০৮:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী-এমপিরা গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন,  শেখ হাসিনাসহ এমপি-মন্ত্রী সবাই গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাদের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গণহত্যা চালিয়েছেন। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেনীর মিজান ময়দানে জেলা বিএনপির জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কেউ কেউ বলছেন অনুপাত ভিত্তিতে নির্বাচন দিতে। শুধু এটুকু বলবো- যারা অনুপাত ভিত্তিক নির্বাচন চায়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের অনুপাত জ্ঞান নাই। যারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চায় তাদের মতলব কী জানতে হবে। তারা কেন নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বাবা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যান। আর শেখ হাসিনাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এখন প্রতিবেশী একটি দেশে বসে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। অথচ, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস হাজার বছরের।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস। তারা ৭৫ এ বাকশাল করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। হাসিনা একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পারেননি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেভাবে পারেন বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়ান। বাজার স্থিতিশীল করুন। সিন্ডিকেট দমন করুন। জনগণ সংস্কার বুঝে না, তারা দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল চায়। রমজান মাসে যেন কোন জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে। প্রয়োজনে ভ্যাট ট্যাক্স কমিয়ে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো তার আগে করে নিতে হবে। সংস্কার সংস্কার বলে নির্বাচন বিলম্বিত করবেন না। বাংলাদেশে যারা আনুপাতিক ভোট চায়, বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অনুপাত জ্ঞান নাই।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে জনসভায় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন, বিএনপির সহ-গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব, আবদুল লতিফ জনি,  জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খাঁন পিপি, জালাল আহমেদ মজুমদার, শাহানা আক্তার শানু ও মশিউর রহমান বিপ্লব বক্তব্য রাখেন।
এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক এয়াকুব নবী ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীর যৌথ সঞ্চালনায় জনসভায় জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রফেসর এমএ খালেক, গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বকুল, সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিন ভূঞা বক্তব্য দেন।
ট্যাগ :
জনপ্রিয়

অস্ত্রসহ বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি গ্রেফতার

শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী-এমপিরা গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন

প্রকাশিত : ০৯:১৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন,  শেখ হাসিনাসহ এমপি-মন্ত্রী সবাই গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাদের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গণহত্যা চালিয়েছেন। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেনীর মিজান ময়দানে জেলা বিএনপির জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কেউ কেউ বলছেন অনুপাত ভিত্তিতে নির্বাচন দিতে। শুধু এটুকু বলবো- যারা অনুপাত ভিত্তিক নির্বাচন চায়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের অনুপাত জ্ঞান নাই। যারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চায় তাদের মতলব কী জানতে হবে। তারা কেন নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বাবা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যান। আর শেখ হাসিনাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এখন প্রতিবেশী একটি দেশে বসে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। অথচ, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস হাজার বছরের।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস। তারা ৭৫ এ বাকশাল করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। হাসিনা একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পারেননি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেভাবে পারেন বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়ান। বাজার স্থিতিশীল করুন। সিন্ডিকেট দমন করুন। জনগণ সংস্কার বুঝে না, তারা দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল চায়। রমজান মাসে যেন কোন জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে। প্রয়োজনে ভ্যাট ট্যাক্স কমিয়ে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো তার আগে করে নিতে হবে। সংস্কার সংস্কার বলে নির্বাচন বিলম্বিত করবেন না। বাংলাদেশে যারা আনুপাতিক ভোট চায়, বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অনুপাত জ্ঞান নাই।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে জনসভায় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন, বিএনপির সহ-গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব, আবদুল লতিফ জনি,  জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খাঁন পিপি, জালাল আহমেদ মজুমদার, শাহানা আক্তার শানু ও মশিউর রহমান বিপ্লব বক্তব্য রাখেন।
এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক এয়াকুব নবী ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীর যৌথ সঞ্চালনায় জনসভায় জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রফেসর এমএ খালেক, গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বকুল, সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিন ভূঞা বক্তব্য দেন।