন যাবৎ শীত পড়লেওআজ ১৪ জানুয়ারি শুক্রবার সারাদিন সূর্য দেখা যায়নি। সকালে দেখা যায় নি দূরে পাহাড় গুলোও। বয়ে যাচ্ছে শীতের হিমেল হাওয়া। তীব্র শীতে সকালে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ-যান ও নৌকা চলাচলে যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে। তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি পর্যন্ত ভোর সকালে হয়ে থাকে।আরো কমতে পারে। শীতে ঠাণ্ডায় ভোগান্তিতে রয়েছেন প্রায় সব শ্রেনী-পেশার মানুষ। বেশিরভাগ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ক্ষেতে কাজ করা, কাজ করে খাওয়া ও মাছ ধরা জেলে থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষরা।

পার্বত্য এলাকায় সব জায়গায় তীব্র শীত বা ঠাণ্ডা পড়লেও, তীব্র শীত পড়েছে বিলাইছড়ি উপজেলাতেও। দূর্গম এই এলাকায় সু- উচ্চ পাহাড়ে ঢালে এবং নদীর পারে বসবাস করা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তারা জানান-

গীষ্ম কালে যেমনি তীব্র গরমে পানি সংকট হয় তেমনি শীত কালে তীব্র শীত অনূভুতি হয়। পাহাড়ের আমরা যারা বসবাস করছি এখানে শীত কালে সকাল ১১ টা বাজে সূর্য দেখা যায় এবং বিকাল ৩ টা বাজে সূর্য দেখা মিলে না, এজন্য এখানে বেশি শীত পড়ে।যারা এইসব জায়গায় বসবাস করেন না তারা হয়তো এই বিষয়ে বলতে পারবেন না। যারা বসবাস করছে তারাই জানবেন।

সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে স্ব- শরীরে উপস্থিত থেকে গো- ছড়া, ফু- ছড়া, রোয়াপাড়া ছড়া মালুম্যা, তক্তালালা সহ উপজেলার বেশকিছু এলাকায় যাচাই-বাছাই করে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন।এছাড়াও একইভাবে এই উপজেলায়- জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৬ বীর পক্ষ হতে শীতবস্ত্র ও নানান খাদ্য সামগ্রিক বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

অন্যদিকে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন বিভিন্ন এলাকা হতে ভুক্ত ভোগী জানান,শীত বস্ত্র পরিবার ভিত্তিক ১ টা করে কম্বল দিলেও তীব্র শীতে তা পর্যাপ্ত নয় বলেও তারা জানান। কমপক্ষে পরিবার ভিত্তিক ২- ৩ টা প্রয়োজন। প্রয়োজন কম্বলের পাশাপাশি গরম বা ওল কাপড়ের শার্ট-প্যান্ট এবং চাদর। তাছাড়া যত পরিবারকে দেওয়া হয়েছে তার চেয়ে আরো বেশি পরিবারকে দেওয়া দরকার।

তারা আরো জানান, বর্তমানে করোনা কালে আয়- রোজগার কমে যাওয়ায় এবং তীব্র শীতে কাজ করা যাচ্ছে না আগের মত ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

ছয়ঋতু বাংলাদেশ হলেও শীতকাল আসে পৌষ- মাঘ এই দুই মাস শীত বহন করে।ইংরেজিতে ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাসে, কখনো কখনো নভেম্বর শেষ থেকে ফেব্রুয়ারী মধ্যে ভাগ পর্যন্ত দীর্ঘ হয় শীতের অবস্থান।

বেশির ভাগ মানুষের প্রিয় ঋতু শীত কাল।এজন্য শীতকালে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে চলে আসায় শীতকাল ভালো হলেও, তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ফলে তাদের মাঝে চলে আসে চরম দূর্ভোগ।

তাই শীতকালে শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকার, দাতা গোষ্ঠীর পাশাপাশি সচেতন মহল ও বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিতে সকলের সু- দৃষ্টি কামনা করছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর