০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেট উইমেন্স হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভাংচুর

এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ওই রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে। তবে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত প্রায় একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরীর কাজিটুলা মহসিনর মিয়া কলোনী ভাড়াটিয়া গফুর মিয়াকে (৬০) অসুস্থ অবস্থায় উইমেন্স মেডিকেলে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগ থেকে আইসিইউতে নেওয়া পর মারা যান তিনি। এ ঘটনার পর স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হলে, রোগীর স্বজনেরা দাবি করেন চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তখন আত্নীয় স্বজনরা উত্তেজিত হলে হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা চড়াও হয়,এক পর্যায়ে নিহত গফুর মিয়ার ছেলে নয়ন (২০) তার স্বজনদের নিয়ে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

এব্যাপারে উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডা. তাহফিম আহমদ রিফাত জানান, রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার স্বজনদের অনুমতি নিয়ে আইসিইউতে নিয়ে যান। পরে সেখানে মারা যান তিনি। যেহেতু নিহত ব্যক্তি হাসপাতালের ভর্তি কোন রোগী না, এছাড়া তার কোন টিকেটও করেনি তাই তাদের ইমার্জেন্সি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলা হয়। সেসব করে তারা মরদেহ নিয়ে চলে যান। পরে গভীর রাতে ৬০ থেকে ৭০ জন ব্যক্তি হাসপাতালের আউটডোর ব্যপক ভাঙচুর করে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বলা যাচ্ছে না। আমরা সিসিটিভি ফোটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।

আগামীকালা মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন সিপন জানান, ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ করা হয়নি। হাসপাতাল থেকে অভিযোগ করা হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি

জনপ্রিয়

বিসিবির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বোনাস পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা

সিলেট উইমেন্স হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভাংচুর

প্রকাশিত : ০৭:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ওই রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে। তবে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত প্রায় একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরীর কাজিটুলা মহসিনর মিয়া কলোনী ভাড়াটিয়া গফুর মিয়াকে (৬০) অসুস্থ অবস্থায় উইমেন্স মেডিকেলে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগ থেকে আইসিইউতে নেওয়া পর মারা যান তিনি। এ ঘটনার পর স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হলে, রোগীর স্বজনেরা দাবি করেন চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তখন আত্নীয় স্বজনরা উত্তেজিত হলে হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা চড়াও হয়,এক পর্যায়ে নিহত গফুর মিয়ার ছেলে নয়ন (২০) তার স্বজনদের নিয়ে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

এব্যাপারে উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডা. তাহফিম আহমদ রিফাত জানান, রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার স্বজনদের অনুমতি নিয়ে আইসিইউতে নিয়ে যান। পরে সেখানে মারা যান তিনি। যেহেতু নিহত ব্যক্তি হাসপাতালের ভর্তি কোন রোগী না, এছাড়া তার কোন টিকেটও করেনি তাই তাদের ইমার্জেন্সি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলা হয়। সেসব করে তারা মরদেহ নিয়ে চলে যান। পরে গভীর রাতে ৬০ থেকে ৭০ জন ব্যক্তি হাসপাতালের আউটডোর ব্যপক ভাঙচুর করে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বলা যাচ্ছে না। আমরা সিসিটিভি ফোটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।

আগামীকালা মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন সিপন জানান, ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ করা হয়নি। হাসপাতাল থেকে অভিযোগ করা হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি